শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২১ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   ফরিদগঞ্জে সংবাদকর্মীর কন্যাকে অপহরণ চেষ্টায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন সংগঠনের
  •   লক্ষ্মীপুরে মাদকসহ বাবা ও দুই ছেলে আটক
  •   চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৮ আসামী আটক
  •   ফরিদগঞ্জ পাকহানাদার মুক্ত দিবস পালন
  •   যৌথ অভিযানে কচুয়া থানার লুণ্ঠিত পিস্তলের ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধার

প্রকাশ : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯:৪৮

চাঁদপুরের সাগরের তথ্য-প্রযুক্তিতে আকাশছোঁয়া সফলতা

মিজানুর রহমান রানা
চাঁদপুরের সাগরের তথ্য-প্রযুক্তিতে আকাশছোঁয়া সফলতা

ডাক নাম সাগর। পুরো নাম মাহবুবে রাব্বানী খান সাগর। চাঁদপুর জেলার বাগাদী ইউনিয়নের পশ্চিম সকদী গ্রামের কামতার খানের বাড়ি। বেড়ে ওঠা রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে। ৫ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করে বাবা-মায়ের কাছে কুয়েতে চলে যান ১৯৯৮ সালে। কুয়েতে ইংলিশ মিডিয়ামে এইচএসসি পর্যন্ত পড়াশোনা করে চলে যান ইউকে (লন্ডনে)। সেখানেই পড়াশোনা শেষ করে অনলাইন বিজনেস। পাশাপাশি বাংলাদেশের মিরপুরে গড়ে তোলেন সফ্টওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান। তার প্রতিষ্ঠানের নাম ‘কমবো সফ্ট’, ওয়েবসাইট িি.িপড়সনড়ংড়ভঃ.পড়.ঁশ ও বাংলাদেশে িি.িপড়সনড়ংড়ভঃ.পড়স.নফ। তার ইউকে অফিস উধৎঃভড়ৎফ ৩৫, কহড়পশযধষষ জড়ধফ. আর মিরপুরের অফিস ১৭৭, মিরপুর ডিওএইচএস।

‘ইউকেতে এক ব্রিটিশ কন্যাকে বিয়ে করে দুসন্তানের জনক হয়েও বাংলাদেশে কেনো সফ্টওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠান করেছেন’ এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আসলে দেশের বাইরে থাকলেও এই দেশের প্রতি আমার একটা কৃতজ্ঞতা ও কমিটমেন্ট আছে। আর আরেকটি সুবিধা হলো, এ দেশের সরকার সফ্টওয়্যার নির্মাণ প্রতিষ্ঠানকে অনেক সুযোগ সুবিধা প্রদান করে। তাতে এই দেশে সফ্টওয়্যার তৈরিতে খরচ পড়ে কম। যদিও গত দুই-তিন বছরে আমি অনেক টাকা এই খাতে ব্যয় করে এখনও তেমন একটা লাভ করনি, কিন্তু আমার প্রতিষ্ঠান ধীরে ধীরে লাভজনক প্রতিষ্ঠানে রূপ নিচ্ছে। কারণ আমার পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন করতে হলে অনেক সময় ও অর্থ ব্যয় করে যেতে হবে এবং ধরে রাখতে হবে। আমার প্রতিষ্ঠানে অনেক বাংলাদেশী বেকার ছেলে কাজ করে, তাদের ইউকের টাকাটা এই দেশে আসছে, দেশ উপকৃত হচ্ছে।

তিনি আশাবাদী, একটা সময় এই অর্থ ব্যয় সাফল্যে রূপ নেবে। তাতে তার প্রতিষ্ঠান যেমন লাভজনক হবে, তেমনি বাংলাদেশ সরকার তথা এই দেশের বেকার যুবকরা উপকৃত হবে।

‘আপনি এতো পেশা থাকতে তথ্যপ্রযুক্তি কেনো বেছে নিলেন’ এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি কুয়েতে পড়াশোনাকালীন সময়েও তথ্য প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করে শিক্ষাজীবনেই আমি অনলাইন থেকে আয় শুরু করি। তারপর ইউকেতে গিয়ে পড়াশোনা চলাকালীন সময়েও আমি ই-কমার্স ব্যবসা করে আয় শুরু করি। মাঝে মাঝে ভারত, চায়না, ইতালী, বাহরাইন, মেক্সিকো, পর্তুগাল, তুরস্ক সাইপ্রাস-সহ বিভিন্ন দেশে গমন করে সেখান থেকে প্রোডাক্ট কিনে অনলাইনে বিক্রয় শুরু করি। আমার একটা সুন্দর ব্যবসা দাঁড়িয়ে যায়। পাশাপাশি আমি জবও করি। সেখানেই পরিচয় হয় ইউকের স্থায়ী বাসিন্দা সিমন রাব্বানী, যিনি আমার স্ত্রী। বিবাহের পর সে মুসলমান হয়। এরপর আমি আবার বাংলাদেশে আসি। এরপর বাংলাদেশে ব্যবসার প্রতি মনোযোগী হই। প্রথমে বাংলাদেশে আমি গার্মেন্টস্ ব্যবসা করেছি দু-তিন বছর। পরে আমি চিন্তা-ভাবনা করলাম, যেহেতু এই দেশে সফ্টওয়্যার তৈরিতে খরচ পড়ে কম সেহেতু এই দেশে সফ্টওয়্যার তৈরি করে আমরা লাভবান হতে পারবো। সে কারণে ইউকেতে থেকেও বাংলাদেশে আমি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি।

উল্লেখ্য, মাহবুব রাব্বানী খান সাগর-এর পিতার নাম আব্বাছ খান, মাতার নাম ফাতেমা জান্নাত রাণী। সাগর কুয়েতের জিলিপ আল সুয়েখ-এর এন্টিগ্রেটেড ইন্ডিয়ান স্কুল থেকে সিবিএসই কারিকুলামে এইচএসসি (এ লেভেল), টপ কমার্স স্ট্রিম ইন সিবিএসই পাস করার পর লন্ডনের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও গ্রীনউইচ ইউনিভার্সিটি থেকে যথাক্রমে বিবিএ ও এমবিএ সম্পন্ন করেন। বর্তমানে তিনি ব্রিটিশ সিটিজেন। তার দুই ছেলে আদম আব্বাস রাব্বানী ও আইডেন আব্বাস রাব্বানীও ব্রিটিশ সিটিজেন।

বর্তমানে ওনার বড় সাফল্য হলো তিনি বাংলাদেশের সফটওয়্যার কোম্পানির অনুকূলে চায়নার একটি কোম্পানি থেকে ছয়শ’ লোকের পুরো বছরের অর্ডার পেয়েছেন, যা বাবত সেই কোম্পানি দশ হাজার ইউএস ডলার পরিশোধ করেছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়