প্রকাশ : ০৫ অক্টোবর ২০২৩, ০০:০০
স্কুলগুলোতে তথ্য-প্রযুক্তির সঠিক শিক্ষা দিলে ছাত্র-ছাত্রীরা প্রশিক্ষিত হয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারবে বলে জানালেন হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচোঁ দক্ষিণ ইউনিয়নের রামপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি রোটাঃ এসএম মানিক।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের স্কুলগুলোতে যদি ছাত্র-ছাত্রীরা হাতে কলমে আইটি বিষয়ক সঠিক জ্ঞান অর্জন করতে পারে, তাহলে তারা এই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে স্কুল জীবনেই পড়াশোনার পাশাপাশি আইটি জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হয়ে পরিবারের কাজে লাগবে এবং নিজেও স্বাবলম্বী হতে পারবে।
তিনি বলেন, আমাদের স্কুলগুলোতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে বহু পূর্বেই। কিন্তু বেশিরভাগ স্কুলগুলোতে এই আইটি ল্যাব হয়তো বন্ধ থাকে কিংবা কম্পিউটারগুলো অকেজো হয়ে পড়ে থাকে। আবার কিছু কিছু স্কুলে কম্পিউটার-ইন্টারনেট সচল থাকলেও অবহেলার কারণে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে হাতে-কলমে আইটি প্রশিক্ষণ দেয়া হয় না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় দশ বারো বছর পূর্বেই ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি মনে করেছিলেন যে, বহির্বিশে^র সাথে তাল মিলাতে হলে বাংলাদেশের ডিজিটাল উন্নয়ন করা প্রয়োজন। সেই জন্যে তিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এর ফলে বিভিন্ন সেক্টরে আইটি বিষয়ক উন্নয়ন ঘটানো শুরু হয়। আজ আমরা দেখছি ছাত্র-ছাত্রীরা আগের মতো লাইন ধরে কলেজে ভর্তি হতে হয় না। বরং তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসেই ইন্টারনেটের মাধ্যমে ভর্তির আবেদন করতে পারে। তাছাড়া ইউটিউব এবং বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে পড়াশোনা করতে পারে। যা কিছু অজানা তা অনলাইন মাধ্যমে জানতে পারে। তবে আমাদের স্কুলগুলোতে যদি এর প্র্যাকটিক্যাল প্রয়োগ করা যেত তাহলে ছাত্র-ছাত্রীরা আরো বেশি উপকৃত হতে পারতো।
তিনি বলেন, আজ আমরা ঘরে বসেই অনেক কাজ করতে পারি তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে। যেমন, আগে আমাদের ব্যবসায়িক প্রয়োজনে আমরা ঢাকা-টাঙ্গাইলসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে মালামাল নিয়ে আসতাম। আর এখন আমরা অফিসে বসেই ডিজিটাল মাধ্যমে অ্যাপস দিয়ে অর্ডার করে কাঙ্ক্ষিত মালামাল অফিসেই নিয়ে আসতে পারি। এজন্য আমাদের সময় সাশ্রয় হয়। আসা-যাওয়ার খরচ সাশ্রয় হয়।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশের বিভিন্ন দপ্তরগুলোতে যেমন-টেন্ডার প্রক্রিয়া, বিদ্যুৎ বিল প্রদান, বিভিন্ন প্রকার সরকারি আবেদনপত্র, জমির খতিয়ান ইত্যাদি ডিজিটাল হওয়ায় এখন বাংলাদেশের মানুষ আরো বেশি করে সুফল পাচ্ছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এখনো সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তাই সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। এখন এই স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে স্কুলগুলোতে ছাত্র-ছাত্রীদেরকে তথ্যপ্রযুক্তির সঠিক প্রশিক্ষণ চাই এবং এটা গদবাঁধা নিয়মে নয়, বরং হাতে কলমে যাতে ছাত্র-ছাত্রীরা শিখতে পারে এবং সেই জ্ঞানটাকে যাতে কাজে লাগিয়ে আত্মনির্ভরশীল হতে পারে সেই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা দরকার। তাহলে এই দেশের দুর্দশা লাঘব হবে এবং মানুষের অভাব দূর হবে।
বর্তমানে অনলাইনে কিছু কিছু মানুষ প্রতারণা করছে, এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আসলে বিষয়টা সম্পর্কে আমাদের জ্ঞান কম। আমরা যদি সঠিক বিষয়টা বুঝতে পারি, তাহলে আমাদেরকে ঠকানো কঠিন হবে। এই যেমন-আমরা কোন্টা সঠিক তা যাছাই করি না। বিভিন্ন পরিচিতি, বিশ্বস্ত ও ব্র্যান্ড কোম্পানি রয়েছে এরা প্রতারণা করে না। এদের কাছ থেকে যদি আপনি পণ্য অর্ডার করেন, তাহলে তারা আপনার অর্ডারটা সঠিকভাবে আপনার হাতে পৌঁছে দিবে। কিন্তু অজানা কোনো উৎস থেকে যদি আপনি পণ্য অর্ডার করেন, তাহলে আপনাকে বিষয়টা যাচাই করে নিতে হবে। আর যাচাই না করে অর্ডার করলে আপনার ঠকার সম্ভাবনা থাকবে।
উল্লেখ্য, এসএম মানিক রামপুর বাজারের একজন সফল ব্যবসায়ী। তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ সুনামের সাথে ব্যবসা করে আসছেন। তাছাড়াও তিনি রামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির নির্বাচিত সভাপতি।