প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০
আউটার স্টেডিয়ামের সরকারি দেয়াল ভেঙ্গে গেট নির্মাণ বন্ধের দাবি খেলোয়াড়দের
খেলার মাঠের মধ্যে রাস্তা বানিয়ে সীমানা দেয়ালে ব্যক্তিগত গেট তৈরি করে ব্যবহার করছেন অনেকেই। এই দৃশ্য দেখা যাবে চাঁদপুর জেলার আউটার স্টেডিয়াম এলাকায়। যখন যেই দল ক্ষমতায় আসে, তখন সেই দলের প্রভাবশালী ব্যক্তিরাই তাদের নিজেদের লোকদের খুশি করার জন্যে এ কাজগুলো করে আসছেন।
চাঁদপুর স্টেডিয়ামের আউটার স্টেডিয়াম সংলগ্ন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্মিত টেনিস মাঠের পাশেই এই চিত্র দেখা যাবে।
আউটার স্টেডিয়ামে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের স্থাপনাটির পাশেই বড় গেটটি স্টেডিয়ামের সৌন্দর্য নষ্ট করে ফেলেছে। ওই গেটটি বানানোর সময় জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বশীলরা সাংবাদিকরা যেন সেখানে না যেতে পারে সেজন্যে ওই সময়ের ক্ষমতাসীন দলের লোকদেরকে দিয়ে শাসিয়েছেন। জেলা ক্রীড়া সংস্থার দায়িত্বশীল ব্যক্তিটি নিজের চেয়ার বাঁচিয়ে রাখার জন্যে তেমন কোনো ভূমিকা পালন করতে দেখা যায় নি। এছাড়াও নতুন করে গত ক’দিন আগে নবনির্মিত ইনডোর জিমনেশিয়ামের পাশেই দেয়াল ভেঙ্গে দুটি গেট নির্মাণ করা হয়েছে। সরকারি দেয়াল ভেঙ্গে এ সমস্ত গেট নির্মাণ ও ব্যবহারকৃত গেট একবারে বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন খেলোয়াড়রা।
আউটার স্টেডিয়ামের মাঠের মাঝখানে রাস্তা দিয়ে গেটটি নির্মাণ করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী সরকারের আমলে। এ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে স্থানীয় ক্রীড়া সাংবাদিকসহ অনেক গণমাধ্যমকর্মীকেও রোষানলে পড়তে হয়েছিলো। পরবর্তীতে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদসহ ঢাকার অনেক কর্মকর্তারা এসে মাঠটি দেখে গেলেও মাঠের মাঝখানের অংশটি রক্ষা করা যায়নি। ওই পুরোনো অবস্থার কারণেই নতুন করে আবার দেয়ালের বাইরে থাকা বাড়ির মালিকরা খেলোয়াড় ও খেলার চিন্তা না করে মাঠকে বেছে নিয়েছে তাদের যাতায়াতের জন্যে।
আউটার স্টেডিয়ামে অনুশীলনরত বিভিন্ন বয়সী ফুটবলার ও ক্রিকেটাররা এ প্রতিবেদককে বলেন, বাংলাদেশের কোথাও খেলার মাঠে ব্যক্তিগত রাস্তা নির্মাণ করার দৃশ্য খুব একটা দেখা না গেলেও চাঁদপুরে সেটি দেখা যায় । চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত এক সময়কার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ভয়ের কারণে এ বিষয়ে কোনো প্রতিবাদও কেউ করতে পারেনি। তাদের মতে, এভাবেই যদি সরকারি দেয়াল ভেঙ্গে একজনের দেখাদেখি অন্যরাও গেটসহ বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করতে থাকে, তাহলে একদিন আউটার স্টেডিয়ামের অনেক কিছুই তারা দখল করে নেবে। এমনিতেই জেলা শহরে খেলাধুলার মাঠ নেই, তারপরে দখলদারদের দখলদারিত্ব বেড়ে গেলে খেলোয়াড়দের জন্যে মাঠশূন্যতা দেখা দেবে।
খেলোয়াড়রা বতর্মান সময়ের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্বশীল সরকারি কর্মকর্তাসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থার অভিভাবক জেলা প্রশাসকের কাছে প্রত্যাশা করেন, যাতে তিনি সমস্ত গেট নির্মাণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন।