প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ২১:৫৪
Channel 24-এর অনুসন্ধানে মিলেছে সেনাবাহিনীর ভেতর রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার অভিযোগ
আ.লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে মেজর সাদিক সেনা হেফাজতে

চ্যানেল ২৪ অনলাইনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে প্রকাশ, আওয়ামী লীগ কর্মীদের প্রশিক্ষণের অভিযোগে সেনা কর্মকর্তাকে আটক করে সেনা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম মেজর সাদিক, যিনি সাম্প্রতিক সময়ে একটি প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে জড়িত ছিলেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
|আরো খবর
বিশ্বস্ত সামরিক সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামের এক সামরিক এলাকায় রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল, যাতে স্থানীয় পর্যায়ের আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা অংশ নিচ্ছিলেন। বিষয়টি সেনা গোয়েন্দা বিভাগে ধরা পড়ার পরেই মেজর সাদিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর একজন মুখপাত্র জানান, “সেনাবাহিনী সম্পূর্ণভাবে রাজনৈতিক নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। কোনো কর্মকর্তা বা সদস্য যদি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়, তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এই বক্তব্য থেকেই পরিষ্কার, সেনা সদর দপ্তর বিষয়টিকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
চ্যানেল ২৪-এর প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সামরিক প্রশিক্ষণের নামে রাজনৈতিক দলীয় কর্মীদের কৌশলগত শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল, যা সরাসরি সেনাবাহিনীর নীতিমালার পরিপন্থী। এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে তদন্ত চলছে এবং প্রয়োজন হলে সামরিক আদালতে বিচার হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বিশ্লেষকরা বলছেন, একটি রাজনৈতিক দলের পক্ষে কোনো সেনা কর্মকর্তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার জন্য মারাত্মক হুমকি। এ ঘটনা রাষ্ট্র ও রাজনীতির সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলতে পারে। পাশাপাশি সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা রক্ষাও এখন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আওয়ামী লীগ বা তার অঙ্গসংগঠনের পক্ষ থেকে এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। তবে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় সেনাবাহিনীর নিরপেক্ষ অবস্থানকে স্বাগত জানানো হয়েছে এবং আরো তথ্য প্রকাশের দাবি জানানো হয়েছে।
চ্যানেল ২৪-এর অনুসন্ধানমূলক রিপোর্টটি ৩১ জুলাই রাত ৮টা ২৮ মিনিটে প্রথম প্রকাশিত হয় এবং রাত ৯টায় আপডেট করা হয়। প্রতিবেদক কাজী ফয়সাল ঘটনাস্থল এবং সংশ্লিষ্ট দপ্তর ঘুরে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছেন।
ডিসিকে/এমজেডএইচ