প্রকাশ : ৩১ জুলাই ২০২৫, ২৩:১৩
সফল শিক্ষয়িত্রী ও নারী সংগঠক আলহাজ্ব জাহানারা বেগমকে স্মরণ
আজ চাঁদপুর কণ্ঠ সম্পাদকের মায়ের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী

আজ ১ আগস্ট চাঁদপুরের সফল শিক্ষয়িত্রী, নারী সংগঠক ও দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও প্রকাশক, জেলা আইনজীবী সমিতি ও চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি রোটারিয়ান আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের মাতা আলহাজ্ব জাহানারা বেগম-এর ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী।
|আরো খবর
উল্লেখ্য, আলহাজ্ব জাহানারা বেগম দীর্ঘ ৪২ বছর শিক্ষকতার সাথে জড়িত ছিলেন। তিনি ১৯৩৪ সালের জুলাই মাসে চাঁদপুর শহরের আলীমপাড়াস্থ সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন ব্রিটিশদের কাছ থেকে 'খান সাহেব' খেতাবপ্রাপ্ত মরহুম সিরাজুল ইসলাম মোক্তার এবং মাতা হাফেজা খাতুন।
৫ বোন ও ৩ ভাইয়ের মধ্যে তিনি ছিলেন চতুর্থ। প্রাথমিক শিক্ষা লাভ করেন আলীমপাড়াস্থ লেডী দেহলভী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। ১৯৫১ সালে লেডী প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে আইএ, বিএ ও এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন।
১৯৪৮ সালে হাজীগঞ্জ উপজেলার বাকিলা ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির আবুল বাশার মজুমদারের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৫২ সালে লেডী প্রতিমা মিত্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে জুনিয়র শিক্ষিকা হিসেবে শিক্ষকতা জীবন শুরু করেন।
১৯৭৫ সালে এ বিদ্যালয় ছেড়ে ঢাকার মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজে যোগ দেন। ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত তিনি সেখানে শিক্ষকতা করেন এবং এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে অবসর গ্রহণ করেন। অবসরের পর চাঁদপুরে ফিরে এসে ছেলে আলহাজ্ব অ্যাড. ইকবাল-বিন-বাশারের অনুরোধে কিছুদিন চাঁদপুর রেলওয়ে কিন্ডারগার্টেনে শিক্ষকতা করেন।
আলহাজ্ব জাহানারা বেগম একজন আদর্শ নারী ও শিক্ষয়িত্রী হিসেবে সকলের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধেয় ছিলেন। তিনি সবসময় আল্লাহর দরবারে শুক্রবারে যেনো মৃত্যু হয় এই দোয়া করতেন এবং আল্লাহ তাঁর সে দোয়া কবুল করেছেন। কারণ ১৭ বছর আগে ১ আগস্ট শুক্রবারেই তিনি ইন্তেকাল করেন।
মৃত্যুর পর চাঁদপুর শহরে প্রথম জানাজা এবং শ্রীপুর গ্রামের মজুমদার বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে স্বামী মরহুম আবুল বাশার মজুমদারের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হয়।
ডিসিকে/এমজেডএইচ