সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৪  |   ২৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দৈনিক ইনকিলাবের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শহীদুল্লাহ্ মিজির দাফন সম্পন্ন
  •   শনিবার চাঁদপুরে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষের অংশগ্রহণে ম্যারাথন প্রতিযোগিতা

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

বছরের শুরুতেই প্রত্যেক খেলার সূচি নির্ধারণ করতে হবে
চৌধুরী ইয়াসিন ইকরাম ॥

ছোটকাল থেকেই পাড়া মহল্লার বড়ভাই ও বন্ধুদেরকে সাথে নিয়ে খেলাধুলা শুরু করেন। বাবা , মা ও বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় ও শিল্প-সংস্কৃতির সাথে তিনি স্কুল জীবনেই জড়িয়ে পড়েন। নিজ জন্মস্থান চাঁদপুর শহরের জোড়পুকুর পাড় এলাকায় । বর্তমানেও ওই এলাকাতেই তারা বসবাস করছেন। তার বাবার ঔষধের ব্যবসায়ী ছিলেন। বর্তমানে খেলাধুলা ছেড়ে দিলেও মাঠ থেকে বিদায় নেননি। একজন আম্পায়ার হিসেবে নিয়মিত ক্রিকেট মাঠে বড় বড় ম্যাচ পরিচালনা করছেন। কোনো টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হলেই তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। বর্তমানে তার মূল পেশা হচ্ছে আইনপেশা। চাঁদপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্যভুক্ত হয়ে ২০১৮ সাল থেকে নিয়মিত আইনজীবী হিসেবে প্র্যাকটিস করে যাচ্ছেন। তিনি হলেন সাবেক ক্রিকেটার ও সংগীত শিল্পী অ্যাডঃ বিশ্বজিত কর রানা। তার বাবার নাম স্বর্গীয় প্রাণ বল্লভ কর। মায়ের নাম কৃষ্ণা রাণী কর। ২ ভাইয়ের মধ্যে বড়ভাই সত্যজিত কর সোহাগ ( এম কম, এল এলবি ) । তিনি চাঁদপুর শহরের ছায়াবাণী মোড়ের নিকটস্থ সিটি স্কিন সেন্টার ও জোড়পুকুর পাড়স্থ এম আর আই সেন্টারের পরিচালক। তার বাবা ছিলেন জোড়পুকুর পাড়স্থ ঔষধ বিতানের স্বত্বাধিকারী । তার গর্ভধারিণী মা ছিলেন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পরিবার কল্যাণ সহকারী । বর্তমানে পরিবার পরিজন নিয়ে তারা একসাথেই বসবাস করছেন। তিনি ২০১৮ সালের ১২ ডিসেম্বর চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডস্থ দত্ত বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত কৃষি ব্যাংক কর্মকর্তা উত্তম দত্তের মেয়ে মৌমিতা দত্তের সাথে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন। তাদের সংসারে জমজ ২ ছেলে দেবজিত কর মেঘ ও স্নিগ্ধজিত কর মুখর রয়েছে। অ্যাডঃ বিশ্বজিত কর রানা চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর তালিকাভুক্ত সংঙ্গীত শিল্পী ও রক্সি মিউজিক্যাল গ্রুপের পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তিনি উদয়ন শিশু বিদ্যালয় থেকে প্রাইমারি জীবন শুরু করেন। ১৯৯৫ সালে ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করে এইচএসসিতে ভর্তি হন পুরানবাজার ডিগ্রি কলেজে। এরপর চাঁদপুর সরকারি কলেজ থেকে ২০০০ সালে হিসাব বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেন। ২০১১ সালে চাঁদপুর ল' কলেজ থেকে এলএলবি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৮ সালে আইনপেশায় কর্মময় জীবন শুরু করেন। এর আগে তিনি বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম চাঁদপুর শাখার হিসাবরক্ষণ বিভাগ, চাঁদপুরস্থ বাংলালিংক কাস্টমার কেয়ার এন্ড সেলস্, গ্রামীণ ফোন কাস্টমার কেয়ার সেলস্-এ চাকুরি করেছেন। তিনি ছিলেন ক্রিকেট খেলায় একজন ডানহাতি পেস বোলার। বর্তমানে চাঁদপুর জেলা আম্পায়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন সহ বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রয়েছেন।

চাঁদপুর কণ্ঠের ক্রীড়াপ্রতিবেদকের সাথে আলাচারিতায় তিনি তুলে ধরেন তার ক্রিকেট খেলা, সংগীত শিল্পী হিসেবে বিভিন্ন কথা। পাঠকদের জন্য তার বক্তব্যগুলো হুবহু তুলে ধরা হলো :-

ক্রীড়াকণ্ঠ : কেমন আছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : জ্বি সকলের দোয়া ও আশীর্বাদে ভালো আছি। শুরুতেই সকলকে জানাই বিজয় দিবস সহ ইংরেজি নববর্ষের অগ্রিম শুভেচ্ছা।

ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলা শুরু করেন কবে থেকে? কারা কারা ছিলো তখন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি প্রাইমারি স্কুলে পড়াবস্থায়ই পাড়ার ভাই-বন্ধুদেরকে নিয়ে ক্রিকেট ও ব্যাডমিন্টন খেলা শুরু করি। আমরা আমাদের ওই সময়ে পাড়ার সকলে মিলে একসাথে খেলাধুলা করতে নামতাম। তখনকার সময়ে একই এলাকায় বসবাসকারী এবং স্কুল পড়ুয়া বন্ধুদের মধ্যে মুক্তার , জনি, হিমু, তুহিন, রামু, জুয়েল, কবির, আরজু, শরীফ, শাহেদ, রুশু, সজল দা, বাবুল দা সহ পাড়ার সকলে মিলে খেলাধুলা করতাম।

ক্রীড়াকণ্ঠ : মাঠে ক্রিকেট ম্যাচ শুরু হয় কবে থেকে?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি ডিএন স্কুলে নবম শ্রেণীতে পড়াবস্থায় চাঁদপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট ম্যাচ খেলা শুরু করি। আমাদের সময়ে ক্রিকেট খেলায় অনেক মজা হতো। পুরাণবাজার , গুয়োখোলা সহ অনেক ক্লাবের খেলোয়াড় ও সর্মথকরা বাদ্যযন্ত্র নিয়ে আসতেন খেলার মাঠে। আমি পাইওনিয়ার ক্লাবের হয়ে খেলতে নামি। আমি ওই সময়ে খেলতে পেরেছি চাঁদপুর স্টেডিয়াম মাঠের চার-ছক্কার রাজা হারু ঘোষ, শামিম আকআর ফারুকী, মজিব খন্দকার, সজল দা, সমর দা, বিশু দা, সুকু দা, সফিউল আলম সুমন, সঞ্জয় দাস সুমন, নিটুল, শফিউল আযম রাজন, মজু রাসেল, হেলাল, সুব্রত, জনি, রিফাই ভাই, ফয়সাল গাজী বাহারের সাথে। আমাদের সময়ে সিনিয়র ও জুনিয়র ক্রিকেটারদের মধ্যে ছিলো খুব মধুর সম্পর্ক। আমরা সিনিয়রদেরকে যেমন সম্মান করতাম, তেমনি জুনিয়রদেরকেও অনেক সম্মান এবং আদর করতাম। যা আজকাল তেমন চোখে পড়ে না।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি কি জেলা দলে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি জেলা ক্রিকেট দলে ১৯৯৭ সালে খেলার জন্য ডাক পেয়েছিলাম। কিন্তু ওই সময়ে বাঘা বাঘা পেস বোলারদের দাপটের কারণে মূল একাদশে কখনও খেলার সুযোগ পাইনি। তখন জেলা দলের পেস বোলার ছিলেন নিটুল, রাজন, রিফাই, গাজী আলমগীর, কুন্ডু সাহার মতো পেস (ফাস্ট) বোলার।

ক্রীড়াকণ্ঠ : চাঁদপুরের কোন্ কোন্ ক্লাবের হয়ে খেলেছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি পাইওনিয়ার ক্লাব ও অঙ্গনা এসএস ক্রীড়া সংগঠনের হয়ে খেলেছি। মোহামেডান ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পেলেও বিভিন্ন কারণে খেলা হয়নি। তবে আমি ১৯৯৪-৯৫ সালে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে প্রথম বিভাগ ক্রিকেট লীগ খেলা শুরু করি এবং ২০০৮ সাল পর্যন্ত এ দুটি ক্লাবের হয়ে নিয়মিত মূল একাদশের হয়ে খেলা চালিয়ে যাই।

ক্রীড়াকণ্ঠ : ঢাকায় কি কোনো ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন কিংবা ঢাকায় খেলেছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি ঢাকার মোহাম্মদপুর ইলেভেন বুলেট এবং লালবাগ জুনিয়র টিমের হয়ে ৩য় বিভাগ ক্রিকেটের বাছাই পর্বের খেলাতে অংশ নেই। পরবর্তীতে চাঁদপুর পাইওনিয়ার ক্লাবের হয়ে ঢাকার ৩য় বিভাগ ক্রিকেট লীগের মূল পর্বে খেলি। ঢাকায় অনুষ্ঠিত সেই ৩য় বিভাগ ক্রিকেট লীগ পরবর্তীতে চাঁদপুর পাইওনিয়ার ক্লাব চ্যাম্পিয়ন হয়।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আম্পায়ারিংয়ের সাথে জড়িত হন কবে থেকে?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি ১৯৯৭ সাল থেকে শামিম ফারুকী এবং স্কোরার টিটু ভাই ও সুমন ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় স্কোরিংয়ে কাজ শুরু করি। পরবর্তীতে ২০০২ সালে লেভেল এ আম্পায়ার ট্রেনিংয়ে অংশ নিয়ে ২য় বিভাগে উত্তীর্ণ হয়ে একজন কোয়ালিফাইড আম্পায়ার হিসেবে আম্পায়ারিং শুরু করি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আম্পায়ারিং এবং সমিতির দায়িত্ব পালন কবে থেকে?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি বাংলাদেশ আম্পায়ারিং এন্ড স্কোরার্স অ্যাসোসিয়েশনের তালিকাভুক্ত সদস্য। চাঁদপুরে আমি ২০০৩ সালে আম্পায়ার এন্ড স্কোরার্স সমিতির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করি। সমিতির সাধারণ সম্পাদক একজন ভালো ক্রীড়াবিদ নুরুল হুদা টিপু ভাই মারা গেলে আমাকে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৬ সাল থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদপুর আম্পায়ার সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : শিল্প-সংস্কৃতির সাথে জড়িয়ে পড়েন কবে থেকে?

বিশ্বজিত কর রানা : আমার পরিবারে আমার নানী, মা, খালা এবং মামা সবাই সংগীতের সাথে জড়িত ছিলেন। আমার বাবা ছিলেন চাঁদপুর ড্রামা নাট্যদলের একজন সদস্য এবং অভিনেতা। ছোটবেলায় মায়ের কাছেই হাতেখড়ি সংগীতে। মামা ছিলেন একজন তবলা বাদক। চাঁদপুরের নামকরা গীতিকার দেবদাস খোকন ছিলেন গণসংগীত শিল্পী, আমার মায়ের মামা। তাদের অনুপ্রেরণায় তৃতীয় শ্রেণীতে পড়াবস্থায় আমি সংগীত নিকেতনে ভর্তি হই। তখন আমার শিক্ষক ছিলেন সংগীত গুরু বাবুল চক্রবর্তী ও ব্যাংকার মুজিবুর রহমান। ৩ বছর গান শেখার পর পড়াশোনার কারণে গান শেখা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে কলেজে পড়ার সময় নগর বাউল ব্যান্ড তৎকালীন ফিলিংস ব্যান্ডের গান শুনে জেমস্-এর ভক্ত হয়ে পড়ে পুনরায় সংগীতে মনোনিবেশ করি এবং কাবেরী সরকারের প্রেরণা ও মৃনাল সরকারের নিকট তালিম নেয়া শুরু করি। ১৯৯৯ সালে আমাদের সকলের পরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব হারুন আল রশীদের হাত ধরে মৃনাল সরকারের সহযোগিতায় চতুরঙ্গ সাংস্কৃতিক সংগঠনের হয়ে প্রথম চাঁদপুরের মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলা মঞ্চে সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে গান শুরু করি। গিটারিস্ট সুমন এবং ড্রামস বাদক রাসেল ও গিটারিস্ট মিল্টন সহ ২০০২ সালে হার্ট এন্ড সোল নামে একটি ব্যান্ড দল গঠন করি এবং ঐ বছরই পুরাণ বাজার মাঠে একক প্রোগ্রামের মাধ্যমে ব্যান্ড তারকা হিসেবে আত্মপ্রকাশ করি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : সংগীত শিল্পী হিসেবে কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : সংগীত শিল্পী হিসেবে আমি ছোটবেলায় শিশুদের অনেক প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ করি। বড় হয়ে ডিজিউস রক স্টার এবং ক্লোজআপ ওয়ানে অংশগ্রহণ করি। ডিজিউস রক স্টার-এ আমার ব্যান্ড হার্ট এন্ড সোল প্রথম পর্যায়ে উত্তীর্ণ হয়ে ২য় রাউন্ডে যায়। আমরাই চাঁদপুরের কোনো ব্যান্ডদল, যারা কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়।

ক্রীড়াকণ্ঠ : সংগীত শিল্পী হিসেবে জেলার বাইরে কোনো স্টেজ প্রোগ্রাম করেছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি সংগীত শিল্পী হিসেবে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলাতেই সরকারি-বেসরকারি অনুষ্ঠানে অংশ নেই। এছাড়া আমি চাঁদপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমীর একজন তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে শিল্পকলার সকল অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করি। ঢাকা, কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী ও চট্টগ্রামে বিভিন্ন কনসার্টে অংশগ্রহণ করি। এছাড়া আমি রুপক রায়ের পরিচালিত ডকুমেন্টারি 'শুভ সকালে' নাট্যকার ড. ইনামুল হকের সাথে একটি নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনি ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক কোন্ কোন্ সংগঠনের সাথে জড়িত আছেন?

বিশ্বজিত কর রানা : আমি চাঁদপুর পূজা উদযাপন পরিষদ পৌর শাখার সহ-সভাপতি, বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক, ফরমার্স ক্রিকেটার্স অব চাঁদপুরের সাংগঠনিক সম্পাদক , চাঁদপুর পৌর ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের আইন বিষয়ক সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করছি।

ক্রীড়াকণ্ঠ : শিল্প সংস্কৃতির সাথে জড়িত আছেন বলে জানতে চাই, জেলার শিল্প সংস্কৃতির উন্নয়নে কী করা প্রয়োজন বলে আপনি মনে করেন?

বিশ্বজিত কর রানা : বর্তমানে আমি শিল্প সংস্কৃতির সাথে পূর্বের মতোই জড়িত। সংস্কৃতির ক্ষেত্রে শিল্পীদের শিল্পক্ষেত্রে অগ্রধিকার দেয়া দরকার। জেলার শিল্প সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য শিল্পীদের নিয়ে দীর্ঘমেয়াদী ওয়ার্কসপ করা প্রয়োজন । জেলায় এবং জেলার বাইরে শিল্পীদের নিয়ে প্রতিযোগিতামূলক আয়োজন করতে হবে। শিল্পীদের বিভিন্ন বিষয়ে প্রাধান্য দিতে হবে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : উদীয়মান ক্রিকেটার ও শিল্পীদের উদ্দেশ্যে কিছ বলুন।

বিশ্বজিত কর রানা : আমার প্রথম কথা হচ্ছে, দু বিভাগেই সকলকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। বড়দেরকে সম্মান করতে হবে। বড়রা সহ কর্মরত কোচ ও শিক্ষকরা যেভাবে খেলাধুলা এবং বিভিন্ন বিষয়ে বলবে সে বিষয়ে মেনে চলতে হবে। আর দুটি বিষয়েই মনে রাখতে হবে, প্রশিক্ষণে ঠিকমতো আসতে হবে। প্রশিক্ষণের ক্ষেত্রে যতো বেশি পরিশ্রম করা যাবে তত বেশি উন্নতি করতে পারবে প্রতিটি জায়গা থেকে নিজ নিজ ক্ষেত্রে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : খেলাধুলার উন্নতির জন্য ক্রীড়া সংস্থার কী উদ্যোগ নেয়া দরকার?

বিশ্বজিত কর রানা : খেলাধুলার ক্ষেত্রে জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে কিছু কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত। বছরের শুরুতেই বিভিন্ন ইভেন্টের খেলাগুলো কোন্ সময়ে কোন্ মাসে হবে সেই কর্মসূচি ঠিক করা। কর্মসূচি অনুযায়ী মাঠে খেলা গড়ালেই অনেক খেলোয়াড় সৃষ্টি হবে। সাবেক খেলোয়াড়দেরকে মূল্যায়ন করতে হবে। খেলাধুলার ক্ষেত্রে খেলোয়াড়দেরকে বেশি বেশি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। নিয়মিত মাঠে খেলাধুলা হোক এবং খেলোয়াড় সৃষ্টি হোক-এই প্রত্যাশা করি জেলা ক্রীড়া সংস্থার কাছে।

ক্রীড়াকণ্ঠ : আপনাকে সময় দেয়ার জন্য ধন্যবাদ।

বিশ্বজিত কর রানা : আপনিসহ সকলের প্রতি রইলো ধন্যবাদ।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়