প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০
১৯৯৪ সালের ১৭ জুন চাঁদপুর কণ্ঠ পাঠকের হাতে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। এই সম্ভবকে যথাযথভাবে নিশ্চিত করতে সৃষ্টির প্রসব যন্ত্রণা বলতে যা বোঝায়, সেটি স্বল্প সংখ্যক সহকর্মীদের চেয়ে আমি তুলনামূলকভাবে বেশিই অনুভব করেছি। সেজন্যে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে অসম্ভব মায়ায় জড়িয়ে গেছি। সাপ্তাহিক চাঁদপুরের বার্তা সম্পাদক ও সাপ্তাহিক হাজীগঞ্জের যুগ্ম সম্পাদকের দায়িত্ব ছেড়ে কীভাবে চাঁদপুর কণ্ঠে পুরোপুরি বুঁদ হয়ে গেলাম, সেটা ভাবতেই শিউরে উঠি। বিগত ২৯ বছর ধরে পর্যায়ক্রমে নির্বাহী সম্পাদক, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রধান সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে চলছি। এর মধ্যে প্রায় সাড়ে ২৪ বছর ধরে প্রধান সম্পাদকের দায়িত্বই পালন করছি। এই সময়ে কতো সহকর্মী আসলো গেলো তার হিসাব মিলাতে পারছি না এবং সকলকে স্মৃতিতে ধারণ করতে পেরেছি বলেও দাবি করতে পারছি না। মনে হচ্ছে কেবল, একটি ট্রেনের চালক হিসেবে কেবল সম্মুখপানে ছুটে চলছি। গন্তব্য কোন্ সুদূরে সেটা বলতে পারছি না।
আমার শ্রদ্ধেয় পরিচালক ও দিকনির্দেশক হিসেবে পত্রিকাটির প্রতিষ্ঠাতা, সম্পাদক ও প্রকাশক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশার বিশ্বাসের ভরে ব্রেক কষেননি বলে আমি ট্রেনটি কেবল চালিয়েই যাচ্ছি। আজ বড্ড ইচ্ছা জেগেছে মনে, অন্তত তিরিশের মাইলফলক ছোঁবার আগে তিনি যেনো দয়া করে ব্রেক না কষেন তথা ট্রেনটা থামিয়ে না দেন সেই অনুরোধটুকু তাঁকে জানাই।
অসীম দয়ালু আল্লাহতা’লা সুস্থতার নেয়ামত দিয়ে যতোদিন বাঁচিয়ে রাখেন, ততোদিন এই ট্রেন চালাবার সখ যে আছে মনে। তবে তেল তো থাকতে হবে--। এই তেল থাকা ও তেল রাখাটাই এখন অনেক বড়ো চ্যালেঞ্জ। সে চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে পারবো তো? বস্তুত এমন ভাবনাতেই কাটে প্রহর। কারণ, করোনা ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এই ভাবনাকে করেছে প্রবল থেকে প্রবলতর। বড্ড দুঃসময় পার করছি বললে মোটেও বাড়িয়ে বলা হবে না। চাঁদপুর কণ্ঠের সুপ্রিয় পাঠক, বিজ্ঞাপনদাতা, শুভাকাঙ্ক্ষীসহ অন্য সকলের প্রতি একটাই দাবি, আপনারা আন্তরিকভাবে দোয়া/আশীর্বাদ করুন, যাতে আগামী ৩৬৪ দিন পর তিরিশ বছরের মাইলফলকটি স্পর্শ করতে পারি এবং তারপর পাড়ি দিতে পারি অনন্ত পথ---।
লেখক : প্রধান সম্পাদক, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ; দুবারের সাবেক সভাপতি, চাঁদপুর প্রেসক্লাব।