বুধবার, ০৯ এপ্রিল, ২০২৫  |   ২৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ০৮ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৭

ঈদের ছুটিতেও স্বাস্থ্যসেবা!

অনলাইন ডেস্ক
ঈদের ছুটিতেও স্বাস্থ্যসেবা!

ঈদের ছুটিতেও চাঁদপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র (মাতৃমঙ্গল হাসপাতাল) এবং ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রগুলোতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা অব্যাহত ছিলো, যা স্বাস্থ্য খাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। জেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক একেএম আমিনুল ইসলাম জানান, জেলায় ৮১টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র এবং ৬টি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার ও পরিবার কল্যাণ পরিদর্শিকার পদ শূন্য থাকায় ২০টি সেবা কেন্দ্রে সেবা প্রদান করা সম্ভব হয়নি। বাকি সব সেবা কেন্দ্রে ঈদের ছুটিতে মা ও শিশুদের জন্যে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা হয়েছে। বিশেষ করে চাঁদপুর জেলা শহরের প্রেসক্লাব রোডস্থ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রটিতে ঈদের ছুটিকালীন সেবা গ্রহীতাদের উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যণীয়। এই কেন্দ্রে স্বাভাবিক প্রসব সেবা প্রতি মাসে ১০০ ছাড়িয়ে যায়। তিনি আরো জানান, মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে সহকর্মীদের মাধ্যমে সেবা কেন্দ্রগুলোতে ঈদের ছুটিতে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পরামর্শ প্রদান করা হয়। সরকারের পাশাপাশি জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের অধীনস্থ এনজিও ক্লিনিকগুলোও এ সময়ে চিকিৎসা সেবা চালু রেখেছে, যাতে কোনো মা কিংবা শিশু স্বাস্থ্যসেবা থেকে বঞ্চিত না হয়। আমরা এ ধরনের নির্দেশনা ঈদের ছুটির পূর্বেই সহকর্মী ও এনজিওকর্মীদের জানিয়ে দিয়েছি। এ সময়ে গর্ভকালীন পরিচর্যা ৪০৩, স্বাভাবিক প্রসব সেবা ১২৮, প্রসবোত্তর পরিচর্যা ১৮৫, শিশু সেবা ৩৪৮ এবং সাধারণ রুগী সেবা (পুরুষ ১২৮ ও মহিলা ৪৭৯) ৬০৭ জনসহ সর্বমোট ১৬৭১ জন পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের সেবা কেন্দ্রগুলো হতে স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করে। ঈদ উপলক্ষে পরিবার পরিকল্পনা কর্মীরা সাধারণত নিজেদের পরিবার থেকে দূরে থেকেও এই সেবা প্রদান করেছেন, যা দেশের জনগণের জন্যে একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। বিশেষ করে গর্ভবতী মায়েরা এবং নবজাতক শিশুরা এ সময়ের মধ্যে যথাযথ চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ থাকতে সক্ষম হয়েছে।

জেলা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, এ ধরনের কার্যক্রম আগামী দিনগুলোতেও অব্যাহত থাকবে এবং মা ও শিশুদের স্বাস্থ্যসেবা দিতে সবসময় প্রস্তুত থাকবে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা।

এবারকার ঈদের নয়দিনের ছুটিতে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, চাঁদপুর-এর কর্মীদের স্বাস্থ্যসেবা প্রদানের বিষয়টি নিঃসন্দেহে অনেক খারাপ খবরের মধ্যে বেশ ভালো একটি খবর, যেটি গতকাল চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগের তৃণমূল পর্যায়ে কাজ করার যে জনবল আছে, সেটা অনেক সরকারি প্রতিষ্ঠানেরই নেই। কিন্তু চাঁদপুরের ন্যায় এই জনবল দেশের সকল স্থানে সমানভাবে সক্রিয় নয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এই বিভাগের চাঁদপুর জেলার প্রধান কর্তাব্যক্তি (উপ-পরিচালক)গণের আন্তরিকতার কারণে তৃণমূল পর্যায়ের স্বাস্থ্যসেবা যেমন পূর্বের দুর্নাম গোছাতে সহায়ক হয়েছে, তেমনি চাঁদপুরের জন্যে জনপ্রশাসন পদকসহ অনেক পুরস্কারই এনে দিয়েছে। আমরা পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ, চাঁদপুর-এর ভালো কাজের ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকুক-নিরন্তর সে প্রত্যাশা করছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়