প্রকাশ : ১৭ জুন ২০২৩, ০০:০০
আদর্শ রাষ্ট্র বিনির্মাণে জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠন ও মুক্তবুদ্ধির অবারিত চর্চার কোনো বিকল্প নেই। রাষ্ট্রের জনগণের চিন্তাশীলতাকে পরিচর্যা করতে না পারলে জনকল্যাণমুখী রাষ্ট্র গঠন করা সম্ভব নয়। পাশাপাশি তথ্যের স্বচ্ছতা ও প্রবাহকে নিরন্তর রাখা জরুরি। এতে একদিকে যেমন সুশাসন ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হয়, তেমনি অন্যদিকে গণতন্ত্রও সুসংহত হয়। জ্ঞান ও মুক্তবুদ্ধিভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে সংবাদপত্রের ভূমিকা সর্বজনবিদিত। এ কারণে একে যেমন জনগণের সংসদ নামে অভিহিত করা হয়, তেমনি অন্যদিকে তা রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ নামেও আখ্যাত। আমাদের মহান জাতির পিতা, হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নিজেও তাঁর জীবনের কিছুকাল সাংবাদিকতার সাথে যুক্ত ছিলেন এবং স্বাধীনতাণ্ডপূর্ব সময়ে দৈনিক ইত্তেফাকের জন্মপ্রক্রিয়ার সাথে সরাসরি সংশ্লিষ্ট ছিলেন। তাঁর আস্থা ও স্নেহে আমার প্রয়াত পিতাও দৈনিক ইত্তেফাকের কর্মাধ্যক্ষরূপে দীর্ঘকাল বাঙালি ও বাংলাদেশকে সেবা দিয়ে গেছেন। সাংবাদিক পরিবারের একজন সন্তান হিসেবে আমি সব সময় সাংবাদিক সমাজ ও সংবাদপত্রের জগৎকে আত্মার আত্মীয়রূপে গণ্য করি এবং গভীর আন্তরিকতা অনুভব করি। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নিজেও একজন সাংবাদিক-বান্ধব মানুষ, যিনি করোনা-বিপর্যয়ে উদারভাবে তাঁর হাত প্রসারিত করেছিলেন। বর্তমান সরকারের উন্নয়ন-কর্মকাণ্ডকে দেশের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে দিতে আজকের সংবাদপত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
মেঘনাপাড়ের ইলিশের বাড়ি চাঁদপুর সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের পদচারণায় আলোকিত ও মুখরিত জনপদ। বর্তমান সরকারের অবদানে এখানে সাংবাদিকদের জন্যে সুদৃশ্য প্রেসক্লাব ভবন গড়ে উঠেছে, যা সাংবাদিকদের জন্যে একটা নির্দিষ্ট ঠিকানার পাশাপাশি আয়বর্ধক প্রতিষ্ঠানে রূপান্তরিত হয়েছে।
মেঘনাপাড়ের প্রথম ও সর্বাধিক প্রচারিত সংবাদপত্রের নাম ‘দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ’। ঊনিশশো চুরানব্বই সালে আলোর মুখ দেখা ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ আজ হাঁটি হাঁটি পায়ে ত্রিশ বছরে পদার্পণ করেছে। একটি সংবাদপত্রের পক্ষে ত্রিশ বছর ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হওয়া খুব সহজ কথা নয়। এর জন্যে পার হতে হয়েছে অনেক চড়াই-উতরাই। আজ সত্যিকার অর্থেই ‘দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ’ চাঁদপুরের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনে এই পত্রিকাটির ভূমিকা প্রশংসনীয়। আমি চাঁদপুর কণ্ঠের ত্রিশ বছর পদার্পণে সম্পাদক-প্রকাশকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে অভিনন্দন জানাই এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরায় তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই।
আমি আশা করি, একদিন এই পত্রিকা তার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপন করবে এবং মফস্বল ছাপিয়ে জাতীয় দৈনিকে রূপান্তরিত হবে। সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতায় দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ হয়ে উঠুক সবার কাছে অনুসরণীয়।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
ডাঃ দীপু মনি এমপি
জাতীয় সংসদ সদস্য, চাঁদপুর-৩
শিক্ষামন্ত্রী
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার।