প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০
১৭ জুন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২৯ বছর অতিক্রম করে ৩০ বছরে পদার্পণ। ১৯৯৪ সালের ১৭ জুন শুরু হয়েছিল পথচলা। শৈশব, কৈশোর অতিক্রম করে যৌবনে পদার্পণ। অনেক চড়াই-উৎরাই পার করে আজ ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ অর্জন করেছে তার স্ব-মহিমা। চাঁদপুরের অনেক দৈনিক পত্রিকার ভিড়ে আজ সে অর্জন করেছে শ্রেষ্ঠত্ব। ছোট ট্যাবলয়েড পত্রিকা থেকে আজ বড় পরিসরে স্ব-মহিমায় প্রকাশিত।
মানুষ যেমন বেঁচে থাকে তার নানাবিধ সুকীর্তির মাধ্যমে, তেমনি ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ বেড়ে উঠছে বয়স অতিক্রম করে, এগিয়ে চলেছে তার সুষ্ঠু প্রকাশনায়। নিরপেক্ষতা, বস্তানিষ্ঠতা তার বেড়ে ওঠার মহীসোপান। এখানে নেই কোনো পক্ষপাতিত্ব। দলমত নির্বিশেষে সব রকমের খবর প্রকাশিত হচ্ছে এই পত্রিকায়। চাঁদপুর শুধু নয়, চাঁদপুরের বাইরে বিভিন্ন উপজেলা এবং বলতে গেলে সারাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবর প্রকাশিত হচ্ছে এ পত্রিকায়। প্রতিদিন বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রকাশিত হচ্ছে কত নানা অজানা খবর। পাঠক ফোরাম, শিক্ষাঙ্গন, শিশুকণ্ঠ, ক্রীড়া, চিকিৎসাঙ্গন ইত্যাদি। কত বিষয়ে নানা রকমের খবর পরিবেশিত হচ্ছে।
নতুন করে শিক্ষা বিষয়ক তথ্য প্রকাশ করছেন আমাদের সাংবাদিক ভাই এইচএম জাকির। যিনি লেখক, সংগঠক ও সমাজকর্মী। তাঁর লেখায় অনেক অজানা তথ্য জানতে পেরে (শিক্ষা বিষয়ে) সত্যি আমরা উপকৃত। ঠিক এভাবে বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া, যার কাছ থেকে জানতে পারছি অসুখের নানাবিধ তথ্য এবং কবি, সাহিত্যিকদের জীবন-ইতিহাস।
বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলের অনেক গুরুত্বপূর্ণ না জানা ও নানাবিধ সংবাদ প্রকাশিত হচ্ছে সাংবাদিক ভাইদের তথ্যানুসন্ধানের মাধ্যমে। এ কারণে দিন দিন বেড়ে চলেছে চাঁদপুর কণ্ঠের গ্রহণযোগ্যতা। আমার কাছে এই পত্রিকাটি অত্যন্ত প্রিয়। এতে রয়েছে সঠিক সময়োচিত সংবাদ। যা তত্ত্ব ও তথ্য সমৃদ্ধ। কাজেই একদিন ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’ না পড়তে পারলে আমার অতৃপ্ত বাসনা থেকে যায়। তাই প্রতিদিন অধীর আগ্রহে থাকি এ পত্রিকাটির জন্যে।
চাঁদপুর কণ্ঠের প্রচার ও প্রসারতা দিন দিন বেড়েই চলেছে। যেন চাঁদপুর কণ্ঠ তার এই প্রসারতার জন্যে বলছে ‘আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ’। ২৯ বছর পেরিয়ে মফস্বল শহরে একটি দৈনিক পত্রিকার ৩০ বছরে পদার্পণের পথচলার বিষয়টি সত্যিই নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। প্রত্যাশা রইলো চাঁদপুর কণ্ঠ শতায়ু হোক! চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ুক তার সংবাদ নির্যাস। চাঁদপুর কণ্ঠ আরো বেশি প্রসারতা পেয়েছে বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। ২০০৮ সাল থেকে শুরু বিতর্কের পথচলা। বিতর্ক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তৈরি করেছে অগণিত সুবক্তা। যারা বিভিন্ন মিডিয়ার মাধ্যমে অর্জন করেছে খ্যাতি। দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জন করে দেশকে নিয়েছে সম্মানজনক স্থানে। এসবের পিছনে যার অবদানের কথা স্বীকার না করলেই নয়, তিনি আর কেউ নন চাঁদপুর কণ্ঠের প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত ভাই। যার অক্লান্ত, নিঃস্বার্থ প্রচেষ্টায় গড়ে উঠেছে দুটি বিতর্ক প্রতিষ্ঠান। যাতে তৈরি হয়েছে সুবক্তা বিতার্কিকেরা।
শুধু বিতর্কানুষ্ঠানই নয়, এককভাবে লিখে, মনের আবেগ ও পারিপার্শ্বিক অবস্থানের কথা জনসমক্ষে প্রকাশ করে অনেকেইে চাঁদপুর কণ্ঠের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। না বললেই নয়, ডাঃ পীযূষ কান্তি বড়ুয়া যার চিকিৎসা সেবার বিভিন্ন দিক অবিস্মরণীয়ভাবে রোগীদের জ্ঞাতার্থে সাবলীলভাবে তুলে ধরেছেন। তাছাড়া বিভিন্ন কবি-সাহিত্যিকদের নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ বক্তব্য তুলে ধরেছেন। আরও রয়েছে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর বিভিন্ন ধরনের ছড়া। লিখছেন প্রবীণ বিষয়ক লেখক হাসান আলী, পাঠক ফোরাম, সুচিন্তার বিভাগীয় সম্পাদক মুহাম্মদ ফরিদ হাসান, আর্সেনিক নিয়ে বিভিন্ন তথ্য সমৃদ্ধ লেখা প্রকাশ করেছিলেন প্রয়াত বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রকৗশলী মোঃ দেলোয়ার হোসেন। এছাড়াও আরো অনেকে গঠনমূলক তথ্য সমৃদ্ধ লেখা লিখে চাঁদপুর কণ্ঠকে সমৃদ্ধ করেছেন।
সর্বশেষ চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারের সকলকে শুভেচ্ছা এবং চাঁদপুর কণ্ঠের দীর্ঘায়ু কামনা করি। তার পথচলা আরো সমৃদ্ধ ও বেগবান হোক। পাঠক মনে তার স্থান সুদৃঢ় হোক বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশনায়।
চাঁদপুর কণ্ঠ তোমার জন্মদিনে রইলো নিরন্তর শুভেচ্ছা। ঋদ্ধ হোক তোমার পরিবেশিত সংবাদ সম্ভার। জয়তু ‘চাঁদপুর কণ্ঠ’।
লেখক : কল্পনা সরকার, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা, পুরাণবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, পুরাণবাজার, চাঁদপুর। বর্তমান ঠিকানা : কদমতলা রোড, নতুন বাজার, চাঁদপুর।