প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০
‘দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠ’ পত্রিকাটি শুধু কালি আর কাগজে প্রিন্ট করা একটি পত্রিকাই নয়, বরং এটি চাঁদপুরবাসীর প্রিয় মুখপত্র, যার মাধ্যমে মানুষ তার মনের প্রকৃত কথাগুলো বা সমস্যাগুলো প্রকাশ করতে পারে। যার কারণে চাঁদপুর কণ্ঠ আজ সর্বাধিক প্রচারিত এবং সর্বপ্রথম প্রকাশিত চাঁদপুরের দৈনিক পত্রিকা। এটি প্রথমে সাপ্তাহিকভাবে প্রকাশিত হয়, যা পরবর্তীতে আপামর জনসাধারণের প্রয়োজনের তাগিদে দৈনিকরূপে প্রকাশ লাভ করে। চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি প্রকাশ লাভ করে পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক রোটাঃ আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট ইকবাল-বিন-বাশারের হাত ধরে এবং পরবর্তীতে প্রধান সম্পাদক রোটারিয়ান কাজী শাহাদাতের পরিচালনার মাধ্যম পত্রিকাটি সর্বাধিক বিস্তৃত হয়। চাঁদপুরের এমনও অনেক মানুষ আছেন, যারা এখনো সকালবেলা অন্য সকল পত্রিকা পড়ার জন্যে হাতে থাকলেও সর্বপ্রথম চাঁদপুর কণ্ঠ পড়ার জন্য মুখিয়ে থাকেন। যেমন তার মধ্যে আমার দেখা অন্যতম হলেন আমার বাবা।
চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে লিখতে বসে চাঁদপুর কণ্ঠের সাথে জড়িত স্মৃতি বিজড়িত অনেক কথাই মনে পড়ে গেল। চাঁদপুর কণ্ঠে লেখার হাতেখড়ি আমার বাবা ডাঃ মোঃ মোজাম্মেল হক পাটোয়ারীর মাধ্যমে। আমার বাবা এই পত্রিকার সাথে জড়িত আছেন পত্রিকাটির জন্মলগ্ন থেকে। পত্রিকাটি সাপ্তাহিকভাবে যখন প্রকাশিত হতো তখন থেকে আমার বাবা এই পত্রিকার সাথে যুক্ত আছেন।
চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতি স্মৃতি মন্থন করতে গেলে অনেক স্মৃতিই মনে পড়ে। আমি যখন ২০০৬ সালে অষ্টম শ্রেণিতে পড়ি তখন মাঝে মাঝে বাসায় সুযোগ পেলেই পত্রিকা পড়তাম। হঠাৎ একদিন দেখলাম, আমার বড় ভাই ডাঃ মোঃ মাহবুবুল হকের একটি কবিতা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে¬¬। আবার আরো কয়েক দিন পর আমার চাচাতো বোনেরও একটি কবিতা বা অন্য লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হলো। এগুলো দেখে মনে মনে জেদ ধরলাম, তাহলে আমিও পত্রিকায় কবিতা বা লেখা দিব। কিন্তু সমস্যা হলো আমিতো কবিও না সাহিত্যিকও না, তাহলে কীভাবে কবিতা বা লেখা দিবো। বাবার সাথে কথা বললাম, আর বাবা বললেন, তাহলে তুমি তোমার মতো করে একটি কবিতা লিখে দাও, যা পরবর্তীতে পত্রিকায় প্রকাশিত হবে। তারপর একদিন বিভিন্ন কবিতা থেকে দু-একটি লাইন নিয়ে কোনো রকম মিলিয়ে একটি কবিতা বানিয়ে ফেললাম, যা পত্রিকায় প্রকাশিত হলে আমার বড় ভাই বাসায় এটা নিয়ে অনেক হাসাহাসি করেন। আসলে বয়সে অনেক ছোট ছিলাম আর লেখালেখির অভ্যাসও ছিলো না। যার কারণে এরকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হই। আর তখন থেকেই আমার প্রিয় চাঁদপুর কণ্ঠে লেখার হাতেখড়ি হয়। তারপর থেকে প্রায় সময়ই এই পত্রিকায় লেখালেখি করতাম।
২০১০ সালে এইচএসসি পরীক্ষার পর চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকার সাথে পুরোপুরিভাবে যুক্ত হই। পত্রিকাটির সাথে সম্পূর্ণভাবে যুক্ত হওয়ার পর আমার অনেক সংবাদ বা লেখা পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং এখনো এই পত্রিকার সাথে যুক্ত আছি। সাংবাদিকতা পেশা বা নেশা যেটাই বলেন, যুক্ত হবার পর এই পত্রিকার গ্রহণযোগ্যতা যে কী পরিমাণ আকাশচুম্বী তা আরো ভালোভাবে উপলব্ধি করতে পারি। এর একমাত্র কারণ পত্রিকাটির বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ, যার মূলে রয়েছেন প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত। চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি কখনই ভুয়া বা অসত্য বা অপ্রয়োজনীয় সংবাদ প্রকাশ করে না। পত্রিকাটি মেহনতি মানুষের কথা বলে, অসহায় মানুষের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে, বিপদগ্রস্ত বা ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের সমস্যার সমাধানে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে থাকে। যার কারণে চাঁদপুর কণ্ঠ পত্রিকাটি আজ সকল মহলে সমাদৃত পত্রিকা। এই পত্রিকার সাথে যুক্ত বা কর্মরত সকলে খুবই আন্তরিকতার সাথে পত্রিকার সকল কার্যক্রম পরিচালনা করেন। বর্তমানে পাঠক পত্রিকাটি অনলাইনেও পড়তে পারছেন। পত্রিকার ঠিক উপরেই পড়ার জন্যে ওয়েব এড্রেস বা ফেসবুক আইডি দেয়া আছে। আপনার এলাকার যে কোনো সংবাদ বা লেখা পত্রিকায় প্রকাশের জন্যে জি-মেইল আইডির মাধ্যমে পাঠাতে পারবেন, যা উপরে দেওয়া আছে। চাঁদপুর কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকাটির সাফল্যের ধারাবাহিকতা কামনা করছি। আমার বিশ্বাস, সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে পত্রিকাটি যুগ যুগ ধরে মানুষের মাঝে রয়ে যাবে।