প্রকাশ : ১৫ জুন ২০২৩, ০০:০০
দিন যায় দিন আসে, বছর যায় পরিক্রমায়; এই ধরায় ঘুরে ফিরে আসে বার বার সতের জুন। সতের জুন চাঁদপুর কণ্ঠ ও আমার যুগলবন্দি জীবনের স্মরণীয় বরণীয় মাস ও তারিখ। বিগত দিনের সফলতাণ্ডব্যর্থতা, আগামী দিনের স্বপ্নের বীজ বুনন, আনন্দ উচ্ছ্বাস এই মাসেই উদিত হয়। চাঁদপুর কণ্ঠের গৌরবের ত্রিশ বছর পদার্পণ ঈর্ষণীয় সাফল্যগাথা। চিন্তা চেতনায় একাগ্রতায়, একনিষ্ঠ অগ্রযাত্রায়, পাঠকের মনমানসিকতা ও বাস্তবতায় সিদ্ধহস্ত জেলার সংবাদপত্রের জগতে অদ্বিতীয় চাঁদপুর কণ্ঠ। রুচির আভিজাত্যে নির্ভুল শব্দে পাঠকের সামনে উপস্থাপনা সংবাদপত্রের চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে শীর্ষস্থানীয় দশটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার সাথে তুলনীয় চাঁদপুর কণ্ঠ। জেলার ইতিহাসে প্রথম দৈনিক পত্রিকা দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিজনিত কারণে তিন টাকা থেকে পাঁচ টাকা করা হয়েছে। এই মূল্যে চাঁদপুর কণ্ঠ ক্রয় করে সম্মানিত পাঠক সমাজও ইতিহাসের বাঁকে বাঁকে সাক্ষী বহনে একান্ত আন্তরিকতার প্রকাশ করছেন। জেলা নয়, বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক চ্যালেঞ্জ হচ্ছে মূল্যবৃদ্ধি। সেই চ্যালেঞ্জেও উত্তীর্ণ চাঁদপুর কণ্ঠ।
এই কথাও অনস্বীকার্য, মূল্যবৃদ্ধির সাথে সাথে চাঁদপুরের মাটি-মানুষ-প্রকৃতির সাথে কণ্ঠের দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই দায়বদ্ধতার ঝিলিক প্রকাশ পেয়েছে চাদঁপুর কণ্ঠ পরিবার থেকে। প্রকাশনায় বিভাগীয় পাতাগুলো আরো সুন্দর ও হৃদয়গ্রাহী করা হচ্ছে। আরো নিত্য নতুন উপস্থাপনা পাঠক দেখতে উন্মুখ। আমার একান্ত অভিমত : চাঁদপুর কণ্ঠের মজবুত ভিত্তি হচ্ছে বিভাগীয় পাতা। বিভাগীয় পাতাতেই ফুটে উঠে ফুল-ফল-আহার-নির্যাস -বিনোদন। চাঁদপুর কণ্ঠে যত ফুল ফুটুক, পাঠক ফোরামণ্ডফুলের সুগন্ধি-জৌলুস হচ্ছে আশা প্রত্যাশা গর্ব করার ভিত্তি। এই বিভাগই ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরের রূপ লাবণ্যে সিক্ত। সিক্ততার রিক্ত দহন মাঝে মাঝে আলোড়িত করে। জেলার শিল্প সাহিত্য জগতের পরিচিত মুখ সদ্য প্রয়াত কবি তছলিম হোসেন হাওলাদার তাদের একজন। চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার যে নিখুঁত সাহিত্য-মনস্তাত্ত্বিক ধারায় পরিচালিত তার প্রকৃষ্ট উদাহরণ ১৫.০৫.২০২৩ খ্রিঃ রাত সাড়ে দশটায় কবি তছলিম হোসেন হাওলাদারের মরদেহের পাশে প্রধান সম্পাদক কাজী শাহাদাত পিএইচএফ-এর উপস্থিতি।
বর্তমান চাঁদপুর কণ্ঠের সাহিত্য বিভাগের প্রাণ ভোমরা তরুণ গবেষক মুহাম্মদ ফরিদ হাসানের কবি তছলিম হোসেন হাওলাদারের মৃত্যুপরবর্তী সমবেদনা এবং ধর্মীয় ও প্রাসঙ্গিক প্রায় সকল কাজে পরিবার ও শুভানুধ্যায়ীদের সাথে যোগাযোগ প্রমাণ করে চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবার শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির বাহন। কাগজের শব্দগুচ্ছের ন্যায় বাস্তবতায়ও হৃদয়ে মননশীলতা ধারণ করে।
শিল্প সাহিত্য সংস্কৃতির ব্যক্তিবর্গের সুখণ্ডদুঃখ, আনন্দণ্ডবেদনা, অন্তিম যাত্রায়, স্মরণে বরণে কণ্ঠ পরিবার ছিল আছে থাকবে--এই প্রত্যাশা। ক্ষীণ হবে না আশা করি।
সংবাদ পরিবেশনে সংশ্লিষ্টদের (ভুক্তভোগী ও যার বিরুদ্ধে অভিযোগ) বক্তব্য নিয়ে সংবাদ প্রকাশের আরজি বিগত দিনের ন্যায় এবারও।
জনপ্রিয় গানের কলি--হারজিত দুনিয়ায় থাকবে, তবুও এগিয়ে যেতে হবে, বাধা বিঘ্ন না পেরিয়ে কে কবে বড় হয়েছে বল।
চাটুকাররা পা চাটবে। পাছে লোকে কিছু বলবে। মান অভিমান থাকবে। নিস্তেজ হওয়া যাবে না। সাজানো গোছানো বিছানা গুটিকয়েক উইপোকার শব্দে পুড়িয়ে দেওয়া যাবে না। কীটপতঙ্গ দমনের স্প্রে করতে হবে। দুষ্টের দমন করতে হবে। কর্মঘণ্টার সুর বাজবে। শব্দে সুরে ছন্দে কাব্যে হারানো দিন ফিরে আসবে এই মোহনায়। চাঁদপুর কণ্ঠ পরিবারকে অবিরাম ভালবাসা। জয়তু চাঁদপুর কণ্ঠ।