প্রকাশ : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০
পুরাণবাজার মৈশাল বাড়ির প্রবাসীর সম্পত্তি আত্মসাৎপূর্বক বিক্রির পাঁয়তারা
প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার
চাঁদপুর পুরাণবাজার মৈশাল বাড়ির প্রবাসী কমল ও তুষার ঘোষের পৈত্রিক সম্পত্তি আত্মসাৎ পূর্বক বিক্রির পাঁয়তারা করছেন বলে অভিযোগ উঠছে তারই নিকটাত্মীয় অরুণ ঘোষ ও দেব প্রসাদ ঘোষ নামের দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে প্রতিকার চেয়ে তাদের মা আলো রাণী ঘোষ জেলা পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের নিকট আবেদন করেছেন বলেও জানা গেছে।
জানা যায়, স্বর্গীয় সুধন্য চন্দ্র গোপ পুরাণবাজারে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকান সুনন্দা কেবিনসহ বহু সহায় সম্পত্তি রেখে মৃত্যুবরণ করলে তারই সুযোগ্য পুত্র স্বর্গীয় নবদ্বীপ চন্দ্র গোপ ও স্বর্গীয় হরে কৃষ্ণ গোপ মালিকানা লাভ করেন। পরবর্তী সময় নবদ্বীপ গোপের পুত্র স্বর্গীয় সুরেশ চন্দ্র গোপের চার পুত্র তমাল ঘোষ, শুভংকর ঘোষ, অরুণ ঘোষ (হরিওঁ) এবং দেব প্রসাদ ঘোষ (জয়গুরু) আট আনা সম্পত্তি এবং স্বর্গীয় সুনীল চন্দ্র গোপ (সুভাষ চন্দ্র গোপ) ও তার অপর ভাই স্বর্গীয় সুশীল চন্দ্র ঘোষ (পুইক্কা ঘোষ) তাদের পিতার সম্পত্তি ওয়ারিশ অনুযায়ী দুই ভাই চার, চার করে বাকি আট শতাংশ সস্পত্তির মালিকানা লাভ করলে স্বর্গীয় সুনীল ঘোষের দুই ছেলে শ্যামল ঘোষ ও বিমল ঘোষ এবং স্বর্গীয় সুশীল ঘোষের দুই পুত্র প্রবাসী কমল ঘোষ ও তুষার ঘোষ তাদের পিতার সম্পত্তি ৮.৮৭ শতাংশ ও ভিপি মালিকানা হিসেবে ৬.৭৫ শতাংশ সম্পত্তি ও পুরানবাজারের মসজিদ পট্টিতে থাকা সুনন্দা কেবিন নামে ঐতিহ্যবাহী মিষ্টির দোকানের অংশসহ ওয়ারিশ মূলে মালিকানা লাভ করেন। যা দীর্ঘ সময় ধরে দেখাশোনা করে আসছিলেন তাদেরই জেঠাতো দাদা অরুন ঘোষ (হরিওঁ) ও দেব প্রসাদ ঘোষ (জয়গুরু)। এই দেখাশোনার অন্তরালে তারা কমল ঘোষ আর তুষার ঘোষের অভিভাবকহীনতা ও সরলতার সুযোগে মিষ্টির দোকানসহ ভিপি মালিকানার সম্পত্তি নিজেদের নামে করে নেয়। বিষয়টি তাদের নজরে আসলে বহু চেষ্টা-তদবির করে তারা তাদের পৈত্রিক সম্পত্তি ও ভিপি মালিকানা সম্পত্তিসহ মোট ১৫.৬২ শতাংশের স্থলে মোট ৫.৪১ শতাংশ সস্পত্তি আয়ত্তে আনতে সক্ষম হন। বাকি সম্পত্তি অরুন ও দেবপ্রসাদ প্রভাব বিস্তার ও পেশী শক্তির মাধ্যমে নিজেদের আয়ত্তে রেখে ভুয়া জাল কাগজপত্র সৃজন পূর্বক তা বিক্রির পাঁয়তারা করে আসছেন বলে জানা যায়। এই বিষয়ে কমল ও তুষারের মাতা স্বর্গীয় সুশীল চন্দ্র ঘোষের বিধবা পত্নী আলো রাণী ঘোষ মৃত স্বামীর সম্পত্তি উদ্ধারে প্রাণপণ চেষ্টা অব্যাহত রাখেন এবং তারই ভাসুর পুত্র অরুণ ও দেবপ্রসাদের কাছে সম্পত্তির প্রাপ্য হিস্যা দাবি করে ব্যর্থ হন। তারা তার দাবি আমলে না নিয়ে বিভিন্নভাবে হয়রানিপূর্বক দেই দিচ্ছি দেব বলে সময় ক্ষেপণ করেন। এমনি পরিস্থিতিতে আলো রাণী ন্যায় সঙ্গতভাবে স্বামীর সম্পত্তি ফিরে পাওয়ার লক্ষ্যে জেলা পুলিশ সুপার ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়রের নিকট লিখিত আবেদন করেন।
বর্তমানে বিদেশ প্রবাসী আলো রাণী মুঠোফোনে জানান, সরকারের বিদেশ নীতি মেনে নিয়ে অন্য প্রবাসীদের মত আমার সন্তানরা দেশের মায়া-মমতা বুকে পাথর চেপে বিদেশের মাটিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন এবং তাদের অর্জিত অর্থ দেশে পাঠিয়ে সরকারের রেমিট্যান্স বৃদ্ধি করছেন। আর দেশের মাটিতে থাকা আমারই আপনজন অরুণ ঘোষ ও দেবপ্রসাদ ঘোষ দ্বারা আমার স্বামীর রেখে যাওয়া সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে তারই প্রবাসী সন্তানরা। বিষয়টি ভাবতেই ভীষণ কষ্ট পাই। আমি মাননীয় প্রশাসনের কাছে বিনীত প্রার্থনা জানাই, প্রশাসন আমার আবেদনটি আমলে নিবেন এবং ন্যায়সঙ্গত বিচার ব্যবস্থার মাধ্যমে আমি বা আমার সন্তানগণ যদি সম্পত্তির মালিক হয়ে থাকেন, তাহলে তা আমাদেরকে বুঝিয়ে দিবেন। এই বিষয়ে জানার জন্য অরুপ ঘোষ (হরিওঁ)-এর মুঠোফোনে যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায়নি।