শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ২০ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ মার্চ ২০২২, ০০:০০

পরনির্ভরশীল হয়ে শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়
সোহাঈদ খান জিয়া ॥

পরনির্ভরশীল হয়ে চলে আসছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের নদীর পশ্চিম পাড়ে কোনো মাধ্যমিক বিদ্যালয় না থাকায় ২০১৫ সালে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।

চরফতেজংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠের দক্ষিণ পাশে টিন শেড দিয়ে নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠা করা হয়। টিনগুলো নষ্ট হয়ে গেলে বিদ্যালয় ভবন যখন ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়ে, তখন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালানো হয়। এ ভবনের ৫টি কক্ষের ১টিতে অফিস এবং ৪টিতে শ্রেণি পাঠদান কার্যক্রম চলে আসছে। তবে ভবনটি জরাজীর্ণ অবস্থায় রয়েছে, যার ছাদ চুঁইয়ে পানি পড়ে। যে কোনো সময় ভবন ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহাণির ঘটনা ঘটতে পারে।

অভিভাবকরা জরাজীর্ণ ভবনে প্রাণহানির আশঙ্কা নিয়ে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দিয়ে চিন্তিত থাকেন, কখন আবার ভবন ভেঙ্গে পড়ে। বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত না হওয়ায় ছাত্র-ছাত্রীদের নিকট হতে যে ক’ টাকা মাসিক বেতন আদায় করা হয়, তা সকল শিক্ষক ভাগ করে নেন। এমনকি অফিসের খাতা-কলমসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ক্রয় করে থাকেন। বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ১৪৬ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে। প্রধান শিক্ষকসহ ৬জন শিক্ষক কর্মরত আছেন।

শিক্ষকরা নিয়মিত উপস্থিত থেকে নিজ সন্তানের মতো শিক্ষার্থীদের পাঠদান করে যাচ্ছেন। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মেঘনা নদীর পশ্চিম পাড়ে চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ছাড়া আর কোনো বিদ্যালয় নেই। এ বিদ্যালয় থেকে সখিপুরের তারাবুনিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব সাড়ে ৩ কিলোমিটার। আর হাইমচরের ঈশানবালা উচ্চ বিদ্যালয়ের দূরত্ব তাও সাড়ে ৩ কিলোমিটার। ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের মেঘনার পশ্চিম পাড়ে বেশির ভাগ জনগোষ্ঠী জেলে ও কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।

এ অঞ্চলের ছেলে-মেয়েদের উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার জন্যে কোনো বিদ্যালয় নেই। ৬ষ্ঠ শ্রেণি হতে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করার একমাত্র ভরসা চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয়। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত রায় নন্দী ঈদের সময় শিক্ষকদেরকে ঈদ বোনাস দিয়ে থাকেন। এছাড়া কেউ এগিয়ে আসেন না বলে জানা যায়।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হতে কার্যত পরনির্ভরশীল হয়ে চলে আসছে। বর্তমানে যে ভবনে কার্যক্রম চলে আসছে, সে ভবন ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। যে কোনো সময় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। বিদ্যালয়টি এখনো এমপিওভুক্ত করা হয়নি।

এ ব্যাপারে বিদ্যালয়ের ক’জন ছাত্র-ছাত্রী বলে, আমাদের একটা নিজস্ব ভবন প্রয়োজন। আমরা জরাজীর্ণ ভবনে পাঠগ্রহণ করে যাচ্ছি। যে কোনো সময় ভবন ভেঙ্গে পড়ে প্রাণহানির শিকার হতে পারি। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মকবুল হোসেন বলেন, বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠালগ্ন হতেই নিজস্ব সম্পত্তিতে নেই। প্রতিষ্ঠিত টিনশেড ভবন অকেজো হওয়ার পর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিত্যক্ত ভবনে বিদ্যালয়ের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। নিজস্ব সম্পত্তিতে আমাদের একটি ভবন জরুরি। পাশাপাশি বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কামাল হোসেনের মুঠোফোনে কল করলে তিনি বলেন, আমাদের রেকর্ডে চরফতেজংপুর নি¤œ মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংক্রান্ত কোনো তথ্য নেই।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়