প্রকাশ : ০৩ জুলাই ২০২১, ০০:০০
দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্তকরণে চাঁদপুর জেলার সকল উপজেলায় শুরু হয়েছে রেপিড এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা টেস্ট। সকল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই টেস্ট গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়।
জানা যায়, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী একেবারে প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা শনাক্তের জন্যে ল্যাব না থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে দ্রুত সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্তে রেপিড এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা টেস্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে জেলা সদর হাসপাতালে এটি গত ২/৩ মাস যাবৎ চালু হলেও এটি খুব জরুরি প্রয়োজন ছাড়া এতোদিন ব্যবহার করা হতো না।
এই পদ্ধতিতে পরীক্ষা চালু করার পেছনে কারণ হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলাগুলোতে খুব দ্রুত করোনা ছড়িয়ে পড়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলে করোনা টেস্টের প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। সেটাকে উপলক্ষ করেই সারাদেশের জেলা সদর হাসাপাতাল এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এই টেস্ট চালু করা হয়। তাছাড়া উপজেলা পর্যায়ে করোনা পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানোও ছিলো এই পদ্ধতি চালুর আরো একটি উদ্দেশ্য।
তবে এই পদ্ধতির টেস্টে ফলাফল পজেটিভ আসলে সেটা সঠিক ধরতে হবে। কিন্তু নেগেটিভ আসলে সেটা সন্দেহ বিবেচনায় তার মধ্যে করোনার লক্ষণ থাকলে তার নমুনা পুনরায় পিসিআর ল্যাবে পরীক্ষা করতে হবে।
গত ১ জুলাই বৃহস্পতিবার থেকে চাঁদপুরের সকল উপজেলায় রেপিড এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা টেস্ট শুরু হয়েছে। এতে সময় লাগে মাত্র ২০ মিনিট। এই সময়ের মধ্যে করোনা শনাক্তের ফলাফল পাওয়া যায়।
রেপিড এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা টেস্ট শুরু হওয়ার ফলে এখন উপজেলা পর্যায়ে ব্যাপক সংখ্যক মানুষকে করোনা টেস্টের আওতায় আনা সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ।
এ বিষয়ে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের আরএমও এবং করোনা বিষয়ক চাঁদপুর জেলার একমাত্র ফোকালপার্সন ডাঃ সুজাউদ্দৌলা রুবেল বলেন, জরুরি প্রয়োজনে এন্টিজেন পদ্ধতিতে করোনা টেস্ট জেলা পর্যায়ে সদর হাসপাতালে গত ২/৩ মাস পূর্ব থেকেই শুরু হয়েছে। কিন্তু আমরা এই পদ্ধতি ব্যবহার করিনি। মাত্র ৪/৫টি ব্যবহার করা হয়েছে। তিনি এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, বিশেষ করে উপজেলায় ল্যাব না থাকায় এটি উপজেলা পর্যায়ের জনগণের জন্যে সুবিধা বহন করবে।
তিনি আরো বলেন, এ পদ্ধতি টেস্ট করার পর পজেটিভ আসলে পজেটিভ, নেগেটিভ আসলে অনেক ক্ষেত্রে পলস্ তথা সন্দেহজনক হয়। সে ক্ষেত্রে রোগীর সিমটম দেখে পরবর্তীতে তার নমুনা পরীক্ষা আরটি পিসিআর ল্যাবে করতে হবে।