প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর শহরে যৌথবাহিনীর অভিযান
অস্ত্র উদ্ধার ও আটক নেই
রোববার দিবাগত রাতে চাঁদপুর শহরের বিভিন্ন বাসায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ সদস্যরা যৌথ অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে জনপ্রতিনিধি রয়েছেন এবং রাজনীতিবিদও রয়েছেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, এই অভিযান অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার এবং ৫ আগস্টের পর দায়ের করা বিভিন্ন মামলার আসামীদের আটক করার জন্যে চালানো হয় । রাতে যে ক'জনের খোঁজে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হয় তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেন চাঁদপুর পৌরসভার সদ্য সাবেক কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র-১ মোহাম্মদ আলী মাঝি, কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, তার ছোট ভাই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জহিরুল ইসলাম রবিন পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজি প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলী মাঝির বাড়িতে যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করে রোববার রাত প্রায় ১১টার দিকে। তার পুরাণবাজারস্থ নিতাইগঞ্জের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। এ সময় মোহাম্মদ আলী মাঝি বাসায় ছিলেন না। তার ছোট দুই ছেলে ছিলেন। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে এক ঘণ্টা সময় নিয়ে বাড়িতে ব্যাপক তল্লাশি করা হয়। এ সময় কোনো কিছু পাওয়া যায়নি বলে জানা যায়।
জেলা, থানা এবং ফাঁড়ি পুলিশের সাথে চাঁদপুর সেনা ক্যাম্পের সেনা টিম অভিযানে অংশ নেয়।
মোহাম্মদ আলী মাঝির বাড়িতে যৌথবাহিনীর অভিযানের খবরে ওই বাড়ির আশপাশে স্থানীয় বহু মানুষের ভিড় জমে যায়। যৌথবাহিনী চলে যাবার পর রাস্তায় জড়ো হওয়া মানুষজন যার যার ঘরে ফিরে যান।
পারিবারিক সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আলী মাঝি চিকিৎসার জন্যে রোববার দুপুরে ঢাকা যান।
এছাড়া রাতের বিভিন্ন সময় সাবেক কাউন্সিলর ইকবাল হোসেন বাবু পাটওয়ারী, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রবিন পাটওয়ারী, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জহির উদ্দিন মিজিসহ আরো ক'জনের বাসায় অভিযান চালানো হয়। তবে কাউকে আটক করা হয়নি বলে জানা গেছে।
যৌথ বাহিনীর সদস্যরা অভিযান চলাকালে উদ্দিষ্টদের পরিবারের সদস্যদের কাছে তাদের অবস্থান জানতে চেয়েছেন বলে জানা গেছে।