প্রকাশ : ০১ অক্টোবর ২০২৪, ০০:০০
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের শোকসভায় বক্তাগণ
রুহুল আমিন গাজী বেঁচে থাকলে চাঁদপুরকে অনেক কিছু অর্জন করিয়ে দিতে পারতেন
চাঁদপুর প্রেসক্লাবের আজীবন সদস্য ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)-এর সভাপতি, চাঁদপুরের কৃতী সন্তান সাংবাদিক রুহুল আমিন গাজীর মৃত্যুতে চাঁদপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে শোকসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ শোক সভার আয়োজন করা হয়। সভাপ্রধান ছিলেন ক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত। প্রেসক্লাবের সদস্য, চাঁদপুর দিগন্তের সম্পাদক ও প্রকাশক অ্যাড. শাহজাহান মিয়া এবং দৈনিক প্রভাতী কাগজের সম্পাদক ও প্রকাশক আব্দুল আউয়াল রুবেলের যৌথ সঞ্চালনায়
শোকসভায় স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখরন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, গিয়াস উদ্দিন মিলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সহ-সভাপতি সোহেল রুশদী, সদস্য মুনির চৌধুরী, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসেন লিটন, শওকত আলী, মো. নাসির উদ্দীন, চাঁদপুর উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক ইব্রাহিম খলিল, আল-আমিন একাডেমি গুনরাজদী শাখার ইনচার্জ, প্রেসক্লাবের সদস্য ও চাঁদপুর দিগন্তের সিনিয়র সাংবাদিক আব্দুস শুক্কুর, ছাত্রদের পক্ষে জাহিদ হোসেন প্রমুখ।
বক্তারা স্মৃতিচারণ করেন বলেন, এ জাতিকে নিয়ে রুহুল আমিন গাজী অনেক স্বপ্ন দেখেছেন। তিনি একজন গুণী সাংবাদিক ছিলেন। একজন ভালো মানুষ ছিলেন। তিনি নিজের জন্যে তেমন কিছু রেখে যেতে পারেন নি। তিনি রেখে গেছেন তাঁর সততা। তাঁর আদর্শকে আমরা অনুসরণ করবো। তিনি চাঁদপুরের কোনো সাংবাদিক ঢাকা প্রেসক্লাবে আসছে শুনলে ব্যাকুল হয়ে যেতেন। তিনি একজন নিবেদিতপ্রাণ সাংবাদিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। তিনি সাংবাদিকদের নেতা ছিলেন। তিনি বেঁচে থাকলে চাঁদপুরকে অনেক কিছু অর্জন করিয়ে দিতে পারতেন। তিনি খুব সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তিনি সবাইকেও সাহস রেখে সাংবাদিকতার কথা বলতেন। তিনি শেষ পর্যন্ত কলম ধরে রেখেছিলেন সাহসের সাথে।
সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন সাংবাদিক মাওলানা আহমদ উল্লাহ। শোকসভা শেষে রুহুল আমিন গাজী'র রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়। দোয়া পরিচালনা করেন মাওলানা আফসার উদ্দিন।