শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬  |   ৩৯ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   দিনমজুরকে জবাই করে হত্যা, ৪৪ দিন পর লাশ উত্তোলন
  •   অবশেষে চাঁসক সহকারী অধ্যাপক কামরুল হাছানকে বদলি
  •   নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কের ওপর ভবন নির্মাণের অভিযোগ
  •   বাবা মায়ের উপর ছেলেদের নৃশংসতা ।। বৃদ্ধ বাবার থানায় অভিযোগ
  •   ফিরে এলেন আগের খতিব, নামাজের আগে নাটকীয়তা বায়তুল মোকাররমে

প্রকাশ : ১৪ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

নারায়ণপুর পৌরসভার হালচাল-শেষ পর্ব

সাবেক নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পৌরসভার খাদ্য গুদাম

মুহাম্মদ আরিফ বিল্লাহ ॥
সাবেক নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনে পৌরসভার খাদ্য গুদাম

মতলব দক্ষিণ উপজেলার সাবেক ৪নং নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ভবনটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে বহু আগেই। বর্তমানে সেই পরিত্যক্ত ভবনটি নবগঠিত নারায়ণপুর পৌরসভার খাদ্য গুদাম হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। এখানে পৌর এলাকার সুবিধা বঞ্চিতদের জন্যে বরাদ্দকৃত চাল সংরক্ষণ করা হয়। এখানে রয়েছে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চালের বরাদ্দ, যা ৪শ’ জন সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে বিতরণ করা হয়। এছাড়া রয়েছে জেলে কার্ডের চাল এবং ঈদের সময় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে জনপ্রতি ১০ কেজি করে চালের বরাদ্দ। এসব সরকারি চাল বিতরণের দুই-তিন দিন আগেই গোডাউনে মজুদ করা হয়। অথচ ভবনটি পরিত্যক্ত। এ ভবনটিতে উপযুক্ত পরিবেশে না থাকার কারণে চালের মান নষ্ট হয়ে যায়। পাশাপাশি ভবনটি ব্যবহার অনুপযোগী হওয়ায় সরকারি সম্পদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত পৌর প্রশাসক এবং সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ।

এ ব্যাপারে পৌর সহায়ক কমিটির সদস্য মোঃ কামরুজ্জামান মুন্সি কাকন বলেন, সাবেক ৪নং নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের পরিত্যক্ত ভবনটি আমরা কিছু রিপেয়ারিং করেছি। কিন্তু তারপরও বৃষ্টির সময় পানি পড়ে বিধায় এখানকার চাল পৌরসভার বর্তমান অস্থায়ী কার্যালয়ে রাখতে হয়। এই ঘরটাও জরাজীর্ণ টিনের ঘর হওয়ায় এটা সরকারি সম্পদ রাখার উপযুক্ত পরিবেশ না।

এ বিষয়ে নারায়ণপুর পৌরসভার প্রশাসক এবং মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফাতিমা সুলতানা বলেন, আমি যতদিন দায়িত্বে আছি আপামর জনতার কল্যাণে বিদ্যমান সমস্যাগুলো স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সাথে সমন্বয় করে যতটুকু সম্ভব সমাধান করার চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ্।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পৌরসভার কোনো খাদ্য গুদাম নেই। আপাতত পৌরসভার অস্থায়ী কার্যালয়ে সাময়িকভাবে বরাদ্দকৃত চাল সংরক্ষণ করা হয়। পৌরসভার সাংগঠনিক রূপ বাস্তবায়িত হলে এ সকল সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

মতলব দক্ষিণ উপজেলার নবগঠিত নারায়ণপুর পৌরসভার সামগ্রিক সমস্যার সমাধান চান পৌরবাসী। তারা একটি পরিচ্ছন্ন নির্বাচন, অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জনগণের স্বার্থে একটি টেকসই জনবান্ধব কর্মপরিকল্পনা প্রত্যাশা করেন। যাতে পৌরসভার ধনী ও দরিদ্রের মাঝে ভারসাম্য বজায় থাকে।

নারায়ণপুর পৌরসভা নিয়ে চাঁদপুর কণ্ঠে প্রকাশিত ধারাবাহিক প্রতিবেদনে মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌর প্রশাসক, সহায়ক কমিটির সদস্যবৃন্দ এবং সাধারণ মানুষের যে অভিব্যক্তি প্রকাশ পেয়েছে, তাতে পৌরসভার যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং আর্থ-সামাজিক পরিবেশের চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। এ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য নবগঠিত এই পৌরসভাটির প্রতি স্থানীয় সরকার বিভাগের একান্ত সুনজর প্রত্যাশা করেন আপামর জনসাধারণ।

পৌরবাসী মনে করেন, অন্ততপক্ষে উন্নত জীবনমানের নিশ্চয়তা না হোক, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্যে যেনো পৌরসভা ভোগান্তির কারণ না হয়। যখন পৌর কর নির্ধারণ করা হবে তা যেনো সাধারণ মানুষের সামর্থ্যরে মধ্যে রাখা হয়। এক কথায় গ্রামের সহজ সরল কৃষক শ্রেণীর মানুষগুলো এখন পৌরসভা নামক অভিজাত শ্রেণীর তকমা পেয়েছেন। বাস্তবে অধিকাংশ মানুষই কৃষক শ্রেণির। তাই তারা একটি জনবান্ধব পৌরসভার স্বপ্ন দেখেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়