প্রকাশ : ২৩ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
সংস্কারের অভাবে বিলুপ্ত হওয়ার পথে হাজীগঞ্জ উপজেলার ৪নং কালচৌ ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডস্থ সৈয়দপুর কর্মকার বাড়ির শ্মশানটি। সংস্কারের জন্যে জেলা প্রশাসকের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন শ্মশান পরিচালনা কমিটির নেতৃবৃন্দ।
অর্ধশতাধিক বছর পূর্বে শবদেহ সৎকারের লক্ষ্যে পারিবারিক প্রচেষ্টায় প্রায় ৫ শতক জমির উপর কর্মকার সম্প্রদায়ের মানুষজন নিজ উদ্যোগে নিজেদের পৈত্রিক জায়গায় গড়ে তোলেন সার্বজনীন শ্মশান। প্রায় ৫ শতাধিক মানুষের বসবাস গ্রামটিতে আশেপাশে কোন শ্মশান না থাকায় সনাতন ধর্মাবলম্বী কোন মানুষজন পরলোকগমন করলে এই শ্মশানেই তাদের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন করা হতো। কিন্তু বর্তমানে তা সংস্কারের অভাবে বিলীন হওয়ার উপক্রম দেখা দেয়ায় গ্রামে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে হতাশা দেখা দিয়েছে।
শ্মশান পরিচালনা কমিটির সভাপতি স্বপন কর্মকার জানান, আমরা জন্মের পর থেকেই দেখে আসছি এ শ্মশানটি। পূর্বে শ্মশানের স্থান অনেক থাকলেও পাশে পুকুর থাকার কারণে প্রতি বছরই পুকুরের পাড় একটু একটু করে ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে শ্মশানের জায়গা ক্রমান্বয়ে ছোট হয়ে আসছে। ফলে দাহ কার্যক্রমে অনেকটা ব্যাঘাত ঘটছে। বর্তমানে অর্থের অভাবে আমরা তা সংস্কারের কাজ করতে পারছি না। গ্রামেও বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে এমন কোনো ব্যক্তি নেই যে, তিনি তা সংস্কার করে দিতে পারেন। তাই শ্মশানটি সংস্কারের জন্য আমরা জেলা প্রশাসকের আন্তরিক সুদৃষ্টি কামনা করছি। যদি একান্তই শ্মশানটি সংস্কার করা না হয় তাহলে গ্রামে বসবাসরত সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দাহ কার্যক্রম হুমকির মুখে পড়বে বলে তিনি অভিমত প্রকাশ করেন।
গ্রামে বসবাসরত সনাতন ধর্মালম্বী মানুষজন শ্মশানটি রক্ষায় জরুরি ভিত্তিতে শ্মশান সংলগ্ন পুকুর পাড়ে একটি গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্যে জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন মহলে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছেন বলে জানা যায়।