প্রকাশ : ২২ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
২৩ মাসের জমজ ভাই হাছান আর বোন সানিয়া। গত রোববার মায়ের সাথে বেড়াতে আসে নানার বাড়িতে। সোমবার ২১ আগস্ট দুপুরে ঘটে মর্মান্তিক আর হৃদয়বিদারক ঘটনা। ভাই-বোন একত্রে নানার বাড়ির বসতঘরে খেলা করছে। তাদের মা আমেনা বেগম অন্যরুমে কথা বলছিলেন। খেলারত অবস্থায় হাঁটি হাঁটি পা পা করে সবার অগোচরে হাসান ঘর থেকে বেরিয়ে পুকুর ঘাটে চলে যায়। সেখানে গিয়েই পানিতে পড়ে যায়। কিছুক্ষণের মধ্যে তাদের মা আমেনা রুমে এসে দেখেন মেয়ে সানিয়া নিজের মতো করে খেলা করছে আর হাসান রুমে নেই।
‘হাসান হাসান’ বলে ডাকতে ডাকতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান মা আমেনা বেগম। তার উৎকণ্ঠা-মেশানো ডাকে সাড়া দিয়ে বাড়ির অন্যরাসহ খোঁজ শুরু করে হাসানের। বিধিবাম কোথাও হাসান নেই। কিছুক্ষণ পরেই বাড়ির পুকুরের পানিতে ভেসে উঠে ছোট্ট হাসানের তুলতুলে সাদা ধবধবে দেহখানা। চারদিকে ডাক চিৎকার, গগনবিদারী কান্না আর হুড়োহুড়ির মধ্যে হাসানকে নিয়ে যাওয়া হলো উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে।
সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে হাজীগঞ্জের বাকিলা ইউনিয়নের ফুলছোঁয়া সর্দার বাড়িতে। হাসান একই উপজেলার ৫নং সদর ইউনিয়নের উচ্চগাঁ গ্রামের তালুকদার বাড়ির শাহাদাতের ছেলে।
হাসানের মামা স্থানীয় ইউপি সদস্য আবুল বাসার জানান, শিশুটিকে বাদ আসর বাবার বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ গোলাম মাওলা জানান, শিশুটিকে হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রশিদ জানান, পানিতে ডুবে মারা যাওয়া শিশুটির পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকার কারণে তাদের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়না তদন্ত ছাড়া লাশ দাফনের অনুমতি দেয়া হয়েছে।