স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর ব্যাপক আয়োজনে বিভিন্ন হিন্দু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চাঁদপুর শহরের কালীবাড়ি মন্দির, রামকৃষ্ণ আশ্রম, গোপাল জিউড় আখড়া, অযাচক আশ্রম, কুন্ডের বাড়ি, স্বর্ণখোলা মন্দির, পুরাণবাজার শ্রীশ্রী গৌর নিত্যানন্দ মহাপ্রভুর মন্দির, হরিসভা মন্দির কমপ্লেক্স, সার্বজনীন শ্রীশ্রী জগন্নাথ মন্দির, শ্রীশ্রী চন্দ্রেশ্বরী কালীমাতা মন্দির, পুরাণবাজার ঘোষপাড়া গীতা মন্দির, পুরাণবাজার রামঠাকুর বাড়ি দোল মন্দির, পুরানবাজার পালপাড়া হরি মন্দির, নতুনবাজার শীতলা মায়ের মন্দিরসহ শহর ও ইউনিয়ন পর্যায়ে বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করেন সমবেত ভক্তবৃন্দ। প্রার্থনা সভায় দলীয় নেতৃবৃন্দসহ প্রচুর ভক্তের উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসের সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের রামকৃষ্ণ আশ্রমে অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভায় যোগ দেন সুজিত রায় নন্দী। তিনি আশ্রম প্রাঙ্গণে আসলে আশ্রমের মহারাজ শ্রীমৎ স্বামী স্থিরআত্মানন্দজী মহারাজ, স্বামী ভবানীস্বানন্দ মহারাজ, স্বামী সুবল নন্দজী মহারাজ, স্বামী নামানন্দজী মহারাজ স্বতঃস্ফূর্ত হয়ে তাকে স্বাগত জানান। এ সময় সুজিত রায় নন্দী আশ্রমের মহারাজসহ উপস্থিত ভক্তবৃন্দের সাথে কুশল বিনিময় করে বলেন, আজ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বেঁচে থাকলে দেশের প্রতিটা মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হতো, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় গড়ে উঠতো সবুজ শ্যামল সোনার বাংলাদেশ। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার আদর্শ বাস্তবায়নে গরীব-দুঃখী অসহায় মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে দেশের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। আপনারা সকলে তার জন্য আশীর্বাদ করবেন তিনি যেন দীর্ঘজীবী হন এবং সুস্থ থাকেন।

এ সময় অনুষ্ঠিত প্রার্থনা সভায় নেতৃবৃন্দের মাঝে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সন্তোষ চন্দ্র দাস, জেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদার, নূরুল ইসলাম মিয়াজী, পৌর আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডঃ মধুসূদন কর, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহ্বায়ক এসএম জয়নাল আবেদীন, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা শেখ শরীফ আহমেদ, জেলা জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি পরেশ চন্দ্র মালাকার, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের যুগ্ম সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা, দপ্তর সম্পাদক রনজিত সাহা মুন্না, সদর উপজেলা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ নেতা সুজন সরকার, কিশোর সিংহ রায়, তিমির নাহা ও জেলা, উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় হিন্দু মহাজোট নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন মন্দির থেকে আগত ভক্তবৃন্দ।

সুজিত রায় নন্দী জাতির পিতার স্মরণে জাতীয় শোক দিবসের পরদিন আশ্রমে অধ্যয়নরত অনাথ শিক্ষার্থীসহ আশ্রমে অবস্থানরত ভক্তদের দুপুরের ভোজনের ব্যবস্থাগ্রহণ করেন।