প্রকাশ : ১৯ আগস্ট ২০২৩, ০০:০০
স্বাধীনতার মহান স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আর্তমানবতার সেবামূলক প্রতিষ্ঠান জীবনদীপের আয়োজনে আলোচনা ও জাতির পিতার বিদেহী আত্মার শান্তি কামনায় প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
১৬ আগস্ট বুধবার সন্ধ্যায় চাঁদপুর শহরের ফিডার রোডস্থ সেবা সিটি সেন্টার সংলগ্ন জীবনদীপের নিজস্ব কার্যালয়ে আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জীবনদীপের উপদেষ্টামণ্ডলীর অন্যতম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ মনোয়ারুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জনতা ব্যাংকের ডিজিএম রওশন আলম।
জীবনদীপের প্রতিষ্ঠাতা বিশিষ্ট সংগঠক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডঃ বিনয় ভূষণ মজুমদারের সঞ্চালনায় অতিথিদের মাঝে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ভারত মৈত্রী সমিতি চাঁদপুর জেলা শাখার সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা অজিত সাহা, বীর মুক্তিযোদ্ধা বাচ্চু মিয়া পাটোয়ারী (বীর প্রতিক), বীর মুক্তিযোদ্ধা সানাউল্লাহ খান, জনতা ব্যাংক সিবিএ সভাপতি মোঃ শরীফ উল্লাহ, চাঁদপুর জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা শেখ মহিউদ্দিন রাসেল, জেলা উদীচীর সভাপতি কৃষ্ণা সাহা, জেলা উদীচীর সাবেক সভাপতি চন্দ্রনাথ ঘোষ চন্দন, বিবেকানন্দ যুব সংঘের সাবেক সভাপতি বিমল চৌধুরী, জীবনদীপের অন্যতম পরিচালক মৃদুল কান্তি দাস, সাবেক পৌর মহিলা কমিশনার রেবেকা সুলতানা বকুল, মহিলা সংগঠক অ্যাডঃ ফারহানা রিয়া, অ্যাডঃ লক্ষীরাণী দত্ত, জয়ন্তী ভৌমিক, কামরুন নাহার বিউটি, রোজিনা আক্তার, আব্দুল্লা আল মামুন, মোঃ শহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন প্রমুখ।
বক্তারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ তার পরিবার পরিজন ও সেদিন ঘাতকের বুলেটে নিহতদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শুধু একজন নেতাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন মানবদরদী একজন মানুষ। যার চলন-বলন আচার আচরণে ফুটে উঠেছে তার মানবিক গুণাবলী। যিনি অসাম্প্রদায়িক চেতনায় সোনার বাংলাদেশ গড়তে চেয়েছেন, চেয়েছেন মানুষের ভাত কাপড়ের অধিকার। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসক গোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর মানবিক আবেদনগুলোতে সাড়া না দিয়ে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে একের পর এক কারাগারে পাঠিয়েছে। তাদের লক্ষ্য ছিল মামলা ও নির্যাতনে অতিষ্ট হয়ে তিনি আন্দোলন সংগ্রাম থেকে সরে আসবেন। কিন্তু তিনি তা করেননি। সকল নির্যাতন ও মামলা, হামলাকে পদদলিত করে বাঙালি জাতির অধিকার আদায়ে অনবরত সংগ্রাম করে গেছেন। তার জন্যই আজ আমরা বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছি। পেয়েছি একটি স্বাধীন জাতির মর্যাদা। যিনি আমাদেরকে নিজের সুখণ্ডশান্তি বিসর্জন দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন সেই অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুকে ভুলে গেলে চলবে না। বক্তারা আরো বলেন, আমাদের মধ্যে রাজনৈতিক মতপার্থক্য থাকতে পারে কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে কোনো মতানৈক্য থাকতে পারে না। বক্তারা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নপূরণে সকলকে অসাম্প্রদায়িক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান এবং দেশের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রাখতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু তনয়া জননেত্রী শেখ হাসিনাকে পুনরায় রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠান শুরুতেই জীবনদীপ কার্যালয়ে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়।