শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত করলো হাইকোর্ট
অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের গোপনে ম্যানেজিং কমিটি করার অভিযোগে কমিটি স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।

জানা যায়, বিদ্যালয়ের অভিভাবক মোঃ আবু হাসান খান মহামান্য হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করলে গত ১৮ জুলাই কোর্ট উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে স্থগিতাদেশ দেন। ৩ মাসের জন্য স্থগিত এ কমিটিকে আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে কারণ দর্শানোর জন্যে বলা হয়েছে।

মামলায় বিবাদীরা হলেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার, যার প্রতিনিধিত্ব করছে সচিব, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়, সচিবালয় ভবন, রমনা, ঢাকা; চেয়ারম্যান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, কুমিল্লা; স্কুল পরিদর্শক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড কুমিল্লা; জেলা প্রশাসক, চাঁদপুর; জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা, চাঁদপুর; উপজেলা নির্বাহী অফিসার, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর; উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর; চেয়ারম্যান, ম্যানেজিং কমিটি, ফরাক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ স্টেশন চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর এবং প্রধান শিক্ষক (ইনচার্জ), ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়, পুলিশ স্টেশন চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা কবির আহমেদ ওসমানী, এডহক কমিটির সভাপতি এমআর শামীম পাটোয়ারী ও বিদ্যালয়ের সাবেক সভাপতি ড. হাসান খানসহ তাদের যোগসাজশে বিদ্যালয় কমিটির নির্বাচনী তফসিল গণসম্মুখে বা অভিভাবকদের না জানিয়ে গোপনে গত ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে বিদ্যালয়ের কমিটি বোর্ড কর্তৃক অনুমোদন করিয়েছেন। পরবর্তীতে বিদ্যালয়ে কমিটির সভা না করে ১৬ জুন চাঁদপুর ‘রসুইঘরে’ গোপনে পরিচিতি সভা করে। পরে এ সভা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।

যাদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হয়, এর মধ্যে সভাপতি এমআর শামীম স্বশিক্ষিত হয়ে বিদ্যালয়ে বায়োডাটায় এইচএসসি পাস উল্লেখ করেন। স্কুলের গণ্ডি পার না হয়েই অদৃশ্য ক্ষমতার প্রভাবে উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি হন শামীম। বিদ্যালয়ের স্থায়ী দাতা সদস্য মোট সাতজনের মধ্যে ৬ জনকেই না জানিয়ে একজন সদস্য ড. হাসান খানকে নেয়া হয়, অথচ ইতিপূর্বে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড গত ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসের চার তারিখে দুর্নীতির দায়ে বোর্ড থেকে ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি পদ থেকে ড. হাসান খান এবং প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন হাওলাদারকে বহিষ্কার করেন। মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) এবং দুর্নীত দমন কমিশন চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের ১৬ তারিখ ৩১ লাখ ১৫ হাজার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ড. হাসান খান এবং রহুল আমিন হাওলাদারের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করার জন্যে চিঠি ইস্যু করেন, যার স্মারক নং-৩৭০২,০০০০,১০৭.৩১.২৩.২০২-২৪৬২।

অভিযোগ রয়েছে, ফৌজদারি মামলা থাকা সত্ত্বেও ড. হাসান খানকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মাওলানা কবির আহমেদ ওসমানী কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করেন।

অভিভাবক সদস্য আমিনুল এহসানের ছেলে চাঁদপুর মহিউস সুন্নাহ্ হাফিজিয়া মাদ্রাসায় আবাসিক থেকে পড়ালেখা করে, অথচ ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ে ভুয়া ভর্তি দেখিয়ে আমিনুল এহসানকে বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য করা হয়। বিষয়গুলো নিয়ে ফরক্কাবাদ উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক ও এলাকাবাসীর মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও মিশ্র প্রতিক্রিয়া বিরাজমান রয়েছে। জিডি-৭৩০/২৩

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়