প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
ফরিদগঞ্জে বোনের বাড়ি থেকে ভাই ফরহাদ ভূঁইয়া (১৮) নামের এক কিশোরের গলায় ফাঁস দেয়া মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (২৫ জুলাই) বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের শোশাইরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ফরহাদ ভূঁইয়া সুবিদপুর পশ্চিম ইউনিয়নের তা¤্রাশাসন গ্রামের মোঃ বাবুল ভূঁইয়ার ছেলে।
মৃতের ভাই কামরুল হোসেন জানান, তার বড় বোন জান্নাতের স্বামীর বাড়ি বালিথুবা পূর্ব ইউনিয়নের শোশাইরচর গ্রামে। তার বোন ভগ্নিপতি ঢাকায় বাস করে। ফরহাদ হোসেন কিশোর হলেও পেশায় রাজমিস্ত্রির কাজ করতো। ফরহাদ হোসেনকে বিদেশে পাঠিয়ে দেয়ার জন্যে তার পরিবার চেষ্টা করছিলো। সোমবার (২৪ জুলাই) সন্ধ্যায় সে ঢাকা থেকে বাড়িতে আসে। রাত ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। পরে মুঠোফোনে কল দিয়ে এবং অনেক খোঁজাখুঁজি করেও রাতে তাকে পাওয়া যায়নি। ভোররাতে মুঠোফোনের মাধ্যমে ফরহাদের বড় বোন জান্নাত আক্তার জানতে পারেন, তার ভাইয়ের মরদেহ নিজের স্বামীর বাড়ির সামনে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় রয়েছে। এ সময় ফরহাদের বাঁ পায়ে রক্ত ঝরছিলো। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে কী কারণে বা কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বোনের দাবি তার ভাইয়ের মৃত্যু রহস্যজনক। এর সুষ্ঠু তদন্ত প্রয়োজন। যে কেউ তার ভাইকে মেরে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে। যেভাবে লাশ দেখেছে ওই বাড়ির লোকজন তা সন্দেহজনক।
জান্নাত আক্তারের শাশুড়ি মনোয়ারা বেগম জানান, ভোরে তিনি ঘুম থেকে উঠে তাদের ঘরের সামনে গিয়েছিলেন। সেখানে একটি চিকন গাছ সংলগ্ন বাঁশের সাথে ওড়না দিয়ে গলা পেঁচানো অবস্থায় ফরহাদকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখেন। প্রথমে বিষয়টি না বুঝলেও সামনে এগিয়ে তিনি নিশ্চিত হন, গলায় ফাঁস দেয়া অবস্থায় ফরহাদ দাঁড়িয়ে আছে। দ্রুত তিনি তার পুত্রবধূ জান্নাতকে মুঠোফোনে ঘটনাটি জানান।
বাড়ির বেশ কজন জানান, প্রেমঘটিত বিষয় নিয়ে ফরহাদের ঝামেলা ছিলো। এটি নিয়ে সালিসও হয়েছে। সোমবার রাতে ফরহাদ তাদের এলাকায় এলে সে স্বাভাবিকই ছিলো। তাকে একটি সেলুনে চুল-দাড়ি কাটতে দেখা গেছে। কিন্তু হঠাৎ করেই এভাবে মারা যাওয়ার বিষয়টি বোধগম্য নয়। বিষয়টির তদন্ত প্রয়োজন বলে তারা মনে করেন।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ আবদুল মান্নান বলেন, লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্যে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।