প্রকাশ : ২৬ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
উচ্ছেদের পাঁচ মাসের মাথায় আবারও বেদখল হয়ে যাচ্ছে সড়ক ও জনপথের জমি। পাঁচমাস আগে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অবৈধভাবে গড়ে তোলা অসংখ্য দোকান উচ্ছেদ করলেও পুনরায় সেখানে দোকান তুলছেন দখলবাজরা। উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনকে আড়াল করে এসব স্থাপনা গড়ে তোলার কারণে ভবনটির সৌন্দর্য ম্লান হচ্ছে। এ বিষয়ে জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগে মৌখিক অভিযোগ দেয়ার পরও দখল এখনো অব্যাহত আছে।
চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি ফরিদগঞ্জ শহরকে যানজট ও অবৈধ দখলমুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করে প্রশাসন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাসলিমুননেছা, পৌর মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার, থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান এই উচ্ছেদ অভিযানে অংশ নেন। অভিযানে ফরিদগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সড়ক ও জনপথের ভূমির উপর স্থাপিত স্থাপনা উচ্ছেদ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। কিন্তু জুন মাসে অবৈধ দখলদার মোস্তফা রাঢ়ী পুনরায় সেখানে দোকানঘর তুলে হোটেল ব্যবসা শুরু করেন। মায়ের দোয়া হোটেলের স্বত্বাধিকারী তিনি। তার দেখাদেখি চলতি জুলাই মাসে ওহিদ মেম্বার ও মাওলানা সহিদ উল্লাহ সেখানে দোকানঘর তুলছেন। তাদের দেখাদেখি অন্যরাও ঘর তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।
এ বিষয়ে দখলদার মোস্তফা রাঢ়ীর সাথে তিনদিন ধরে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে না পাওয়ায় তার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার মোঃ সারোয়ার বলেন, সর্বশেষ যে উচ্ছেদ হয়েছে তা আমাদের আবেদনের প্রেক্ষিতে হয়েছিলো। কিছু অসাধু মানুষ অবৈধ স্থাপনা তুলে আমাদের মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সের সৌন্দর্যকে ম্লান করছে।
ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র আবুল খায়ের পাটওয়ারী বলেন, এ বিষয়ে আপনি ইউএনও মহোদয়ের সাথে কথা বলেন। উনি বিষয়টি ভালো বলতে পারবেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আজিজুন নাহার বলেন, এ অভিযোগটি আমি আরো আগে শুনেছি। আপনি নিশ্চয়ই জানেন, ভূমিটি সড়ক ও জনপথের। কয়েকদিন আগে একজন মৌখিকভাবে আমাকে অভিযোগ করেছেন। আমি আমার অফিসের একজন কর্মকর্তা দ্বারা সেই অভিযোগের কথা সওজ, ফরিদগঞ্জ কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। এখন পর্যন্ত অফিসিয়ালি তাদের কাছ থেকে কোনো বক্তব্য পাইনি। অফিসিয়ালি বক্তব্য পেলে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাবো।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ সহ-প্রকৌশলী মোঃ মামুনুর রশিদ বলেন, আমাদের উচ্ছেদকৃত জায়গায় পুনরায় দোকান নির্মাণের বিষয়টি জানার পর মৌখিকভাবে দোকান তৈরি না করার নির্দেশ প্রদান করে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়েছি। যদি পুনরায় নির্মাণ কাজ চলে তাহলে ২০১৫ সালের ভূমি আইন অনুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। মঙ্গলবার এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্যে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং ওসি ফরিদগঞ্জসহ সকল দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।