প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
দেশের বিভিন্ন স্থানের মতো চাঁদপুরেও দিন দিন ডেঙ্গু পরিস্থিতি অবনতি হচ্ছে। হাসপাতাল ও বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে প্রতিদিন ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাসায় থেকেও চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। এখানে মৃত্যু না হলেও আক্রান্ত বাড়ছে। হাসপাতালে নিয়মিত রোগীর পাশাপাশি ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসাসেবা দিতে হাসপাতালের অবস্থা এখন খুবই নাজুক।
চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালটি আড়াইশ’ শয্যার হলেও সাড়ে ৩শ’ থেকে ৪শ’ ভর্তি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছে। রোগীর অস্বাভাবিক চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড না পেয়ে বাড়তি রোগীকে ফ্লোরে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই এই হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন বলে জানা যায়।
সোমবার দুপুরে চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালের ডেঙ্গু ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা গেছে, নির্ধারিত পুরুষ ১৬টি শয্যায় ২৯ জন, ডেঙ্গু মহিলা ওয়ার্ডে ৮টি শয্যার বিপরীতে ১৩জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। তবে শয্যার চেয়ে রোগী বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত রোগীদের সাধারণ ওয়ার্ডের ফ্লোরে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ একেএম মাহাবুবুর রহমান জানান, হাসপাতালে এসে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর যাদের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয় তাদের ভর্তি দিয়ে এখানেই চিকিৎসা দিচ্ছেন। এ পর্যন্ত ১৯৯ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ভর্তি হয়েছে ৪২ জন।
তত্ত্বাবধায়ক বলেন, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। আমরা বেড সাজিয়েছি। আরো বেশি রোগী আসলে সামাল দিতে পারবো না। কিছু রোগীকে বেড দিতে পারব, অন্যদের ফ্লোরে রেখেই চিকিৎসা দিতে হবে।
এমনিতেই হাসপাতালে রোগীর চাপ বেশি, তার সাথে ডেঙ্গু রোগী। রোগীগুলো যাবে কোথায়? সিট না থাকলেও মানবিক কারণে তাদের চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
এদিকে চাঁদপুর জেলার সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ সাহাদাৎ হোসেন জানান, চাঁদপুর জেলা হাসপাতালসহ উপজেলার অন্যান্য হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত ১১৬ জন রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে। এর মধ্যে চাঁদপুর জেলা হাসপাতালে ৪২, ফরিদগঞ্জে ১৩, শাহারাস্তিতে ১০, কচুয়ায় ১২, হাজীগঞ্জে ৮, মতলব দক্ষিণে ১৮, মতলব উত্তরে ৮ ও হাইমচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৫ জন রয়েছে।