শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ভবন নির্মাণের অভিযোগ
ফরিদগঞ্জ ব্যুরো ॥

নিজের পৈত্রিক জমি বুঝে না পেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন পাটওয়ারী। আদালত সেমতে নির্মাণাধীন ভবনের কাজ স্থগিতে ১৪৫ ধারা জারি করে। আদালতের নির্দেশনা অনুসারে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসে। কিন্তু পুলিশ আসার সংবাদ শুনে ভবন নির্মাণকারী ও মিস্ত্রীরা পালিয়ে গেলেও পুলিশ চলে গেলে আবার ফিরে এসে বা পরদিন থেকে কাজ শুরু করে দেয়। স্থানীয় একটি প্রভাবশালী মহলের ইশারায় আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে নির্মাণ কাজের কারণে অসহায় হয়ে পড়েছেন দরিদ্র ভ্যানচালক ও তার পরিবার। ফরিদগঞ্জ উপজেলার গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের ঘটনা এটি।

জানা গেছে, গোবিন্দপুর উত্তর ইউনিয়নের চির্কা গ্রামের পাটওয়ারী বাড়ির ভ্যান চালক আনোয়ার হোসেন (৫২) তার পৈত্রিক জমির হিস্যা ৭শতক ভূমি সঠিক বুঝে না পেয়ে তার চাচাতো ভাই আবুল কালাম (৫৫)-এর নির্মাণাধীন পাকা বিল্ডিং নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চাঁদপুর আদালতে গত ১৯ জুলাই মামলা করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে ১৪৫ ধারায় উক্ত ভূমিতে স্থিতাবস্থা জারি করেন। আদালতের নির্দেশে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ পরদিন ২০ জুলাই নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসেন।

আনোয়ার হোসেন জানান, তার চাচাতো ভাই আবুল কালাম নিজের প্রাপ্য অংশ ৭শতক জমি থেকে সাড়ে ৪ শতক বিক্রি করে দেন। কিন্তু তিনি তার ৭ শতক জমি বুঝিয়ে না দিয়ে উল্টো তাদের জমিতে পাকা বিল্ডিং নির্মাণ করছেন। তাদের নিষেধ করলেও উল্টো এলাকার প্রভাবশালীদের দিয়ে হুমকি-ধমকি দিয়ে কাজ চালাচ্ছেন। ফলে তিনি বাধ্য হয়ে আদালতের শরণাপন্ন হন। আদালত উক্ত ভূমিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে, যাতে থানা পুলিশের একজন এসআই এসে নিদের্শনা দিয়ে যান। কিন্তু তারা কারো নির্দেশই মানেন নি। পুলিশ আসার সংবাদ শুনে অভিযুক্ত ও রাজমিস্ত্রীরা পালিয়ে যান। আবার পুলিশ চলে গেলে পুনরায় কাজ শুরু করেন। এভাবে পুলিশ এ ঘটনার জন্যে অন্তত ৩/৪বার এসেছে বা ফোনে তাদের কাজ বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। সর্বশেষ সোমবার (২৪ জুলাই) তারা বিপুল সংখ্যক রাজমিস্ত্রী নিয়ে কাজ শুরু করলে থানা পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে কাজ বন্ধ করে দিয়ে যাবার কয়েক ঘন্টা পর আবারো কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে বাধ্য হয়ে আবারো পুলিশের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। তারা পুলিশের সাথেও খেলছে এবং আদালতের নির্দেশনাও অমান্য করছে। তারা কিছুই মানেন না। প্রভাবশালীদের চাপে আমি দিশেহারা।

অন্যদিকে আবুল কালাম বলেন, আমি আামার নিজের জমিতেই ভবন নির্মাণ করছি। আনোয়ার হোসেন এলাকার পঞ্চায়েতের কথা না শুনে আদালতে গিয়েছে।

ফরিদগঞ্জ থানার এসআই সামছুজ্জামান বলেন, আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ২০ জুলাই ১৪৫ ধারা জারি করি। পরবর্তী ২৪ জুলাই সোমবার পুনরায় সেখানে গিয়ে নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দিয়ে আসি। সন্ধ্যার পর উভয় পক্ষকে থানায় আসতে বলেছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়