শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৫ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

হাজীগঞ্জে বালুবাহী ট্রাক গিলে খাচ্ছে পাকা সড়ক
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

বালুবাহী ট্রাক দিনের পর দিন গিলে খাচ্ছে পাকা সড়ক। প্রায় আড়াই কিলোমিটারের পরিপাটি পাকা সড়কটিতে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে শোল্ডার, এজিন, মেকাডম আর কার্পেটিং উঠে লম্বা লম্বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে এই সড়কে প্রতিদিন চলাচলকারী শতাধিক গণপরিবহনের যাত্রীদের জীবন বিষিয়ে উঠেছে। গণপরিহনের যাত্রীদের অভিযোগ, ওভারলোড করে বালু পরিবহন করায় সড়কের এ অবস্থা হয়েছে। বালু পরিবহনে সড়কের এমন হয়নি বলে বালু ব্যবসায়ীরা দাবি করছেন। তবে সড়কের মালিক এলজিইডি বলে আসছে, চলতি অর্থবছরে সড়কের সংস্কার করা হবে। সড়কটি হাজীগঞ্জ উপজেলার বলাখাল পূর্ব বাজার থেকে শুরু করে বলাখাল-নাটেহরা সেতু হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত বিস্তৃত। সড়কের এ অংশের সেতুর উভয় পাড়ে রয়েছে প্রায় ১০টি বালু মহাল। মূলত বালু মহালগুলোর বালু পরিবহনের কারণে সড়কের এমন অবস্থা হয়েছে বলে দাবি স্থানীয়দের।

সরেজমিনে দেখা যায়, বলাখাল পূর্ব বাজারে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের সংযোগ রক্ষা করে বলাখাল বকুলতলা আর. জে. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষে ডাকাতিয়া নদীর ওপর নির্মিত বলাখাল-নাটেহরা সেতু হয়ে রামচন্দ্রপুর বাজার পর্যন্ত পাকা সড়কের দৈর্ঘ্য প্রায় ৩ কিলোমিটার। উক্ত সেতুর উভয় পাড়ে কমপক্ষে ১০টি বালুমহাল রয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ বালুমহাল সেতুর উত্তর পাড়ের বলাখাল অংশে। এ সকল বালু মহাল থেকে সারাদিন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বালু পরিবহন করা হয়। লোকালয়ের ওপর দিয়ে এমন বালু পরিবহনের কারণে সড়কের পাশের আর. জে. প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সড়ক সংলগ্ন বাসা-বাড়িতে বালি উড়ে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করছে। বহু ক্ষেত্রে ভিজা বালু পরিবহনের কারণে পুরো সড়কে বালুর স্তর পড়ে, যা অন্য পরিবহনের চাকার সাথে বাতাসে মিশে একাকার হয়ে সড়কে চলাচলকারী গণপরিহনের যাত্রী সাধারণসহ সড়কে চলাচলরত পথচারীদের শরীরে, নাকে, মুখে পড়ে। বিশেষ করে শিশুরা সড়কের উড়ন্ত বালুতে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

সরেজমিনে আরো দেখা যায়, বালু মহালগুলো থেকে প্রতিদিন প্রায় শতাধিক বালুবাহী ট্রাক পরিবহনের কারণে মাত্র কয়েক বছরের মধ্যে সড়কের বেশির ভাগ অংশের শোল্ডার, এজিন, মেকাডাম আর কার্পেটিং উঠে লম্বা লম্বা গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে সড়কের উক্ত অংশ তথা বলাখাল-রামচন্দ্রপুর সড়কে চলাচলকারী গণপরিহনের সকল যাত্রীকে অবর্ণনীয় ঝাঁকুনি আর উড়ন্ত বালুঝড়ের মধ্য দিয়ে সড়ক পারাপার করতে হয়।

উক্ত সড়কে চলাচলকারী সিএনজি চালিত অটোরিকশার একাধিক চালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, বালুমহালের লোকদের কারণে এখানে কিছু বলা যায় না। ভাঙ্গা সড়কে গাড়ি চালানোর কারণে প্রতিদিন বাড়িতে গিয়ে ব্যথার ঔষধ খেতে হয়।

বালু মহালের মালিকপক্ষের একজন ও আওয়ামী লীগ নেতা আবু তাহের লিটন ভূঁইয়া জানান, তাদের বালু নিয়ম মেনে পরিবহন করা হয়। ওভারলোড করে কখনো বালু পরিবহন করা হয় না।

স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এজিইডি)-এর হাজীগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী রেজওয়ানুর রহমান জানান, বালু মহালের বালু পরিবহনের কারণে সড়কের প্রায় দেড় কিলোমিটারের অবস্থা বেশি খারাপ হয়েছে। জনগণের চলাচলের সুবিধার্থে আমরা এই অর্থবছরে সড়কটি সংস্কার করবো।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়