শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৪ জুলাই ২০২৩, ০০:০০

ফরিদগঞ্জের বিভিন্ন রাস্তার পাশে নেই সিগনাল ॥ বিপাকে পথচারীরা
এমরান হোসেন লিটন ॥

একটি আধুনিক ডিজিটাল রাষ্ট্র যে ক'টা অবকাঠামোর ওপর দন্ডায়মান থাকে তার অন্যতম হলো রাস্তা-ঘাট। আর তা যদি হয় পাকা রাস্তা, তাহলে তো আর কথাই নেই। আমাদের দেশে যেসব পাকা রাস্তা হচ্ছে তা গ্রামে যারা বাস করে তারা সবাই অবগত আছেন। যেমন একটি পাকা রাস্তা হলে সেখানে বিভিন্ন সিগনাল থাকতে হয়, যেমন আঁকাণ্ডবাঁকা মোড়, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য নোটিস, মাইল স্টোন স্থাপন সহ আরো কিছু সিগনাল সাইন থাকা বাধ্যতামূলক। দেশে সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং এলজিইডির মাইল স্টোন সহ বিভিন্ন সিগনাল স্থাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কেননা একজন পথচারী সেটা দেখে সহজে তার গন্তব্যস্থান সম্পর্কে ধারণা ও সঠিক দিক-নির্দেশনা পেয়ে থাকেন। ফলে আলাদাভাবে মানুষকে আর জিজ্ঞাসা করার প্রয়োজন হয় না। তাছাড়া জিজ্ঞাসা করতে গেলে অনেক সময় বাজে টাউটদের খপ্পরে পড়তে হয়। এতে অনেক পথচারী তাদের সর্বস্ব হারাতে বাধ্য হন। এমন অনেক ঘটনা মাঝে মাঝে হয়।

ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন রাস্তার পাশে মাইল স্টোনসহ বিভিন্ন সিগনালের অস্তিত্ব নেই। যেমন ফরিদগঞ্জ থেকে কালিরবাজার অভিমুখী রাস্তা, রূপসা থেকে খাজুরিয়া-গুপ্টি রাস্তা, ধানুয়া বাজার থেকে গাজিপুর-কড়ৈতলি-গল্লাক রাস্তা,কামতা হতে সেন্দ্রা রাস্তা, চান্দ্রা-ফরিদগঞ্জ সড়ক, খাজুরিয়া-আস্টা-কামতা সড়ক, চাঁদপুর-মুন্সিরহাট-রামগঞ্জ আঞ্চলিক সড়ক সহ ফরিদগঞ্জের অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ সড়কেই এই মাইল স্টোন এবং সিগনাল সাইন নেই। দু-একটি জায়গায় মাইল স্টোন বা সিগনাল সাইন থাকলেও অনেকদিন যাবৎ মেরামত না করায় তাতে কী লিখা আছে তা বোঝা যায় না। অনেক যাত্রী বলেন, মাইল স্টোন না থাকার কারণে সিএনজি ড্রাইভাররা আমাদের কাছ থেকে তাদের নিজেদের ইচ্ছেমতো ভাড়া নিচ্ছে। মাইল স্টোন থাকলে যা সম্ভব হতো না এবং এছাড়া নিজের গন্তব্যে যেতে অন্য কাউকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজন হতো না। নতুন ড্রাইভাররা বলেন, মাইল স্টোন এবং সিগনাল সাইন থাকলে আমাদের জন্যে অনেক সুবিধা হয় এবং দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা যায়। ড্রাইভাররা আরো বলেন, সিগনাল সাইন থাকলে, সিগনালের প্রতি লক্ষ্য রেখে গাড়ি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়। দুর্ঘটনা কম হয়।

বাংলাদেশ নিরাপদ সড়ক চাই-এর ফরিদগঞ্জ উপজেলা শাখার সভাপতি বারাকত পাটওয়ারী বলেন, কম পক্ষে পাকা সড়কগুলোতে মাইল স্টোন এবং বিভিন্ন সিগনাল সাইন অতীব জরুরি। ইতিপূর্বে আমরা আমাদের নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠন হতে ফরিদগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন সড়কে সিগনাল সাইন লাগিয়েছি, যা অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো বলেন, সড়কে মাইল স্টোন এবং সিগনাল সাইন থাকলে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব এবং নিরাপদে গন্তব্যস্থানে যাওয়া খুব সহজ হয়।

ফরিদগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি মামুনুর রশিদ পাঠান বলেন, সড়কে মাইল স্টোন এবং সিগনাল সাইন থাকলে দুর্ঘটনা এড়িয়ে চলা সম্ভব হয়। তাতে যাত্রী এবং ড্রাইভার দু পক্ষই সতর্ক থাকে এবং মাইল স্টোন ও সিগনাল সাইনে নির্দিষ্ট স্থানের নাম থাকার কারণে যাত্রীরা অন্যের সহযোগিতা নিতে হয় না। তখন নিজের করে চলতে গিয়ে খারাপ কোনো লোকের শরণাপন্ন হতে হয় না। তিনি আরো বলেন, কমপক্ষে পাকা সড়কগুলোতে মাইল স্টোন বা সিগনাল সাইন থাকলে ভালো হয়। আমাদেরও আশা, যত দ্রুত সম্ভব পাকা রাস্তাগুলোতে এই মাইল স্টোন এবং সিগনাল সাইন লাগানো হোক, পুরাতনগুলো মেরামত করা হোক, যেন দূর থেকে আসা পথচারী তার গন্তব্যস্থান সম্পর্কে ধারণা ও সঠিক দিক-নির্দেশনা পেতে পারে এবং ড্রাইভারেরা যেন সিগনাল সাইন দেখে নিরাপদে গাড়ি চালাতে পারে।

ফরিদগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবরার আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে ওপর থেকে আমাদেরকে নির্দেশনা দেয়া আছে এবং আমরা সেভাবেই কাজ করছি। পুরাতন যে রাস্তাগুলো সংস্কার করা হচ্ছে এবং নতুন নতুন যেসব রাস্তা করা হচ্ছে, সেগুলোতে আমরা মাইলস্টোন, সিগনাল সাইনগুলো লাগানো গুরুত্ব সহকারে দেখছি।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়