প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৩, ০০:০০
চাঁদপুর-চট্টগ্রাম চলাচলকারী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের দুর্ঘটনার শিকার সহকারী ড্রাইভার সাইদ মোঃ তাহের মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে শোকরিয়া আদায় করে বলেন, আমার মা ও আমার ছোট ছোট ৩টি কন্যার জন্যে আল্লাহ পাক আমাকে রক্ষা করেছেন। ৬ দিন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসা নিয়ে গতকাল বাসায় ফিরেন। তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, আমি দুর্ঘটনার দিন ইঞ্জিনের সমস্যা খুঁজতে গিয়ে দেখি, পানির স্বল্পতা দেখা যায়, তখন আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বললে তারা ৩ বালতি পানি দেয়ার কথা বলেন। সেমতে রেলওয়ে লোকো রানিং রুমের বাবুর্চি মোঃ শাহজাহান ২ বালতি পানির ব্যবস্থা করে আর ১টি বালতি পানি আনার জন্যে শাহজাহানকে পাঠাই। সে পানি নিয়ে আসার আগেই আমার সাথে থাকা ডাস্টার দিয়ে নজেলে চাপ দিলে মুহূর্তেই ঢাকনা ছুটে গরম পানি আমার চোখে ও মুখে এসে পড়ে। তাৎক্ষণিক আমি ছটফট করতে থাকি। তখন শাহজাহান আমার এ অবস্থা দেখে ডাক-চিৎকার শুরু করে। পাশে থাকা স্টেশন মাস্টার, ওসি জিআরপিসহ সবাই আমাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। আমার জ্ঞান ছিলো বলে আমি ডাস্টার দিয়ে মুখ ও গলা ঢেকে দেই। না হলে আরও ক্ষতি হয়ে যেতো। কুমিল্লা বার্ন ইউনিটের ডাক্তার আমার আত্মীয় থাকায় তার আন্তরিকতাপূর্ণ সহায়তা পাওয়ায় আমাকে ঢাকা যেতে হয়নি। তবে আমাকে মুখে প্লাস্টিক সার্জারী করতে বলেছেন। মুখে অনেক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। তবে মুখে জ্বালা-পোড়ায় খুব কষ্ট পাচ্ছি। সাইদ মোঃ তাহেরের বাড়ি চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজেলায়। তিনি বলেন, মায়ের অনেক কষ্টের সন্তান আমি। দশ বছর বয়সের পর আমি হাঁটা শুরু করি। আমার মা আমার জীবন গড়তে অনেক পরিশ্রম করেছেন। আমার ৩টি ছোট ছোট কন্যা সন্তান রয়েছে। তাদের কথা ভাবলেই আমার গা শিউরে উঠে।
উল্লেখ্য, গত ১১ জুলাই চাঁদপুর বড় স্টেশনে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনের ইঞ্জিন সমস্যায় দুর্ঘটনার শিকার হন সাইদ মোঃ তাহের।