বুধবার চাঁদপুরে শনাক্তের হার ছিলো ২৮ শতাংশ

স্বস্তির খবর হচ্ছে-চাঁদপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণের হার ক্রমান্বয়ে নিম্নমুখীর দিকে যাচ্ছে। ১১ আগস্ট বুধবার শনাক্তের হার হয়েছে ২৮ শতাংশ। মঙ্গলবার ছিল ৩১ শতাংশ, তার আগের দিন ছিল ৩০ শতাংশ, তারও আগেরদিন ছিলো ৩৬ শতাংশ। এভাবেই চাঁদপুরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ নিম্নমুখী হচ্ছে। তবে মৃত্যুর সংখ্যা কমে নি। বুধবার হাসপাতালেই মারা গেছে ১২ জন। তার মধ্যে করোনা পজিটিভ ছিল ৫ জন।

বুধবার রাতে সিভিল সার্জন অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্য সূত্রে জানা গেছে, এদিন জেলার ৫৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৫৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়। শনাক্তের হার ২৮ শতাংশ। এছাড়া এদিন করোনা পজিটিভ রোগী মারা গেছেন পাঁচজন। এই পাঁচজনসহ সরকারি হিসেবে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ২০৯ জন।

বুধবার নতুন শনাক্ত হওয়া ১৫৩ জনের উপজেলা ভিত্তিক সংখ্যা হলো : চাঁদপুর সদর ৬৪, হাইমচর ১, ফরিদগঞ্জ ১৪, হাজীগঞ্জ ২৯, মতলব দক্ষিণ ১৯, কচুয়া ১৬, শাহরাস্তি ৪ ও মতলব উত্তরে ৬ জন।

এদিকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৮ জন মারা গেছেন। এদের মধ্যে দুইজন করোনা পজিটিভ, আর অন্যরা ছিলেন করোনা সাসপেক্টেড। ১১ আগস্ট বুধবার দুপুর ২টা থেকে ১২ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে এঁরা মারা যান। মারা যাওয়াদের মধ্যে চাঁদপুর শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার রয়েছে।

এঁরা হচ্ছেন : হাইমচর উপজেলার গণ্ডামারা গ্রামের আবু জাফর পাটওয়ারী (৬৫), চাঁদপুর সদর উপজেলার দাসদী কল্যাণপুর গ্রামের দুলাল গাজী (৫৫), একই উপজেলার শাহতলী হামানকর্দী গ্রামের হারুনুর রশিদ (৬৫), মতলব দক্ষিণ উপজেলার দিঘলদী গ্রামের হনুফা (৭০), হাজীগঞ্জ উপজেলার হাটিলা গ্রামের ফজিলতেননেছা (৬০), একই উপজেলার কীর্তনখোলা লোদপাড়া গ্রামের ফজিলত বেগম (৭০), চাঁদপুর শহরের নতুন বাজার মুখার্জিঘাট এলাকার শিউলি বেগম (৩৯) এবং শাহরাস্তি উপজেলার হানিফ (৭৫)। এদের মধ্যে আবু জাফর পাটওয়ারী ও দুলাল গাজীর করোনা পজিটিভ ছিলো।