প্রকাশ : ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
আজ মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলাবাসীর জন্যে ভয়াল ১৯ ফেব্রুয়ারি। ২০০৫ সালের এইদিনে ঢাকার সদরঘাট থেকে ছেড়ে আসা মতলবগামী এমভি মহারাজ লঞ্চটি কালবৈশাখী ঝড়ে আড়াই শতাধিক যাত্রী নিয়ে নারায়ণগঞ্জের পাগলা নামক স্থানে উল্টে নদীতে নিমজ্জিত হয়। ভয়াল এ ট্রাজেডির ১৮ বছর পূরণ হলো আজ।
বছর শেষে এই দিনটি ফিরে এলে স্বজনদের মনে পড়ে যায় সেই ২০০৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির ভয়াল লঞ্চ দুর্ঘটনার কথা। যেদিন প্রিয়জনদের হারিয়েছে তাদের স্বজনরা। এ দুর্ঘটনায় লঞ্চে থাকা দু শতাধিক বিভিন্ন বয়সী নারী-শিশু ও পুরুষ প্রাণ হারান। লঞ্চটিতে মতলব দক্ষিণ ও উত্তর উপজেলার যাত্রী ছাড়াও চাঁদপুর, শরীয়তপুর, ভোলাসহ বিভিন্ন জেলা-উপজেলার যাত্রী ছিলো। ভয়াবহ এ লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত স্বজনদের কান্না থামেনি আজও। মতলববাসীর জন্যে আজকের দিনটি হচ্ছে এক শোকাবহ দিন।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের মধ্যে নারায়ণপুর ডিগ্রি কলেজের অধ্যাপক মোহাম্মদ আলী, তাঁর কন্যা মতলব কচি-কাঁচা প্রি-ক্যাডেট স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির মেধাবী ছাত্রী শিলাত জাহান অর্থি, শিক্ষক সমিতির সভাপতি আব্দুল হাই মাস্টার, আইসিডিডিআরবির ডাঃ মোঃ মাসুম, দগরপুর গ্রামের প্রকৌশলী ফারুক দেওয়ান, দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের মতলব উত্তর প্রতিনিধি বাবুল মুফতির শ্যালক নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু শিকদার, মতলব বাজারের সার ব্যবসায়ী ইয়াসিন মৃধা, ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটির কর্মকর্তা ফারুক দেওয়ানসহ পরিবারবর্গ, দশপাড়া গ্রামের মফিজুল ইসলাম, বাইশপুর গ্রামের ছোট খোকন ও বড় খোকন, মতলব উত্তরের বারহাতিয়া গ্রামের ভাঙ্গারী ব্যবসায়ী শাহআলম, ঘাসিরচর গ্রামের আবু হানিফ, পাঠানচক গ্রামের ইয়াছিন আরাফাত, বাদল হোসেন, মধ্য নিশ্চিন্তপুর গ্রামের টিপু মুন্সি, দুর্গাপুর গ্রামের সুমন মিয়াসহ নাম জানা না জানা অনেকের গলিত লাশ উদ্ধার করা হয়।
মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও শোকসভার মাধ্যমে আজকের দিনটিকে স্মরণ করে রাখেন নিহতদের স্বজনেরা। নিহতের আত্মার মাগফেরাত কামনায় মতলবের বিভিন্ন স্থানে দোয়া মাহফিল করা হয়।