শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

শুধু ইলিশের বাড়ি নয়, সমৃদ্ধির জেলা চাঁদপুর যেনো হয়
চাঁদপুর কণ্ঠ রিপোর্ট ॥

চাঁদপুর জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের আয়োজনে মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, সরকার যে গ্রামীণ এলাকার হতদরিদ্র গর্ভবতী মায়েদের জন্যে মাতৃত্বকালীন ভাতা এবং শহর এলাকার কম আয়ের কর্মজীবী মায়েদের জন্যে দুগ্ধ ভাতা কর্মসূচি চালু করেছে, তার একটা সুদূরপ্রসারী উদ্দেশ্য আছে। সেটা হলো-স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। যা সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য থেকে বুঝা গেছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ হয়ে গেছে। এখন স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে হবে’। তার জন্যে স্মার্ট শিশু জন্মগ্রহণ করতে হবে। সেটা হলো- মেধাসম্পন্ন, সুস্থ-সবল শিশু জন্ম নেয়া। আর এমন শিশু জন্ম দিতে হলে গর্ভবতী মা ও গর্ভের শিশুটাকে ভালো পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। তাতে মা এবং শিশুর ব্রেন বিকশিত হবে। তিনি বলেন, মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি শুধুমাত্র একটা কর্মসূচি নয়, এটা হচ্ছে একটা ক্যাম্পিং। এই কর্মসূচি যে শুধু ভাতাভোগীর জন্য তা নয়, প্রত্যেক গর্ভবতী মা এবং দুগ্ধদাত্রী মায়ের জন্যে। সে জন্যে এটা ক্যাম্পিং। আর এটা একটা বিনিয়োগও। এই বিনিয়োগই হলো স্মার্ট বাংলাদেশ। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৯ সালে যখন ডিজিটাল বাংলাদেশের কথা বলেছিলেন, তখন অনেকেই বলেছেন ডিজিটাল বাংলাদেশ আবার কী! অনেকেই তখন নানা বিদ্রুপ কথা বলেছেন। সেই ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তব। দেশ ডিজিটাল হয়ে গেছে। এখন ২০৪১ সালের স্বপ্ন হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়া। সে লক্ষ্য নিয়েই মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচি। তিনি বলেন, সবশেষে দেশটা আমাদের। সে জন্যে সবাই যার যার অবস্থান থেকে দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে কাজ করতে হবে।

চাঁদপুর প্রসঙ্গে সচিব বলেন, এই চাঁদপুরে আমার অনেক স্মৃতি রয়েছে। আমার বাবা একটানা ১৫ বছর চাঁদপুর সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করেছেন। আমার জন্ম চাঁদপুর শহরে। হাসান আলী স্কুল ও সরকারি কলেজে পড়াশোনা করেছি। চাঁদপুরের নানা সামাজিক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। এই শহর আমার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমনভাবে জড়িত, যে সুবাদে আমি চাঁদপুরকে সেকেন্ড হোম বলি। এই শহরের মানুষগুলো আমার অনেক আপনজন। চাঁদপুরের এমন কিছু গুণীজন রয়েছেন, যারা সরকারসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনিসহ আরো হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতৃত্ব রয়েছেন এই জেলায়। সে জন্য আমি বলবো- শুধু ইলিশের বাড়ি নয়, সমৃদ্ধির জেলা চাঁদপুর যেনো পরিণত হয় সে লক্ষ্যে আমাদের সবার কাজ করতে হবে। তিনি মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, সেলাই প্রশিক্ষণের পাশাপাশি টেকসই অন্যান্য প্রশিক্ষণও দিতে হবে।

জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মনোয়ারা ইশরাত ও পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)।

প্রকল্পের ডকুমেন্টারি উপস্থাপন করেন মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির পরিচালক রুবিনা গণি। উপস্থিত ছিলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপ-সচিব লিয়াকত হোসেন, প্রকল্প পরিচালক তরিকুল আলম ও অতিরিক্ত পরিচালক ছালেহা বিনতে সিরাজ।

জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাছিমা আক্তারের পরিচালনায় সভায় বক্তব্য রাখেন শাহরাস্তি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির, জেলা পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডাঃ মোঃ ইলিয়াস, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলন, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌস, জেলা মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপিকা মাসুদা নূর খান, পৌর কাউন্সিলর আয়েশা আক্তার, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন পাটওয়ারী প্রমুখ। বক্তারা মা ও শিশু সহায়তা কর্মসূচির বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন।

কর্মশালায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা এবং চাঁদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়