প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেম। আর এই প্রেমকে দৃঢ় করতে প্রথমবারের মতো সরাসরি পরিচিত হয়ে হাজীগঞ্জে ঘুরতে যাওয়ার পথে প্রেমিকের মোটরসাইকেলের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে প্রেমিকার মৃত্যু হয়েছে। এই প্রেমিকার নাম আরিফা আহনাফ জান্নাত (১৯)।
গত ১৬ ডিসেম্বর শুক্রবার বিকেলে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহ মাহমুদপুর এলাকায় এ মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত জান্নাত ফরিদগঞ্জ উপজেলার ৮নং পাইকপাড়া ইউনিয়নের বালিচাটিয়া দায়সারা গ্রামের আলী আব্বাসের মেয়ে। তিনি ফরিদগঞ্জ বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজের ১ম বর্ষে অধ্যয়নরত বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা।
জানা যায়, গত মাসখানেক পূর্বে একই উপজেলার কেরোয়া গ্রামের মোস্তফা কামালের পুত্র আনসার সদস্য মোঃ খলিলুর রহমানের সাথে আরিফা আহনাফ জান্নাতের ফেসবুকে পরিচয় থেকে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সুবাদে তারা দুজন শুক্রবার দুপুরে মোটরসাইকেল যোগে হাজীগঞ্জে বেড়াতে যেতে রওনা হন। সেখানে যাওয়ার পথে চাঁদপুর-কুমিল্লা আঞ্চলিক মহাসড়কের শাহমাহমুদপুর এলাকায় আসলে আরিফ আহনাফ জান্নাতের পরনে থাকা ওড়না মোটরসাইকেলের পেছনের চাকায় পেঁচিয়ে যায়। এতে তিনি নিজের ভারসাম্য ধরে রাখতে না পেরে চলতি মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে সড়কে পড়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত পেয়ে গুরুতরভাবে আহত হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যান।
ঘটনার সাথে সাথে প্রেমিক খলিলুর রহমান প্রত্যক্ষদর্শীদের সহযোগিতায় তাকে সেখান থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এদিকে এমন ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার মোবাইল টিমের পিএসআই জাহেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে হাসপাতালে গিয়ে লাশের সুরতাল রিপোর্ট তৈরি করে থানায় নিয়ে যান। একই সঙ্গে প্রেমিক খলিলুর রহমানকে চাঁদপুর মডেল থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
এমন মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে নিহত আরিফা আহনাফ জান্নাতের স্বজনরা চাঁদপুর মডেল থানায় ছুটে যান। উভয় পরিবারের সমঝোতার মাধ্যমে বিষয়টা সমাধান করা হয়। পরে নিহতের স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হলে ১৭ ডিসেম্বর সকালে পারিবারিক কবরস্থানে জান্নাতকে দাফন করা হয়।