শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৮ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
বিমল চৌধুরী ॥

সুখী-সমৃদ্ধ উন্নয়নশীল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয় নিয়ে চাঁদপুরে পালিত হয়েছে মহান বিজয় দিবস। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে মহান বিজয় দিবসের শুভ সূচনা করা হয়। এদিন সকালে মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য ‘অঙ্গীকারে’র বেদীতে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুলেল শুভেচ্ছা প্রদান করেন জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠন, জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন, চাঁদপুর পৌরসভা, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। চাঁদপুর-৩ আসনের সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর পক্ষে তাদের সমর্থকরাও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান করেন। সকালের স্নিগ্ধ সূর্যের আলোয় ফুলে ফুলে ভরে উঠে ‘অঙ্গীকারে’র বেদী।

সকাল সাড়ে ৮টায় জেলা প্রশাসকের আয়োজনে চাঁদপুর স্টেডিয়ামে বীর মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ, আনসার, ভিডিপি, বিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, সিভিল ডিফেন্স, স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, সামাজিক প্রতিষ্ঠানসহ স্কাউটস্, রোভার স্কাউটস্, গার্লস গাইড এবং শিশু-কিশোর সংগঠনের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয় কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠান। কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠানে সুসজ্জিত মঞ্চে দাঁড়িয়ে সালাম গ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার)। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। এছাড়া গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন স্বাধীন বাংলার স্বপ্ন পূরণে যারা রক্ত দিয়েছেন সে সকল বীর শহীদকে, শ্রদ্ধা জানান জাতীয় চার নেতাসহ সকল মুক্তিযোদ্ধার প্রতি। তিনি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে পরিণত করার কার্যক্রম বাস্তবায়নে জেলাবাসীকে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস আমাদের জাতীয় জীবনে অবিস্মরণীয় এক গৌরবের দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ সালে সমগ্র বাঙালি জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে এবং দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে সীমাহীন ত্যাগ ও অসীম বীরত্ব প্রদর্শন করার মধ্য দিয়ে এদিন মহান বিজয় অর্জিত হয়। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত এবং ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের স্বাধীনতা অক্ষুণ্ন রাখতে হবে। যে স্বপ্ন নিয়ে আমাদের এ স্বাধীনতা অর্জিত হয়েছে তা বাস্তবায়নে সকলকে একযোগে কাজ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে উন্নত বিশ্বের ন্যায় রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আমরা সকলে কাজ করার মানসিকতা নিয়ে এগিয়ে যাবো-বিজয় দিবসে এ হোক আমাদের অঙ্গীকার।

জেলা প্রশাসকের বক্তব্য শেষে উৎসবমুখর পরিবেশে উন্মুক্ত আকাশে শান্তির পাড়রা উড়িয়ে দেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। এ সময় পুলিশ সুপার মোঃ মিলন মাহমুদ বিপিএম (বার), জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আলহাজ্ব নাসির উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক আবু নঈম পাটওয়ারী দুলাল, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, জেলা জজ কোর্টের পিপি অ্যাডঃ রনজিত রায় চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী, জেলা স্কাউটের সাধারণ সম্পাদক অজয় কুমার ভৌমিক, চাঁদপুর পৌরসভার ভারপ্রাপ্ত মেয়র মোহাম্মদ আলী মাঝি, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রাজনীতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, ছাত্র-ছাত্রী ও সর্ব শ্রেণী-পোশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা মনোজ্ঞ ডিসপ্লে প্রদর্শন করে। কুচকাওয়াজ ও ডিসপ্লে প্রদর্শনকারীদের মাঝে শ্রেষ্ঠত্বের বিচারে পুরস্কার প্রদান করা হয়। বিকেলে অনুষ্ঠিত হয় জেলা প্রশাসন বনাম পৌর একাদশের মাঝে প্রীতি ম্যাচ। এছাড়াও চাঁদপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার আয়োজনে জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোস্তফা বাবুর পরিচালনায় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হয় গ্রামবাংলার হারিয়ে যাওয়া গোল্লাছুট, দড়ি লাফ, পাতিল ভাঙ্গা, চেয়ার খেলাসহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা। গ্রামবাংলার খেলাধুলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসকের পত্নী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক তাফাজ্জল হোসেন এসডু পাটওয়ারী।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়