শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৬ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

জামায়াত ও তাদের দোসরমুক্ত দেশ চাই
কামরুজ্জামান টুটুল ॥

বীর মুক্তিযোদ্ধা মোখলেসুর রহমান। হাজীগঞ্জের দ্বাদশগ্রাম ইউনিয়নের সাতবাড়িভাঙ্গা গ্রামের মৃত সরাফত আলীর সন্তান। শিক্ষকতা পেশা থেকে অবসরগ্রহণ করে দিনাতিপাত করছেন। স্ত্রী, ৪ মেয়ে ও ২ ছেলে নিয়ে আছেন। মেয়েদের মধ্যে ২ জন চাকুরিজীবী এবং বাকি ২ জন গৃহিণী। ছেলেদের মধ্যে বড় সন্তান প্রবাসী ও ছোট ছেলে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএসসি (সম্মান) অধ্যয়নরত। স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসরমুক্ত বাংলাদেশ চান জীবনের শেষ বয়সে এসে।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠের আয়োজন ‘বিজয়ের মাস ডিসেম্বর : কেমন আছেন মুক্তিযোদ্ধাগণ’ আজকের পর্বে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন তিনি। নি¤েœ তাঁর সাক্ষাৎকারটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বছর ঘুরে আবার আসলো বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। আপনার অনুভূতি কেমন?

মোখলেসুর রহমান : যেখানে ৭০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা মরে গেছেন সেখানে অনুভূতি আর কী বলবো। বিজয়ের মাসে জাতির পিতার কন্যার কাছে একটাই দাবি-জামায়াত ও তাদের দোসরদের নিষিদ্ধ করাই শুধু নয়, তাদেরকে বিলুপ্ত করা হোক। বিজয়ের মাস ডিসেম্বর, আনন্দের মাস ডিসেম্বর। এ পর্যন্ত বেঁচে আছি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে তা দেখার জন্যে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সার্বিকভাবে আপনি কেমন আছেন?

মোখলেসুর রহমান : সার্বিকভাবে ভালো নেই। বয়স হয়েছে, বেশির ভাগ সময় অসুস্থ থাকি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : ৫২ বছর পূর্বের মুক্তিযুদ্ধের কোন্ স্মৃতি আপনার মনে এখনও জ্বলজ্বল করছে?

মোখলেসুর রহমান : ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর যখন চাঁদপুর জেলা মুক্ত দিবস শেষ করে বাড়ি ফিরি তখন খবর পাই আমাদের গ্রামে তথা সাতবাড়িভাঙ্গা গ্রামে পাকবাহিনী ঢুকেছে। তখন আমি রাইফেল নিয়ে একা একা এগিয়ে গিয়ে এক পাকবাহিনীর অস্ত্র কেড়ে নিই। এখান থেকে পাকবাহিনী পাশের ইছাপুরা আলী আকবর স্যারের বাড়িতে গিয়ে ক্যাম্প করে। আমরা মুক্তিবাহিনী খবর পেয়ে নিজেরা একত্রিত হয়ে পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করি। এ সময় আমাদের গুলিতে এক পাক আর্মি মারা গেলে আমরাই তাকে মাটি দিই। এই স্থানে পাকবাহিনীর হামলায় আমাদের দুই মুক্তিযোদ্ধা শহিদ হন। এরপরেই পাকবাহিনীর দলটি মুকুন্দসার ছেড়ে মতলব উপজেলার নওগাঁ চলে যায়। তখন আমরা মতলবের মুক্তিবাহিনী মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুললে পাকবাহিনীর দলটি মতলব থানায় আত্মসমর্পণ করে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : অনেক রক্তে অর্জিত প্রিয় স্বাধীন দেশের বর্তমান অবস্থায় আপনি কতোটুকু সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট?

মোখলেসুর রহমান : যখন দেখি স্বাধীনতা বিরোধীরা দেশটাকে নৈরাজ্যের দিকে নিয়ে যাচ্ছে তখন আমি অসন্তুষ্ট হয়ে পড়ি। যখন দেখি স্বাধীনতার সপক্ষের সরকার দেশ গঠনে এগিয়ে যাচ্ছে তখন সন্তুষ্ট হই। জিয়াউর রহমান হাজার হাজার মুক্তিবাহিনীকে হত্যা করেছে, তার দল বিএনপি কখনো মুক্তিযোদ্ধার সপক্ষের দল হতে পারে না। তাই বিএনপি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছাতেই মানুষের জন্ম/মৃত্যু। মাফ করবেন, তবুও জানার ইচ্ছা, আপনি আর কতোদিন বাঁচতে চান?

মোখলেসুর রহমান : শরীর অনেক অসুস্থ। কতোদিন বাঁচি তার ঠিক নেই। বাঁচা-মরা আল্লাহর হাতে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : বর্তমান বা পরবর্তী প্রজন্মের উদ্দেশ্যে আপনি কী কথা রেখে যেতে চান?

মোখলেসুর রহমান : বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মকে বলবো, তোমরা সুশিক্ষিত হয়ে দেশ গঠনে কাজ করো। দেশটাকে সাজিয়ে দাও, যাতে তোমাদের পরবর্তী প্রজন্ম উপকৃত হবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়