শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৫ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

সরকারি ঔষধ বিক্রি করলেন হাসপাতালের উপ-পরিদর্শক!
ফরিদগঞ্জ প্রতিনিধি ॥

ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উপ-পরিদর্শক ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথের বিরুদ্ধে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জনসেবা ফার্মেসীতে সরকারি ঔষধ বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে। কয়েক বছর ধরে তিনি এ কাজটি করে আসছেন বলে এলাকাবাসী জানান।

ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ২৩ ডিসেম্বর মোঃ সাদ্দাম নামের এক যুবক ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথের কাছে পেট ব্যথা, পাতলা পায়খানা ও আমাশয় সমস্যা নিয়ে গেলে তিনি সরকারি ঔষধ ‘মেট্রোনিডাজল’ দিয়ে ২০ টাকা নেন। যা সম্পূর্ণ বেআইনি কাজ। ডাক্তার বিধান চন্দ্র দেবনাথের ফার্মেসী ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের মালের ভাংতি এলাকায়। মোঃ সাদ্দাম (পিতা সিরাজুল ইসলাম) একই এলাকার বাসিন্দা। বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার জন্য ডাঃ বিধান আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, তিনি বিগত বেশ ক’বছর ধরে এ কাজটি করে আসছেন। তিনি এলাকায় প্যারাসিটামল, সেফ্রাডিন, সিফ্রোপ্লোক্সাসিন, ওমি প্রাজলসহ আরো অনেক ঔষধ বিক্রি করে আসছেন। হাসপাতালের একজন কর্মচারী হয়ে দীর্ঘদিন এই অনৈতিক কাজটি করে আসলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার এই বেআইনি কাজের বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বাংলাদেশ সরকার গরীব মানুষদের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্য সেবার এই ঔষধগুলো দিয়ে আসছে। সরকারের এই উদ্যোগ অসাধু কিছু মানুষের কারণে প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

এ বিষয়ে মোঃ সাদ্দাম বলেন, আমি পেটের সমস্যা নিয়ে ডাঃ বিধানের কাছে গেলে তিনি আমাকে এই ঔষধটি দেন এবং ২০ টাকা নেন। ঔষধটি ঠিক আছে কিনা তা দেখানোর জন্য সোহেলের কাছে গেলে জানতে পারি এটা সরকারি ঔষধ।

অভিযুক্ত ডাঃ বিধান চন্দ্র দেবনাথের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বার বার প্রসঙ্গ এড়িয়ে বলতে থাকেন, ‘ওমুকের (একজনের নাম উল্লেখ করে) সাথে একটু কথা বলেন।’ এর প্রায় ২৫ মিনিট পর উনি এ প্রতিনিধিকে কল করে বলেন, ‘ভাই নিউজটি কইরেন না। আগামীকাল আপনি আমার সাথে দেখা কইরেন।’

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশরাফ আহমেদ চৌধুরী এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। বিষয়টি অনৈতিক এবং বেআইনি। আমি ঢাকায় ট্রেনিংয়ে আছি, এসে বিষয়টি দেখছি। যদি অভিযোগটি সত্য হয়ে থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়