প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
আজ ১৪ ডিসেম্বর শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসররা বেশ ক’জন শ্রেষ্ঠ বাঙালি বুদ্ধিজীবীকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। বিদেশী পর্যবেক্ষকদের মতে, স্বাধীন হলেও বাংলাদেশ যাতে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে না পারে তা নিশ্চিত করতেই সেদিন নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছিলো দেশের খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীদের।
পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় দোসর ও সহযোগী রাজাকার-আলবদর বাহিনীর নীলনকশা এবং সহযোগিতায় অধ্যাপক, চিকিৎসক, শিল্পী, লেখক, সাংবাদিকসহ বেশ ক’জন খ্যাতনামা বুদ্ধিজীবীকে একাত্তরের ১৪ ডিসেম্বর বাসা-বাড়ি থেকে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করে রায়েরবাজারস্থ ইটভাটার কাছে ফেলে রাখা হয়। স্বাধীনতার পর ঢাকার রায়েরবাজারস্থ ওই জায়গাটি ‘বধ্যভূমি’ হিসেবে সর্বমহলে পরিচিতি পেয়ে আসছে। আজ সেই শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস। দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী জেলা প্রশাসনের কর্মসূচির পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
আজ বুধবার সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের কর্মসূচি শুরু হবে। সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনের উদ্যানে স্থাপিত শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের নাম সম্বলিত স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিজয় মেলা মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, ভিডিও চিত্র প্রদর্শন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান।
এছাড়া শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন মসজিদ ও মন্দিরে দোয়া ও প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।