শনিবার, ২৫ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১২ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার বঙ্গবন্ধু মঞ্চে স্মৃতিচারণ
অনলাইন ডেস্ক

মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার আয়োজনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যুদ্ধকালীন সময়ের বিভীষিকাময় দিনগুলোর স্মৃতিগাঁথা ঘটনা প্রবাহ নিয়ে স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১১ ডিসেম্বর রোববার সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের বিজয়মেলার বঙ্গবন্ধু মঞ্চে স্মৃতিচারণ পরিষদের ব্যবস্থাপনায় এ স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠিত হয়।

বিজয়মেলার স্টিয়ারিং কমিটির সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা মহসিন পাঠানের সভাপতিত্বে ও স্মৃতিচারণ পরিষদের আহ্বায়ক মুক্তিযোদ্ধা ইয়াকুব আলী মাস্টারের পরিচালনায় আরো বক্তব্য রাখেন মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মান্নান মিয়াজী ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্ম ফারুক হোসেন ভূঁইয়া। প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শহিদুল্যা তপাদার।

তিনি বলেন, যে নেতার জন্ম না হলে এখানে দাঁড়িয়ে আমরা কথা বলতে পারতাম না, যে নেতার জন্ম না হলে আমরা স্বাধীনতা পেতাম না, তিনি হচ্ছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১৯৭১ সালে আমি এসএসসি পরীক্ষার্থী। বঙ্গবন্ধু ভাষণ দিবে শুনতে পেয়ে আমরা লঞ্চযোগে ৭ মার্চ ঢাকা রেসকোর্স ময়দানে চলে যাই। বঙ্গবন্ধুর ভাষণ শুনে আমরা যুদ্ধে যাবার জন্য লেখাপড়ার পাশাপাশি প্রস্তুতি নিতে শুরু করি। আমরা পায়ে হেঁটে ভারতের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করি। আমরা ৫৫ জন যুবক একত্রিত হয়ে ভারতে যাই। সেখানে আমাদের প্রশিক্ষণ দেন ক্যাপ্টেন মাহবুবুর রহমান। মির্জাপুর ক্যাম্পে গিয়ে উঠি। যেখানে রাতে ঘুমাতাম, সকালে উঠে দেখতাম বড় বড় জোঁক মাথার নিচে। সেখান থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে আবার মেলাঘর ক্যাম্পে চলে আসি। যুদ্ধ করার সময় আমরা দুটি ব্রিজ উড়িয়ে দেই। যাতে পাকিস্তানিরা প্রবেশ করতে না পারে সেজন্যে। চারদিন যুদ্ধ করে আমরা পাকিস্তানি একটি ক্যাম্প দখল করতে সক্ষম হই। সেই ক্যাম্প থেকে ২৪ জন যুবতী বোনকে উদ্ধার করি।

এমনিভাবে যুদ্ধ করে বাংলাদেশে চলে আসি। ফরিদগঞ্জে গল্লাক বাজারে আমরা যুদ্ধ করি। তারপর মহামায়া জমজম ব্রিজের কাছেও তাদেরকে প্রতিরোধ করি। এমনিভাবে শাহাতলী ও মৈশাদি এলাকাতে যুদ্ধ করেছি। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ আমরা ফরিদগঞ্জের ৩০-৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা প্রথমে চাঁদপুরে প্রবেশ করি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদেরকে সম্মান দিচ্ছেন। স্বাধীনতার শত্রুরা এখন আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে শুরু করেছে। আমরা মুক্তিযোদ্ধারা এখনো বেঁচে আছি। অস্ত্র জমা দিয়েছি কিন্তু প্রশিক্ষণ জমা দেইনি। বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সোনার বাংলা করার তা তিনি করে যেতে পারেননি। কিন্তু তার উত্তরসূরী শেখ হাসিনা এই স্বপ্ন পূরণ করতে কাজ করছেন। ৩০ লাখ শহীদের আত্মা আমাদেরকে প্রশ্ন করলে আমরা তার জবাব দিতে পারব না। শেখ হাসিনা ২০৪১ সালে যে ভিশন দিয়েছেন তা বাস্তবায়নে আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করি।

আরো বক্তব্য রাখেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের ডেপুটি কমান্ডার অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সরোয়ার হোসেন। চাঁদপুর সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সহকারী কমান্ডার সাঁতারু ছানাউল্যা খান। উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা সাধন সরকার।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়