শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১১ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির দল ‘টিম ডায়মন্ডস’
অনলাইন ডেস্ক

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২ প্রতিযোগিতায় ‘মোস্ট ইন্সপিরেশনাল’ প্রোজেক্ট হিসেবে এবছর চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের দল ‘টিম ডায়মন্ডস’। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার মাঝরাতে আমেরিকার ‘ন্যাশনাল এরোনটিকস এন্ড স্পেস এডমিনিস্ট্রেশন’ সংক্ষেপে নাসা একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে সরাসরি সারাবিশ্বে এটি প্রচারিত হয়।

টিম ডায়মন্ডস এর সদস্যবৃন্দ : টিসা খন্দকার (টিম লিডার), মুনিম আহমেদ (সিস্টেম ডিজাইনার), ইঞ্জামামুল হক সনেট (সিস্টেম আর্কিটেক্ট), আবু নিয়াজ (সিস্টেম ডেভেলপার) ও জারিন চৌধুরী (রিসার্চার)। উপদেষ্টা প্রফেসর ড. তৌহিদ ভূঁইয়া ও মেন্টর সহযোগী অধ্যাপক খালিদ সোহেল।

এটি নাসা কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত একটি আন্তর্জাতিক হ্যাকাথন প্রতিযোগিতা। এ বছর নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকল যাচাই-বাচাই প্রক্রিয়া শেষে আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ার জন্যে এ বছর গ্লোবাল নমিনেশন পেয়েছিল বিশ্বের ৪২০টি দল। পরিশেষে, আস্তর্জাতিকভাবে সকল বিচার প্রক্রিয়া শেষে মাত্র ৩৫ টি টিম ‘গ্লোবাল ফাইনালিস্ট’ এ জায়গা করে নিয়েছে। ৩৫ টি দলের এই তালিকায় একমাত্র বাংলাদেশী দল হিসেবে নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এর গ্লোবাল ফাইনালিস্টে জায়গা করে নিয়েছিল ‘টিম ডায়মন্ডস’। বাংলাদেশে এই প্রতিযোগিতা আয়োজন করে ‘বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস’ বা বেসিস।

নাসা স্পেস অ্যাপস চ্যালেঞ্জ ২০২২-এ বিশ্বের ১৬২টি দেশ থেকে ২৮১৪ টিম অংশগ্রহণ করেছিল এবং সকল যাচাই-বাচাই, আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়া শেষে বাংলাদেশের একমাত্র দল হিসেবে ‘টিম ডায়মন্ডস’ গ্লোবাল চ্যাম্পিয়ন হয়। তারা কাজ করেছে বাচ্চাদের নিয়ে, যাতে তারা ছোট বেলা থেকেই মহাকাশ নিয়ে ভাবতে পারে, মহাকাশের অজানা সব তথ্য সম্পর্কে খুব সহজে জানতে পারে। মহাকাশে থাকা অজস্র নক্ষত্র, এদের পরিবর্তন সাধারণত খালি চোখে দেখা সম্ভব হয়ে উঠে না। কারণ এই পরিবর্তনগুলো খুব ধীর বা চোখের জন্য খুব ক্ষীণ হয়। তাদের চ্যালেঞ্জের মুল বিষয়বস্তু ছিল নাক্ষত্রিক এই পরিবর্তনশীলতা সম্পর্কে মানুষকে শেখানো ও তাদের বুঝতে সাহায্য করা যে রাতের আকাশ আসলে কতটা গতিশীল!

বিজয়ী দলের প্রজেক্ট ‘উরধসড়হফ ওহ ঞযব ঝশু’ একটি ইন্টারেক্টিভ গেম ভিত্তিক স্পেস লার্নিং সিস্টেম, যার মাধ্যমে বাচ্চারা নক্ষত্রদের পরিবর্তন (রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন), এর পেছনে লুকিয়ে থাকা কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পারবে। গেমটি খেলার মাধ্যমে বাচ্চারা তাদের নিজস্ব নক্ষত্র তৈরি থেকে শুরু করে নক্ষত্রগুলোর প্যাটার্ন, রঙের পরিবর্তন, উজ্জ্বলতা, ভরের পরিবর্তন প্রেডিক্ট করতে পারবে। উদ্দেশ্য ছিল মূলত বাচ্চাদের কে তারার ঝিকিমিকি, রাতের আকাশের ধীরগতি পরিবর্তন এবং কেন ঘটেছিল তা বোঝার সুযোগ দেওয়া। তারা বলেছে, আমাদের বিশ্বাস যে আমাদের অ্যাপটি মানুষকে ছোটবেলা থেকেই মহাকাশের অজানাকে জানাতে এবং অদেখাকে দেখাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। শিক্ষার্থীদের এ সাফল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টিবোর্ডের চেয়্যারম্যান ড. মোঃ সবুর খান ও উপাচার্য প্রফেসর ড. এম লুৎফর রহমান টিম দলের সদস্যদের সাফল্যে এবং দেশের জন্য দুর্লভ এ সম্মান বয়ে আনার জন্য অভিনন্দন জানান।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়