প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশ-বিএনপি সংঘর্ষে বিএনপির এক কর্মী নিহত হওয়ার ঘটনায় ও দলীয় নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চাঁদপুরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। তারা সমাবেশ করতে চাইলে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে মিছিলকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বৃহস্পতিবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয় এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশের সাথে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তবে সেখানে আর কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেলে দলীয় কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে জেলা বিএনপি। কর্মসূচি উপলক্ষে শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা মিছিল করে সেখানে অবস্থান নিতে শুরু করেন। ফয়সাল গাজী বাহারের নেতৃত্ব জেলা যুবদলের বিরাট একটি মিছিল নতুনবাজার থেকে পার্টি অফিসের দিকে আসলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। এ সময় সেখানে থাকা বিপুলসংখ্যক পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাধা এবং টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীদের সরিয়ে দিয়েছে।
এ ব্যাপারে চাঁদপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডঃ সলিম উল্লাহ সেলিম বলেন, গত ৭ ডিসেম্বর বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ১০ ডিসেম্বরের সমাবেশকে কেন্দ্র করে আমাদের হাজার হাজার নেতা-কর্মী জমায়েত হয়। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে পুলিশ পরিকল্পিতভাবে হামলা করে শত শত নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করে। পার্টি অফিসে হামলা চালায়। তারই প্রতিবাদে সারাদেশে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দেয় বিএনপি। চাঁদপুরেও আমরা অঙ্গীকারের সামনে জমায়েত হই। সেখানে পুলিশ আমাদের সমাবেশ করতে দিবে না। পরে পুলিশ আমাদের নতুন বাজার সমাবেশ করার জন্যে বলে। কিন্তু দেখা গেলো, যখন আমাদের খণ্ড খণ্ড মিছিল আসা শুরু করলো তখনই পুলিশ একাধিক স্থানে আমাদের নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এতে আমাদের বেশ ক’জন আহত হয়। আজকে পুলিশ আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে গেছে। জাতি আজকে তারেক রহমানের ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ডাকে ঐক্যবদ্ধ। তবে আমরা বলতে চাই, যদি দ্রব্যমূল্য কমানো না হয়, দেশে যদি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি মানা না হয়, শেখ হাসিনা যতক্ষণ পদত্যাগ না করবে আমাদের আন্দোলন চলবেই। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত যতোই বাধা আসুক আমাদের আন্দোলন চলবেই।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবদুর রশীদ বলেন, বিএনপির কর্মসূচিকে ঘিরে কোনো ধরনের সমস্যা হয়নি। যুবদল একটি মিছিল নিয়ে রাস্তা বন্ধ করার চেষ্টা করে। এ সময় তারা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে উস্কানী দিলে পুলিশ টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। কোনো লাঠিচার্জ বা কাউকে আটক করা হয়নি।