প্রকাশ : ০৯ ডিসেম্বর ২০২২, ০০:০০
খাদ্য সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন এনডিসি বলেছেন, আমাদের দেশে খাদ্য সংকট হবে না। দেশে এই মুহূর্তে ১৬ লক্ষ টনের উপরে খাবার মজুদ আছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খাদ্য সংকটের বিষয়ে যে আভাস দিয়েছিলেন সেটা সচেতনতার জন্যে। তবে আমাদের খাদ্য সচেতন হতে হবে, খাদ্য নিয়ে বিলাসিতা করা যাবে না। আমরা যদি এখনি সচেতন না হই, তাহলে ৫-৭ বছর পর দেশে খাদ্য সংকট দেখা দিতে পারে। তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তায় প্রধান কনসেপ্ট হবে- খাদ্য জ্ঞান মানুষকে দেয়া, খাদ্য সচেতন করে তোলা।
তিনি গতকাল চাঁদপুর প্রেসক্লাবে গণমাধ্যমকর্মীদের সাথে খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় এ সব কথা বলেন। চাঁদপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক এবং বর্তমানে খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ ইসমাইল হোসেন দুদিনের সফরে চাঁদপুর আসেন। এই সফরসূচির অংশ হিসেবে তিনি চাঁদপুরের সাংবাদিকদের সাথে এই মতবিনিময় করেন। সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টা আমাদের জানতে হবে। আর এই জানাটা ছাত্রজীবন থেকেই হতে হবে। মাননীয় শিক্ষামন্ত্রীর সাথে আমাদের কথা হয়েছে পাঠ্যসূচিতে খাদ্য নিরাপত্তার বিষয়টি রাখতে। এটা করা হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম খাদ্য সচেতন হিসেবে গড়ে উঠবে। তিনি বলেন, আমরা খাদ্য মন্ত্রণালয় থেকে ‘পারিবারিক খাদ্য নির্দেশিকা’ তৈরি করেছি। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এটাকে স্বাগত জানিয়েছেন। শীঘ্রই খাদ্য মন্ত্রণালয় এটা প্রকাশ করবে। দেশের সকল জেলা প্রশাসকের ওয়েবসাইটে এই খাদ্য নির্দেশিকা পাওয়া যাবে।
খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ে সচিব ইসমাইল হোসেন বলেন, খাদ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, বিপণন তথা জনগণের কাছে পৌঁছে দেয়া- এসব বিষয়ে সচেতন হওয়াটাই হলো খাদ্যের বিষয়ে সচেতন হওয়া। প্রথমত খাদ্য উৎপাদন বিষয়টিকে গুরুত্ব দিতে হবে। আমরা জমিতে চাষাবাদ করি। কিন্তু একবারও কি ভেবেছি এই জমিরও তো একটা ধারণ ক্ষমতা থাকে। একটা জমিতে যদি বছরের বারো মাস চাষাবাদ চলতেই থাকে তাহলে সেই জমির ধারণ ক্ষমতা কতদিন থাকে সেটা ভাবতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তার আরো কিছু দিক হলো- পরিমাণ মতো খাবার গ্রহণ করা, ভেজালমুক্ত খাবার আহার করা। তিনি বলেন, খাবার রান্না করা এবং খাবারের সময় যেনো খাদ্য নষ্ট বা অপচয় না হয়।
তিনি বলেন, ২০২৩ সালে একটা চ্যালেঞ্জ আছে খাদ্য নিয়ে। আমরা আশঙ্কা করছি, কিছু কিছু খাদ্যের স্বল্পতা হতে পারে। সে জন্য আমরা বেসরকারিভাবে ভাদ্য আমদানি ওপেন করে দিয়েছি।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ কামরুল হাসান ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। প্রেসক্লাবের সভাপতি গিয়াসউদ্দিন মিলনের সভাপ্রধানে এবং সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ মতবিনিময় সভায় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রবীণ সাংবাদিক অধ্যাপক দেলোয়ার আহমেদ, চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ইকবাল হোসেন পাটওয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রহিম বাদশ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শান্ত ও ফটো জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কেএম মাসুদ।
উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি কাজী শাহাদাত, শহীদ পাটোয়ারী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সোহেল রুশদী, এএইচএম আহসান উল্লাহসহ সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার প্রতিনিধিগণ। অনুষ্ঠানে সচিব ইসমাইল হোসেনকে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিনন্দন জানান।