শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২৬ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

পৌর আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী
গোলাম মোস্তফা ॥

সাবেক ছাত্রনেতা, চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের সমবায় ও কৃষি বিষয়ক সম্পাদক এবং পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া বলেছেন, আমিসহ আমার পুরো পরিবার এই দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছি। দলের দুঃসময়ে আমার পরিবারের সদস্যদের এই দলে অবদানের কথা সবার কম-বেশি জানা রয়েছে। দলের দুঃসময় থেকে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে আজো রাজনীতি করছি। অতএব দলের জন্যে অনেক নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছি। ছাত্রজীবন থেকে বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তাই পৌর আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি আসন্ন পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছি। আশা করছি, আমার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সকল কিছু বিবেচনা করে আমাকে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করবেন।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠে আওয়ামী লীগের সম্মেলন নিয়ে ভাবনায় তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। প্রশ্নোত্তর আকারে তার পূর্ণাঙ্গ ভাবনাটি নিচে তুলে ধরা হলো :-

চাঁদপুর কণ্ঠ : আগামী ১১ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং তার পূর্বে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের সম্মেলন। আপনার প্রতিক্রিয়া কী?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : দীর্ঘ দেড় যুগ পর পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলন হচ্ছে, এতে আজ পুরো শহরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছে। শুধু আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের মাঝেই নয়, পুরো শহরবাসী তাকিয়ে আছে, কে বা কারা আসছেন পৌর আওয়ামী লীগের আগামী নেতৃত্বে। কারণ পৌর আওয়ামী লীগের অতীত ঐতিহ্য রয়েছে। আর জেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্থ চাঁদপুর পৌর ইউনিটটি পুরো জেলার রাজনীতির মূল সৌন্দর্য। তাই আমি মনে করি, এই উদ্যোগ বর্তমান রাজনীতির একটি ভালো উদ্যোগ। আমি এই উদ্যোগের সফলতা কামনা করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সম্মেলনের মাধ্যমে কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : জেলার রাজনীতির মূল ভিত্তি হচ্ছে জেলা সদরস্থ পৌর ইউনিট। এই ইউনিটের নেতৃত্ব হতে হবে দূরদর্শী, অভিজ্ঞ, মেধাবী ও যোগ্য নেতৃত্ব। যে নেতৃত্ব হবে অন্য ইউনিটগুলোর জন্যে অনুসরণযোগ্য। অতএব পৌর আওয়ামী লীগের এমন নেতৃত্ব চাই, যিনি বা যারা হবেন জেলার মডেল। এই নেতৃত্ব দেখে পুরো জেলায় সাংগঠনিকভাবে দলকে শক্তিশালী করা হবে।

এই ইউনিটের নেতৃত্ব যেনো যোগ্য, মেধাবী ও অভিজ্ঞ এবং তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের চাহিদাকে প্রাধান্য দেয়া হয়-এটাই প্রত্যাশা করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি নিজে কি কোনো পদপ্রার্থী?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : আমিসহ আমার পুরো পরিবার এই দলের রাজনীতির সাথে যুক্ত রয়েছি। দলের দুঃসময়ে আমার পরিবারের সদস্যদের এই দলে অবদানের কথা সবার কম-বেশি জানা রয়েছে। দলের দুঃসময় থেকে ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে আজো রাজনীতি করছি। অতএব দলের জন্যে অনেক নির্যাতন, নিপীড়ন, হামলা, মামলার শিকার হয়েছি। ছাত্র জীবন থেকে বিভিন্ন ইউনিটের বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তাই পৌর আওয়ামী লীগের সকল ইউনিটের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের অনুরোধে আমি আসন্ন পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী হয়েছি।

আশা করছি, আমার দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ সকল কিছু বিবেচনা করে আমাকে উক্ত পদে অধিষ্ঠিত করবেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ আরো কিছু কারণে বিএনপির যে ধারাবাহিক আন্দোলন, তাতে আপনারা কতোটুকু উদ্বিগ্ন?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : রাজনীতি হলো জনগণের কল্যাণের জন্য, সেই রাজনীতি ব্যক্তিস্বার্থে হলে জনগণ তা গ্রহণ করে না। যারা জনগণের স্বার্থ নিয়ে ভাঁওতাবাজি করে তাদের সাথে জনগণ থাকে না। তাই যাদের সাথে জনগণ নেই, তাদের আন্দোলন নিয়ে মাথা ঘামানোর সময় নেই। তাছাড়া তাদের যে ইস্যু এটা বৈশি^ক বিষয়, এ বিষয়ে সারাদেশের জনগণ সচেতন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ আন্দোলন সাংগঠনিকভাবে কিংবা অন্য কী উপায়ে মোকাবেলা করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, শুধু চাঁদপুর নয়, সারাদেশে আমাদের সকল অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন সহ মূল দলের সকল ইউনিটকে তৃণমূল থেকে ঢেলে সাজানোর লক্ষ্যে ও শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠন গড়ার প্রত্যয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগ ইতোমধ্যে বাস্তবায়নের শেষ প্রান্তে।

আমরা মনে করি, স্বাধীনতার পর একমাত্র জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে যেভাবে উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে, এগুলো নিয়ে আগামীতে আমরা তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের কাছে যাবো এবং রাজনৈতিক কর্মসূচির মাধ্যমে বিএনপির সকল অপকর্মের জবাব দেবো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি এমন মানসিক আস্থা পোষণ করেন যে, বিদ্যমান সমস্যা বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সম্ভাব্য বৈশি^ক মন্দা তথা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ স্বীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে?

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : এদেশের জনগণ শতভাগ সচেতন। জনগণ দেখছে একমাত্র আওয়ামী লীগের মাধ্যমে তাদের স্বার্থ সংরক্ষণ এবং দেশের উন্নয়ন হচ্ছে। তাই আমরা শতভাগ আশাবাদী, এদেশের জনগণ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় আগামী লীগের প্রতীক নৌকা, স্বাধীনতার প্রতীক নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করে ৪র্থবারের মতো আওয়ামী লীগকে সরকার গঠন করতে রায় দিবেন।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নমালার বাইরে আপনার অন্য কোনো বক্তব্য থাকলে উপস্থাপন করতে পারেন।

জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া : ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতি করছি, তৃণমূল হলো আমার মূল শক্তি। রাজনীতির শুরু থেকে তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের সাথে থেকে তাদের পাশে ছিলাম। তাই তাদের অনুরোধে আমি পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে প্রার্থী হয়েছি।

আমার অনুরোধ থাকবে, দলের নেতৃবৃন্দ তৃণমূলের চাহিদা অনুযায়ী আমাকে উক্ত পদে নির্বাচিত করবেন। আমি কথা দিচ্ছি, আমি এই পদে বিজয়ী হলে দলের ঐক্যের মধ্য দিয়ে আমাদের সরকারের সকল উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের কাছে তুলে ধরে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলের বিজয় নিশ্চিত করতে কাজ করবো, ইনশাআল্লাহ।

উল্লেখ্য, জাহাঙ্গীর ভূঁইয়া ১৯৭৭ সালে চাঁদপুর শহরের পুরাণবাজার নূরিয়া হাইস্কুলে পড়াবস্থায় ছাত্রলীগের রাজনীতি শুরু করেন। ছাত্রজীবনের প্রথমে তিনি উক্ত স্কুল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে পৌর ও সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৪ সালে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮২ সাল থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত চাঁদপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সদস্য, ২০০৫ সাল থেকে অদ্যাবধি চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

তিনি বঙ্গবন্ধু শিশু-কিশোর মেলা চাঁদপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা, কমিউনিটি পুলিশিং অঞ্চল-৯-এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক, সমাজ উন্নয়ন যুব নাগরিক পরিষদ চাঁদপুর-এর সভাপতি ও পূর্ব শ্রীরামদী ক্লাবের সদস্য।

তিনি ১৯৮৩ সালে স্বৈরাচার এরশাদের শিক্ষানীতির বিরোধী আন্দোলন করতে গিয়ে মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে গুরুতর আহত হন। তিনি ৯০-এর গণঅভ্যুত্থানে তৎকালীন সামরিক বাহিনীর হাতে আহত ও ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারী নির্বাচন প্রতিহতের আন্দোলন করতে গিয়েও আহত হন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়