প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
ফরিদগঞ্জ উপজেলার রূপসায় প্রবাসী মেয়ের জামাইকে বাসার গ্রিলের সাথে বেঁধে মারধর করেছেন শ্বশুর ও শ্যালক। পরে স্থানীয় লোকজনের সহযোগিতায় আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যাম ছড়িয়ে পড়ে মুহূর্তের মধ্যে। এদিকে রাতেই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন প্রবাসী জসিম উদ্দিন। ঘটনাটি ঘটে ১৫নং রূপসা উত্তর ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামে।
সূত্রমতে জানা যায়, গত দুই বছর পূর্বে একই গ্রামের ছলেমান মিয়ার মেয়ের সাথে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয় প্রবাসী জসিম উদ্দিনের (৩৬)। বিয়ের এক বছর পর তাদের একটি বাচ্চা হয়। চলতি বছরের ২৮ অক্টোবর জসীম দেশে আসেন। দেশে আসার ১০-১২ দিন পরে জসিমের স্ত্রী রোজিনা বাচ্চার অসুস্থতার কথা বলে চলে যান বাপের বাড়িতে। গত ১৯ নভেম্বর শনিবার রোজিনার মুখে বাচ্চার অসুস্থতার কথা শুনে জসিম শ্বশুর বাড়িতে যান। সেখানে উভয়ের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রোজিনার বাবা ছলেমান, ভাই মিলন, টেলু ও শাশুড়ি রোকেয়া মিলে তাকে মারধর করেন। এক পর্যায়ে গ্রিলের সাথে দড়ি দিয়ে বেঁধে আবারও মারেন। এ সময় স্থানীয় লোকজন এসে আহতাবস্থায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
প্রবাসী জসিম বলেন, বিয়ের পর থেকে আমাদের সম্পর্ক ভালোভাবে চলছে। আমি বিদেশ থাকাবস্থায় বাড়িতে পারিবারিক কিছু সমস্যা হয়। আমি বাড়িতে এসে সমাধান করবো বলেছি। আমি বাড়ি আসার পর আমার স্ত্রী আমার সাথে ১০-১২ দিন থাকার পর বাচ্চা অসুস্থ হয়েছে বলে ডাক্তার দেখাতে যায়। সেখান থেকে সে বাপের বাড়িতে চলে যায়। গতকাল আমাকে ফোন করে বলে, বাচ্চা বেশি অসুস্থ। আমাকে যাওয়ার অনুরোধ করলে আমি যাই। সে বাড়িতে গেলে তারা আমাকে মারধর করে। পরে জানালার গ্রিলের সাথে আমাকে বেঁধে রড ও লাঠি দিয়ে মারধর শুরু করে। পরে আমাদের এলাকার লোকজন এসে আমাকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্যে নিয়ে যায়।
এদিকে মেয়ের বাবা ছলেমানের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় তাদের ঘরে তালা। পাশের ঘরে লোকজন বলেন, তারা বাড়িতে নেই। কোথায় গেছে আমরা জানি না। অপর প্রশ্নের জবাবে বলেন, তাদের মেয়ের জামাইকে ঘরের সাথে বেঁধে মারধর করেছে।
ফরিদগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদ হোসেন বলেন, উক্ত ঘটনার আমরা একটি জিডি গ্রহণ করেছি।