শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৮ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ২১ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ : -----------অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি
মাহবুব আলম লাভলু ও বাবুল মুফতি ॥

আলহাজ্ব অ্যাডঃ নূরুল আমিন রুহুল এমপি বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধারা দেশ ও জাতির শ্রেষ্ঠ সম্পদ। তাঁদের সম্মান করতে হবে। যতোদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন আপনাদের স্মৃতি অমলিন হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছেন। বর্তমান সরকার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা বৃদ্ধি, রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফনসহ বিভিন্ন সম্মাননা ও সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই এটা সম্ভব হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টায় মতলব উত্তর উপজেলা অডিটোরিয়ামে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রদেয় ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও মুজিব শতবর্ষে আজ মুক্তিযোদ্ধাদের ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট কার্ড বিতরণ করার মধ্য দিয়ে সম্মানিত করা হচ্ছে। এ সার্টিফিকেট ও আইডি কার্ড মুক্তিযোদ্ধাদের মূল্যায়ন ও সুযোগ-সুবিধা আরও বৃদ্ধি করেছে। এ সব কাজ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকার কারণেই সম্ভব হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল হাসানের সভাপতিত্বে ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ আওরঙ্গজেবের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক জেলা কমান্ডার এমএ ওয়াদুদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এমএ কুদ্দুস, মতলব উত্তর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার মোজাম্মেল হক।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবনবাজি রেখে যুদ্ধ করাতেই আজ আমরা তার সুফল ভোগ করতে পারছি। পাকিস্তান আমলে ৯৫% সিভিল সার্ভিস নিতো তারা, আর আমাদের বাঙালিদের দিতো মাত্র ৫%। এমন বৈষম্য থেকে আমরা মুক্তি পেয়েছি শুধু মুক্তিযুদ্ধ হওয়াতে। সেদিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মুক্তিযুদ্ধের জন্য ডাক দিয়েছেন আর বীর মুক্তিযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। তিনি আরও বলেন, নতুন প্রজন্ম যাতে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস ভুলে না যায়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধারণ করে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই উন্নত দেশ গঠনে আমরা দ্রুত সফল হতে পারবো।

জেলা প্রশাসক বলেন, আমি যতোদিন এই জেলায় থাকবো ততদিন সকল অফিসে বলা আছে মুক্তিযোদ্ধাদের কাজ আগে করবেন। যাতে করে মুক্তিযোদ্ধাকে সেবা নিতে এসে বসে থাকতে না হয়, কোনো ভোগান্তি না হয়।

মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশ্নের জবাবে ডিসি কামরুল হাসান বলেন, সরকার প্রতিটি মুক্তিযোদ্ধার তালিকা ও ডিজিটাল ডাটাবেইজ করছেন। যারা প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধা তারাই সকল সুবিধা পাবেন। পাশাপাশি সরকার মুক্তিযোদ্ধাদের বীর নিবাস নামে ঘর দিচ্ছে, পর্যায়ক্রমে সকল মুক্তিযোদ্ধারা পাবেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধাদের যে সম্মানী ভাতা দেয়া হচ্ছে, তা আরো কম ছিল, এখন বেড়েছে। পর্যায়ক্রমে আরো বৃদ্ধি করবে সরকার।

যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা এমএ ওয়াদুদ বলেন, আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। কারণ তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন, সম্মানিত করেছেন। আমাদেরকে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড দিয়ে অনেক গর্বিত করেছেন। সকল মুক্তিযোদ্ধার পক্ষ থেকে আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুস্বাস্থ্য কামনা করছি।

উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে মোট ৬৮২ জন মুক্তিযোদ্ধার মাঝে ডিজিটাল সার্টিফিকেট ও স্মার্ট আইডি কার্ড বিতরণ করা হয়।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়