প্রকাশ : ২০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
বাংলাদেশ কিন্ডারগার্টেন অ্যাসোসিয়েশন চাঁদপুর জেলা শাখার উদ্যোগে শিক্ষক প্রশিক্ষণ ও অভিষেক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। ১৯ নভেম্বর শনিবার সকালে রসুইঘরে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব ওচমান গনি পাটওয়ারী। তিনি বলেন, আমাদের বেগম ফজিলাতুন্নেছা, জাতীয় চার নেতাসহ ৩০ লাখ মানুষের তাজা রক্ত ও ২ লাখের অধিক মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা এই সোনার বাংলা উপহার পেয়েছি। তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। একই সাথে মহান মুক্তিযুদ্ধের যেসব বীর সেনানি বেঁচে আছেন মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে তাঁদের নেক হায়াত কামনা করছি। আমাদের যে বাঙালি জাতি, হাজার বছরের যে ইতিহাস, বাঙালি জাতি কোনো দিনও স্বাধীনতার স্বাদ পায়নি। সারাজীবন তারা নির্যাতিত-নিপীড়িত ছিলো। সেই বাঙালি জাতি দীর্ঘ ৩০ বছর লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটা ঘুমন্ত বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। তিনি বাঙালি জাতিকে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছিলেন। একটা দেশকে রক্ষা করতে তিনি যে সাহসী উদ্যোগ নিয়েছেন, তাঁর মতো মহান নেতার কারণেই আমরা আজ বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে কথা বলতে পারছি।
তিনি বলেন, শিক্ষক সমাজকে আমি সর্বোচ্চ সম্মান করি। আমি মনে করি আমার পিতা দুজন। একজন হচ্ছেন আমাদের জন্মদাতা পিতা অন্যজন আমাদের জ্ঞানের আলোর শিক্ষক পিতা। যিনি আমার মাঝে শিক্ষার আলো ছড়িয়েছেন। এই শিক্ষক সমাজের কাছে জাতি সারাজীবন ঋণী। তিনি বলেন, জাতির পিতাও আমাদের মতো একজন মানুষ ছিলেন, তাঁর পরিবার ছিলো, সন্তান ছিলো। তিনি সমস্ত সুখকে হারাম করে একটা জাতিকে তার লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্যে একটা জনযুদ্ধের মাধ্যমে একটি স্বাধীন দেশ দিয়েছেন। আমরা জাতির পিতাকে পেয়েছি। কিন্তু আমরা সে জাতির পিতাকে রক্ষা করতে পারিনি। তাঁকে নির্মম হত্যার শিকার হতে হয়েছে। কেনো তিনি এই বাংলাকে স্বাধীন করেছিলেন? কেনো তিনি এই বাঙালি জাতিকে একটি স্বাধীন সার্বভৌম দেশ উপহার দিয়েছিলেন? এটাই ছিলো তাঁর অপরাধ। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্নকে বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিকেএ কেন্দ্রীয় কমিটির চেয়ারম্যান এলএম কামরুজ্জামান। বিকেএ চাঁদপুর জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের সভাপ্রধানে ও সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিকেএ কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা গোলাম মোস্তফা জিএম, বিকেএ কেন্দ্রীয় কমিটির মহাসচিব জিএম জাহাঙ্গীর কবির রানা, বিকেএ কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব জয়নুল আবেদীন জয়, চাঁদপুর সদর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মানছুর আহমেদ, মুজিবুর রহমান ও ইলিয়াছ হোসাইন।
উপস্থিত ছিলেন বিকেএ চাঁদপুর জেলা শাখার সিনিয়র সহ-সভাপতি শেখ হারুনুর রশীদ, সহ-সভাপতি একেএম ফজলুল হক সেলিম, ফজলুল করিম বাসেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক হাবিবুর রহমান, কোষাধ্যক্ষ নিয়াজ মোর্শেদ, শিক্ষা সচিব আইয়ুব খান, প্রচার সম্পাদক মোঃ হানিফ, দপ্তর সম্পাদক ফারহানা আক্তার, নির্বাহী সদস্য মাসুদ আলম, বাবুল দেসহ আমিনুল ইসলাম, মনিরুল ইসলাম, সুমন, মাওঃ আজিজুল হক প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষক হিসেবে ছিলেন শামীম (ইংরেজি) ও আইয়ুব খান (গণিত)। অনুষ্ঠানে চাঁদপুর জেলার ৮০টি স্কুলের প্রায় ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা অংশ নেন।