শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৭ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক

চাঁদপুর মহাশ্মশানের জায়গা রাতের আঁধারে দখলের অভিযোগ করেছে মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ। চাঁদপুর সদর মডেল থানা ও পৌর মেয়রের বরাবরে দায়েরকৃত এক অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গত সোমবার রাতের আঁধারে স্থানীয় একটি চক্র চাঁদপুর মহাশ্মশানের পুকুরের একটি অংশ পৌরসভা থেকে লিজ নেয়ার দাবি করে যেখানে পাকা স্থাপনা (দোকান ঘর) নির্মাণ কাজ শুরু করে। দখলের বিষয়টি মঙ্গলবার সকালে মহাশ্মশানে শবদাহের সামাজিক সংগঠন হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় ভৌমিক জানতে পেরে তাৎক্ষণিক চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মুহম্মদ আব্দুর রশিদকে লিখিতভাবে অবগত করেন।

থানার অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থাগ্রহণের জন্যে উপ-পরিদর্শক আব্দুল আলিমকে ঘটনাস্থলে পাঠান। তিনি ঘটনাস্থলে গিয়ে মহাশ্মশানের জায়গায় দোকানঘর নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন।

এ বিষয়ে হরিবোলা সমিতির সভাপতি অজয় ভৌমিক জানান, স্বর্গীয় সাধুচরণ পোদ্দার শ্মশানের জন্য চার একর সম্পত্তি দান করেন। সেই সম্পত্তিতে নগেন্দ্র চন্দ দে (নগা দা) শ্মশান প্রতিষ্ঠা করেন। বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে স্থানীয় একটি চক্র শ্মশানের জায়গা দখল করে রাতের আঁধারে দোকান নির্মাণের চেষ্টা করে আসছে। এ নিয়ে কয়েকবার চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক ও বর্তমান মেয়রকে অবহিত করি।

উভয় মেয়র বলেছেন, শ্মশান বা কবরের জায়গা পৌরসভা থেকে লীজ দেয়ার কোনো নিয়ম নেই। পৌরসভা থেকে পূর্বের লীজ বাতিল করে দেয়া হয়েছে। তারপরও ওই চক্রটি এখন আবার রাতের আঁধারে শ্মশানের পুকুরের জায়গা দখলের পাঁয়তারা করে বালু দিয়ে ভরাট করছে। ইতোপূর্বে একইভাবে এই স্থানটি দখল করা হলে তখন জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারকে জানানো হলে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে পিবিআই, ডিবি ও চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করেছিলো। তাদের রিপোর্টে দখলদারদের কাজ না করার জন্যে নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো। এখন আবার ওই চক্রটি রাতের আঁধারে তা দখলের পাঁয়তারা করছে।

পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে ওই সময় উপস্থিত ছিলেন হরিবোলা সমিতির সদস্য কিশোর কুমার শংকর ও সংগ্রাম চন্দ্রসহ বিভিন্ন ব্যক্তি।

এ বিষয়ে চাঁদপুর পৌরসভার সার্ভেয়ার মনিরের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, মূলত এই জায়গাটি ৩নং খতিয়ানের জায়গা বা চাঁদপুর পৌরসভার জায়গা। সেই সূত্র ধরে সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মরহুম সামছুদ্দিনের মেয়াদকালে পৌর কর্তৃপক্ষ লীজ প্রদান করে। সেই মোতাবেক লীজ গ্রহিতা এ সম্পত্তি তার দখলে নেয়ার চেষ্টা করছে। তবে বর্তমান মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল আজ অফিসে নেই। তাই এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারবো না। তিনি বিষয়টি সম্পর্কে বলতে পারবেন।

অপরদিকে লীজগ্রহীতা পক্ষ বলছেন, চাঁদপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম সামছুদ্দিনের মেয়াদকালে এটি তারা পৌর কর্তৃপক্ষের নিকট থেকে সকল নিয়মকানুন মেনে লীজ নেন। সেই মোতাবেক সম্পত্তি তাদের দখলে রয়েছে। সেখানে পূর্ব থেকেই তাদের স্থাপনা রয়েছে, এটি সংস্কার করতে গেলে মহাশ্মশান কর্তৃপক্ষ কাজে বাধা প্রদান করে। তারা পৌর কর্তৃপক্ষকে সকল ধরনের ট্যাক্সসহ সকল কিছু প্রদান করে আসছেন এবং পৌরসভার হোল্ডিং নাম্বার রয়েছে। এরপরও কেনো বাধা প্রদান করা হচ্ছে সেটি বোধগম্য নয়। আমরা অবৈধভাবে দখলে থাকলে পৌর কর্তৃপক্ষ অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা করবে।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়