শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৬ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

আওয়ামী লীগে নূতন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়ন চাই
গোলাম মোস্তফা ॥

সাবেক ছাত্রনেতা, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল বলেছেন, আমি মনে করি, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারা দলের জন্যে নিবেদিত, দীর্ঘদিন যাবৎ দলের সঙ্গে আছেন, দলের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দলের দুঃসময়ে কাজ করেছেন, দলের নেতা-কর্মীদের সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে ছিলেন এবং সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন, এদেরকে দলের নেতৃত্ব দিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আমি সহযোগী সংগঠন করি, যদিও আমার কিছু বলা সমীচীন নয়। তবুও বলবো, আমাদের নেত্রী জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কিন্তু আমি একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে বলতে চাই, এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়নের জোর অনুরোধ করছি।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। তার পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকার নি¤েœ তুলে ধরা হলো :

চাঁদপুর কণ্ঠ : আগামী ১০ ডিসেম্বর চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন এবং তার পূর্বে বিভিন্ন উপজেলা ও পৌর ইউনিটের সম্মেলন। আপনার প্রতিক্রয়া কী?

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : সম্মেলন হলো সংগঠনের একটি সাংগঠনিক প্রক্রিয়া। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে সংগঠনকে গতিশীল এবং সংগঠনের নেতা-কর্মীদের উজ্জীবিত করা যায়। সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন নেতৃত্বের সৃষ্টি হয়। আমি মনে করি, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের পূর্বে জেলা আওয়ামী লীগের অধীনস্থ যে সকল ইউনিট রয়েছে সেগুলোর যেমনি সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে, তেমনি জেলা সম্মেলনের মধ্য দিয়েও সৃষ্টি হবে নতুন নেতৃত্ব। আমি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী লীগসহ যে সকল ইউনিটের সম্মেলনে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে সকল নতুন নেতৃত্বকে আগাম অভিনন্দন ও শুভ কামনা জানাই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি সম্মেলনের মাধ্যমে কেমন নেতৃত্ব প্রত্যাশা করেন?

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : আমি মনে করি, সম্মেলনের মধ্য দিয়ে যারা দলের নিবেদিত, দীর্ঘদিন যাবৎ দলের সঙ্গে আছেন, দলের জন্যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, দলের দুঃসময়ে কাজ করেছেন, দলের নেতা-কর্মীদের সুসময় ও দুঃসময়ে পাশে ছিলেন এবং সকল লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে লালন করে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে আসছেন, এদেরকে দলের নেতৃত্ব দিবেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। আমি সহযোগী সংগঠন করি, যদিও আমার কিছু বলা সমীচীন নয়। তবুও বলবো, আমাদের নেত্রী জননেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কিন্তু আমি একজন সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে বলতে চাই, এই সম্মেলনে নতুন নেতৃত্বের ক্ষেত্রে সাবেক ছাত্রনেতাদের মূল্যায়নের জোর অনুরোধ করছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ আরো কিছু কারণে বিএনপির যে ধারাবাহিক আন্দোলন, তাতে আপনারা কতোটুকু উদ্বিগ্ন?

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : দেখুন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির বিষয়টি শুধু বাংলাদেশের সমস্যা নয়, সারাবিশ্বের মধ্যে এই সমস্যা বিরাজমান। এমতাবস্থায় আমেরিকার মতো দেশ হিমশিম খাচ্ছে। সেখানে আমাদের নেত্রী বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনা বিশ্বের বহু উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশকে অনেক ভালো চালাচ্ছেন।

বর্তমান আধুনিকতার যুগে ডিজিটাল বাংলাদেশ হওয়ার কারণে এদেশের জনগণ অনেক সচেতন। অপরদিকে রাশিয়া ও ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সংকট চলছে। এসব বিষয়ে জনগণ সচেতন। অতএব বিএনপির এই সকল ইস্যু জনগণ খায় না। এগুলো সম্পর্কে জনগণ সচেতন বা অবহিত রয়েছে। এজন্যে এদের আন্দোলন সফল হবে না। শুধু তাই নয়, আমরা এদের আন্দোলন নিয়ে চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন নই। এদের আন্দোলন মোকাবেলা করার জন্য সহযোগী সংগঠন হিসেবে আমরাই যথেষ্ট।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ আন্দোলন সাংগঠনিকভাবে কিংবা অন্য কী উপায়ে মোকাবেলা করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন, ইতোমধ্যে আমাদের মূল সংগঠনসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের সম্মেলন শুরু হয়েছে। এই সম্মেলনের মধ্য দিয়ে দলকে তৃণমুল থেকে ঢেলে সাজানোর যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে, আমি মনে করি, সেই উদ্যোগের মধ্য দিয়ে দলকে গতিশীল করা হবে এবং শক্তিশালী রাজনৈতিক সংগঠনে পরিণত করা হবে। আমি মনে করি, আওয়ামী লীগের একের পর এক রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে বিরোধী দলের আন্দোলন এমনিতেই দমন হয়ে যাবে। আমাদেরকে ওদের আন্দোলন প্রতিহত করতে হবে না। এমনিতেই প্রতিহত হয়ে যাবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি এমন মানসিক আস্থা পোষণ করেন যে, বিদ্যমান সমস্যা বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা তথা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ স্বীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে?

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেভাবে একটি তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তরিত হয়েছে এবং সকল ষড়যন্ত্র ও সকল কিছু মোকাবেলা করে যেভাবে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নের পথে এগিয়ে চলছে সেটি সম্পর্কে এদেশের জনগণ নিশ্চয়ই অবহিত রয়েছে। যেহেতু আমাদের দেশের জনগণ সচেতন সেহেতু আমাদের দেশের জনগণ পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতীক নৌকা মার্কাকে পুনরায় বিজয়ী করবে, আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থতবারের মতো রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হবে ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নমালার বাইরে আপনার অন্য কোনো বক্তব্য থাকলে উপস্থাপন করতে পারেন।

ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল : আমি দলের সকল স্তরের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্য শুধু এটুকু বলতে চাই, আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন রয়েছে বলে আমরা এখনো আছি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের এক বিশাল গুরুত্ব বহন করে, তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের দলীয় প্রতীক নৌকাকে বিজয়ী করার জন্যে সকল ভেদাভেদ ভুলে আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হই, দলের জন্যে কাজ করি-এই হোক আমাদের শপথ।

উল্লেখ্য, ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েলের পিতা মরহুম অ্যাডঃ মকবুল আহমেদ। যিনি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা, তিনি স্বাধীনতোত্তর বা তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের জিপি ও পিপি ছিলেন। তিনি ছিলেন চাঁদপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ। পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার কনিষ্ঠ পুত্র ফেরদাউস মোর্শেদ জুয়েল ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যোগদান করেন। স্কুল জীবনে চাঁদপুর হাসান আলী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় শাখার সভাপতি, চাঁদপুর সরকারি কলেজ হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ছাত্র লীগের সভাপতি, পরবর্তীতে চাঁদপুর পৌর ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক, এরপর জেলা ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। এরপর তিনি আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান চাঁদপুর জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পান। ছাত্র রাজনীতির দীর্ঘ সময় পর তিনি চাঁদপুর জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়