শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫  |   ১৫ °সে
আজকের পত্রিকা জাতীয়আন্তর্জাতিকরাজনীতিখেলাধুলাবিনোদনঅর্থনীতিশিক্ষাস্বাস্থ্যসারাদেশ ফিচার সম্পাদকীয়
ব্রেকিং নিউজ
  •   হাইমচরে মাটি বোঝাই বাল্কহেডসহ আটক ৯
  •   কচুয়ায় কৃষিজমির মাটি বিক্রি করার দায়ে ড্রেজার, ভেকু ও ট্রাক্টর বিকল
  •   কচুয়ায় খেলতে গিয়ে আগুনে ঝলসে গেছে শিশু সামিয়া
  •   কচুয়ায় ধর্ষণের অভিযোগে যুবক শ্রীঘরে
  •   ১ হাজার ২৯৫ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করেছে কোস্ট গার্ড

প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০

কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর জেলা যুবলীগের সম্মেলনসহ সব কিছু নির্ভর করছে
গোলাম মোস্তফা ॥

চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক আহ্বায়ক ও জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান টুটুল বলেছেন, যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে চাঁদপুর জেলা যুবলীগ অনেক শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, চাঁদপুর-হাইমচর উপজেলাবাসীর আস্থার প্রতীক চাঁদপুর-৩ আসনের তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নির্দেশনায় জেলা যুবলীগের সকল ইউনিটের কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত রেখেছি। যুবলীগ বিগত জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে। তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত সকল ইউনিটের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশসহ নানা ইস্যুর কারণে হয়তো আমাদের জেলা সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বা কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। আমাদের কোনো বাধা নেই।

দৈনিক চাঁদপুর কণ্ঠকে দেয়া তার সাক্ষাৎকারে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। নি¤েœ পূর্ণাঙ্গ সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি আওয়ামী যুবলীগের সাথে সংশ্লিষ্ট, সে ইউনিটের চাঁদপুর জেলা শাখার সর্বশেষ সম্মেলন কবে অনুষ্ঠিত হয়েছিলো?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : ২০০৪ সালে চাঁদপুর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সম্মেলনে আলহাজ্ব মোঃ মিজানুর রহমান কালু সভাপতি ও চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব বেলায়েত হোসেন বিল্লাল গাজী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। উক্ত কমিটিতে আমি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : যুবলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কতো বছর পর পর একটি শাখা/ইউনিটের সম্মেলন করতে হয়?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : রাজনৈতিক সংগঠনগুলোর সাধারণত গঠনতন্ত্রে সাংগঠনিক একটি নীতিমালা থাকে। সেই মোতাবেক কেন্দ্রীয় গঠনতন্ত্রের আলোকে জেলা ইউনিট কমিটিগুলো তিন বছর মেয়াদী। এজন্যে আমরা জেলা সম্মেলনগুলো ত্রি-বার্ষিক করে থাকি। তাই তিন বছর পর পর জেলা ইউনিট সম্মেলন হওয়ার কথা রয়েছে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনার ইউনিটের সম্মেলন আয়োজনে কী কী বাধা আছে বলে মনে করেন?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : রাজনৈতিক সংগঠনে সম্মেলন করতে কোনো বাধা বা সমস্যা নেই। যে কোনো সময়ের চেয়ে বর্তমানে চাঁদপুর জেলা যুবলীগ অনেক শক্তিশালী একটি রাজনৈতিক সংগঠন। কেন্দ্রীয় নির্দেশনা এবং আমাদের প্রাণপ্রিয় নেত্রী, চাঁদপুর-হাইমচর উপজেলাবাসীর আস্থার প্রতীক চাঁদপুর-৩ আসনের তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির নির্দেশনায় জেলা যুবলীগের সকল ইউনিটের কার্যক্রম সবসময় অব্যাহত রেখেছি। যুবলীগ বিগত জাতীয়, স্থানীয় নির্বাচনসহ সকল আন্দোলন-সংগ্রামে ব্যাপক ভূমিকা রেখে চলছে। তৃণমূল থেকে জেলা পর্যন্ত সকল ইউনিটের সাংগঠনিক কমিটি রয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ, রাজনৈতিক প্রতিকূল পরিবেশসহ নানা ইস্যুর কারণে হয়তো আমাদের জেলা সম্মেলন করা সম্ভব হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ বা কেন্দ্রীয় কমিটির সিদ্ধান্তের ওপর সব কিছু নির্ভর করছে। আমাদের কোনো বাধা নেই।

চাঁদপুর কণ্ঠ : দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, বিদ্যুৎ-গ্যাস সঙ্কট, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিসহ আরো কিছু কারণে বিএনপির যে ধারাবাহিক আন্দোলন, তাতে আপনারা কতোটুকু উদ্বিগ্ন?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : বিএনপি যে আন্দোলন করছে, তা মূলত জনগণের স্বার্থে নয়। শুধুমাত্র তাদের দলের নেতা-কর্মীদেরকে উজ্জীবিত করার আন্দোলন। তবে তারা আন্দোলন করুক, কিন্তু আন্দোলনের নামে রাজপথে নৈরাজ্য ও জানমালের ক্ষয়-ক্ষতি আমরা মেনে নেবো না। তাছাড়া বিএনপি যে ইস্যু নিয়ে আন্দোলন করছে, এগুলো নিয়ে আমাদের দেশের জনগণ অনেক সচেতন। কারণ বৈশ্বিক মহামারী কোভিড, এরপর রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধের কারণে হয়তো দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেলেও আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ নেতৃত্বের ফলে বিশ্বের অনেক উন্নত রাষ্ট্রের চেয়ে বাংলাদেশ অনেক ভালো চলছে। অতএব, বিএনপির এই আন্দোলন নিয়ে আমরা চিন্তিত বা উদ্বিগ্ন কোনোটাই নই। বরং বিএনপির সকল আন্দোলন-সংগ্রামকে রাজপথে রাজনৈতিক কর্মসূচির মধ্য দিয়ে মোকাবেলা করবো, ইনশাআল্লাহ।

চাঁদপুর কণ্ঠ : এ আন্দোলন সাংগঠনিকভাবে কিংবা অন্য কী উপায়ে মোকাবেলা করা যায় বলে আপনি মনে করেন?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : অবশ্যই রাজনৈতিক সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচি রাজনৈতিকভাবে রাজপথে ফয়সালা হবে। বলে রাখা ভালো, আমরা যারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের কর্মী, আমরা কখনোই কোনো হুমকিতে ভয় পাই না। তাই আগামীতে সকল কিছু রাজনৈতিকভাবে রাজপথে মোকাবেলার জন্যে আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

চাঁদপুর কণ্ঠ : আপনি কি এমন মানসিক আস্থা পোষণ করেন যে, বিদ্যমান সমস্যা বিশেষ করে মূল্যস্ফীতি, অর্থনৈতিক সঙ্কট, সম্ভাব্য বৈশ্বিক মন্দা তথা নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে আওয়ামী লীগ স্বীয় জনপ্রিয়তা প্রমাণ করে আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে জয়ী হয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করতে পারবে?

মাহফুজুর রহমান টুটুল : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পর থেকে দেশীয়-আন্তর্জাতিক সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে এদেশ ও দেশের জনগণের জন্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনেক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অতএব, আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস ও আস্থা জনগণ ভুল করবে না। ইনশাআল্লাহ, জনগণ আগামীতেও আওয়ামী লীগকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে। আগামীতে টানা চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন হবে।

চাঁদপুর কণ্ঠ : উপরোক্ত প্রশ্নমালার বাইরে আপনার অন্য কোনো বক্তব্য থাকলে উপস্থাপন করতে পারেন।

মাহফুজুর রহমান টুটুল : আওয়ামী লীগ এক ও ঐক্যবদ্ধ। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী ঐক্যবদ্ধ হয়ে আগামীর সকল কর্মসূচিতে এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিজয় আনতে কাজ করার আহ্বান জানাই।

উল্লেখ্য, মাহফুজুর রহমান টুটুলের জন্ম আওয়ামী পরিবারে। তাঁর মরহুম পিতা আব্দুল মালেক ভূঁইয়া জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শের অনুপ্রাণিত হয়ে আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অংশ নিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। তিনি আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন এবং মৃত্যুকালে তিনি জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা ছিলেন।

মাহফুজুর রহমান টুটুল পিতার রাজনৈতিক পদাঙ্ক অনুসরণ করে আওয়ামী লীগের রাজনীতি শুরু করেন। তিনি ছাত্রজীবনে অর্থাৎ স্কুলজীবনে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। প্রথমে ১৯৮৬ সালে বর্তমান ১১নং ওয়ার্ড সাবেক ৩নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৯ সালে জেলা ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক, ১৯৯১ সালে জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, ১৯৯৫ সালে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় জাতীয় পরিষদের সদস্য ও ১৯৯৭ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২০০০ সালে জেলা যুবলীগের সদস্য, ২০০৪ সালে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ২০১৩ সাল থেকে জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়কের দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

  • সর্বশেষ
  • পাঠক প্রিয়