প্রকাশ : ১০ নভেম্বর ২০২২, ০০:০০
কচুয়া উপজেলার কাদিরখিল-প্রসন্নকাপ গ্রামের মধ্যস্থলে অবস্থিত সুন্দরী খালের উপর নির্মাণাধীন গার্ডার ব্রিজের নির্মাণ কাজ চার বছরেও শেষ হয়নি। ফলে ওই অঞ্চলের ১০ গ্রামের প্রায় ২৫ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। প্রতিনিয়ত ১০ গ্রামের মানুষের যাতায়াত এ পথে। কিন্তু ব্রিজের কাজ সম্পন্ন না হওয়ায় খেয়া দিয়ে প্রতিদিন পারাপার হচ্ছেন এলাকাবাসী। বিশেষ করে কলেজ, মাদ্রাসা, বিদ্যালয় ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ১০ টাকা করে খেয়া পার হতে হয়। এতে করে শিক্ষার্থীরাও ভোগান্তির শিকার হচ্ছে।
জানা যায়, স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে জিসিবি-৩ প্রকল্পের আওতায় প্রায় ২ কোটি ১৩ লাখ টাকা ব্যয়ে এ ব্রিজের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর এমপি। কাজ শুরুর পর ৪টি বছর পেরিয়ে গেছে, এখনো ৪০ ভাগ কাজ অসম্পন্ন রয়েছে। বিশেষ করে ঠিকাদার প্রথম দিকে কাজের অগ্রগতি দেখালেও বর্তমানে তিনি তালবাহানা করে কাজ করছেন না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহজালাল সিকদার, অধিবাসী আলম, তসনিম সিকদার, মোস্তফা কামাল ও রফিক সিকদারসহ একাধিক লোকজন জানান, ব্রিজ নির্মাণের সময় পেরিয়ে গেলেও কাজের দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার এমএস শাকিল এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী মোঃ আহসান হাবিব অরুণের গাফলতির কারণে নির্মাণ কাজ শেষ হচ্ছে না। ফলে বিভিন্ন বিদ্যালয়, ব্যবসায়ী, সাধারণ মানুষ চলাচলে ভোগান্তিতে রয়েছেন। দ্রুত সুন্দরী খালের উপর ব্রিজটি নির্মাণের দাবি জানান তারা।
শিক্ষার্থী মোঃ জিহাদ হোসেন, আর. রাফি, নাজিম হোসেনসহ শিক্ষার্থীরা বলেন, ব্রিজের পাশেই আমাদের বাড়ি ও প্রতিদিন বিদ্যালয়ে ১০ টাকায় নৌকা দিয়ে খেয়া পার হয়ে যেতে ও আসতে হয়। ব্রিজটি দ্রুত নির্মাণ হলে আমাদের অনেক সুবিধা হবে। তারা বলেন, ব্রিজের কারণে আমরা পুরো বর্ষা মৌসুমসহ অন্য সময়ে যাতায়াতে অনেক কষ্ট পেতে হয়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আলমগীর হোসেন বলেন, ব্রিজটি ২০১৮ সালের প্রথম দিকে নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছিলো। তবে বর্তমানে কী কারণে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে আছে তা আমার জানা নেই। তবে দ্রুত ব্রিজ নির্মাণে উপজেলা প্রকৌশলী ও দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদারের সাথে কথা বলেছি।
দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মোঃ আহসান হাবিব অরুণ বলেন, আমি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছি। করোনা ও মালামালের দাম দ্বিগুণ হওয়ায় কাজ কিছুদিন বন্ধ ছিলো। তবে অচিরেই সুন্দরী খালের উপর ব্রিজটির কাজ শুরু করা হবে এবং কাজটি দ্রুত সম্পন্ন করা হবে।
উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আব্দুল আলীম লিটন বলেন, করোনা ও অন্যান্য কারণে ব্রিজ নির্মাণ কাজ কিছুটা বিলম্বিত হয়েছে। ঠিকাদারে সাথে কথা বলে ব্রিজ নির্মাণের কাজ পুনরায় আরম্ভ করার ব্যবস্থা করবো।